• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নওয়াজের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২০ এপ্রিল ২০১৭, ১০:২৯

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাগ্য আজ বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করবেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পানামা পেপারসের কেলেঙ্কারিতে নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগের ওপর যদি রুল জারি হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হতে পারে।

আদালতের এ উদ্যোগে পাকিস্তানি জনগণের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। পাকিস্তানে জঙ্গি তৎপরতা বিশ্বকে ভাবিয়ে তুললেও নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে, তবে আদালতের এমন সিদ্ধান্তে নওয়াজ শরিফ ও ক্ষমতাসীন দল সংকটের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আসছে বছরই দেশটিতে নির্বাচন হবার কথা রয়েছে।

২০১২ সালে ইউসুফ রাজা গিলানিকে আদালত অবমাননা মামলায় প্রধানমন্ত্রীর পদে অযোগ্য ঘোষণা করেছিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলো আশা করছে, নওয়াজ শরিফের বেলায়ও তাই হবে। পারিবারিক দুর্নীতির কারণে আদালত তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে অযোগ্য ঘোষণা করবেন।

গেলো বছরের নভেম্বরের শুরুতে নওয়াজের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির জের ধরে নওয়াজের পদত্যাগের দাবিতে দেশটির সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের তীব্র আন্দোলনের মুখে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি আনোয়ার জহির জামালি।

সুপ্রিম কোর্টের সম্ভাব্য রায় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে নওয়াজেরদল পিএলএম-এন। নওয়াজকে খালাস অথবা পুনরায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ, প্রধানমন্ত্রীর পদে অযোগ্য যেকোনো ধরনের রায় দিতে পারেন আদালত। এখন সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা পাকিস্তান।

ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল উভয়ে আশাবাদী রায় তাদের পক্ষে যাবে। নওয়াজের দলের প্রভাবশালী নেতা তালাল চৌধুরী বলেন, রায় আমাদের বিরুদ্ধে যাবার কোনো সুযোগ নেই।

তবে আদালতের রায় প্রতিকূলে গেলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী করা যেতে পারে, নওয়াজের দল তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। রায়ে যদি প্রধানমন্ত্রী পদচ্যুত হন, তাহলে আগাম নির্বাচন দিতে পারে পিএমএল-এন সরকার। প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালে সম্ভাব্য কী করতে পারে, সে ইঙ্গিতও দিয়েছে নওয়াজের দল। দলে দু’ধরনের মত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত প্রধানমন্ত্রীর পদ হারালে আগাম নির্বাচন দেয়া। দলের একাংশের নেতারা মনে করেন, আগাম নির্বাচন না দিলে এ ইস্যু কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করতে পারেন ইমরান খান।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হলেও আগাম নির্বাচন দেয়ার কোনো কারণ নেই। ২০১৮ সালে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচনের পক্ষে দলের একাংশের নেতারা। তাদের মতে, নওয়াজ ক্ষমতার বাইরে থাকলে তাতে দল আরো চাঙ্গা হবে।

এপি / এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh