তুরস্কে জোড়া বোমা হামলায় নিহত ৮
তুরস্কে জোড়া বোমা হামলায় আটজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩৭ জন ।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বে কুর্দি-অধ্যুষিত এলাকায় এ হামলা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শহরের খিজিলতেপি এবং দায়ারবাকিরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। পিকেকে (কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি) এ হামলা চালিয়েছে।
খিজিলতেপিতে হাসপাতালের পাশে এবং দায়ারবাকিরে নিরাপত্তা তল্লাশিকেন্দ্রে হামলা দু’টি হয়।
উল্লেখ্য, গেল বছর থেকে তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী ও পিকেকের (কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির) মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
মন্তব্য করুন
নিজের ডেকে আনা পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি তরুণের
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও। সাহায্য চেয়ে কল করেছিলেন পুলিশকে; ফোনে বলেছিলেন যে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু, পুলিশ আসতেই উল্টে যায় পরিস্থিতি। নিজের ডেকে আনা পুলিশের গুলিতেই প্রাণ যায় ১৯ বছর বয়সী তরুণের।
ঘটনাটি ঘটেছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ওজোন পার্কে, ১০১তম অ্যাভিনিউয়ের ১০৩তম স্ট্রিটের অবস্থিত ফ্রান্সিস রোজারিওর বাড়িতে; স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুরের দিকে ৯১১ নম্বর থেকে ফোন আসে তাদের কাছে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে উইন রোজারিও নামে ওই তরুণ জানান, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
এরপর ওজোন পার্কের ১০১তম অ্যাভিনিউয়ের ১০৩তম স্ট্রিটের বাড়িটিতে দুপুর দেড়টার দিকে যায় পুলিশ। বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় উঠে ভেতরে উইন রোজারিওকে দেখতে পায় তারা। এ সময় তাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা। এ অবস্থায় ওই তরুণ নিজের হাতে থাকা কাঁচি নিয়ে তাদের দিকে তেড়ে এলে সরাসরি গুলি করা হয় তাকে। পরে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেওয়া হলে উইনকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসক।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনলেও পুলিশের দাবি, উইন রোজারিও মাদকাসক্ত এবং মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন। আত্মরক্ষার্তেই গুলি করতে বাধ্য হয়েছেন তাদের সদস্যরা।
নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের চিফ অব পেট্রোল জন চেল জানান, বাংলাদেশি ওই তরুণ নিজের হাতে থাকা কাঁচি নিয়ে তেড়ে আসছিলেন পুলিশ সদস্যদের দিকে। এ কারণে তাকে গুলি করা হয়েছে।
উইনকে কয়টি গুলি করেছে পুলিশ সেটি এখনও জানা যায়নি। তবে জন চেল জানিয়েছেন, পুরো ঘটনাটি শরীরে থাকা ক্যামেরায় রেকর্ড আছে। বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে এবং বিশদভাবে তদন্ত করে দেখা হবে।
এদিকে নিহত তরুণের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিওর প্রশ্ন, ‘আমার ছেলে নিজেই যেহেতু বলেছে সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন, তাহলে কেন গুলি করে মারতে হলো তাকে?’
এ ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে।
বিয়ে করেছেন রিয়েলিটি সিরিজে খ্যাতিমান মার্কিন সংযুক্ত যমজ অ্যাবি হেনসেল
টিএলসি রিয়েলিটি সিরিজ "অ্যাবি অ্যান্ড ব্রিটানি" তে খ্যাতি অর্জনকারী মার্কিন সংযুক্ত যমজ অ্যাবি ও ব্রিটানি হেনসেল বিয়ে করেছেন। তিন বছর আগে গোপনে বিয়ে করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ জোশ বোলিংকে। যমজ অ্যাবি এবং ব্রিটানি হেনসেল আমেরিকার সবচেয়ে বিখ্যাত সংযুক্ত যমজ। খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্যা স্ট্যান্ডার্ডের।
সম্প্রতি, TikTok অ্যাকাউন্ট @abbyandbrittanyhensel অ্যাবির বড় দিন উদযাপন করার একটি ক্লিপ শেয়ার করেছে, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্রিট এবং অ্যাবি দম্পতির একটি ছবি পোস্ট করেছে।
১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণ করা এই যমজের দুটি মাথা, দুটি হৃদয় এবং দুটি ফুসফুস রয়েছে। তবে অন্য সবকিছু ভাগ করে নেয় তারা। প্রতিটি যমজ তার শরীরের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে, তাই তাদের আশ্চর্যজনক সমন্বয় রয়েছে। তারা গাড়ি চালাতে পারে। উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক।
মেয়েরা ডাইসেফালিক প্যারাপাগাস, যার অর্থ তারা দুটি মাথার সাথে পাশাপাশি মিশ্রিত।
তাদের পেলভিসে দুটি মেরুদণ্ড, দুটি হৃৎপিণ্ড, দুটি অন্ননালী, দুটি পাকস্থলী, তিনটি কিডনি, দুটি পিত্তথলি, চারটি ফুসফুস- দুটি যুক্ত হয়েছে। একটি যকৃত, একটি পাঁজর, একটি ভাগ করা সংবহনতন্ত্র এবং আংশিকভাবে ভাগ করা স্নায়ুতন্ত্র। কোমর থেকে নীচে, প্রজনন অঙ্গ সহ সমস্ত অঙ্গ আলাদা।
তারা ১৯৯০ সালে একটি আংশিক-গঠিত তৃতীয় বাহু নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যা ১২ বছর বয়সে অপসারণ করা হয়েছিল। মেরুদণ্ডের বক্রতা সংশোধন করতে এবং তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
১৯৯৬ সালে দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো এবং লাইফ ম্যাগাজিনের কভারে উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করে তারা। তারা মিনেসোটাতে বসবাস করতেন, ১৬ বছর বয়সে একটি টিএলসি ডকুমেন্টারিতে অভিনয় করা পর্যন্ত মিডিয়া এড়িয়ে চলেন।
তাদের বাবার নাম প্যাটি ও মা মাইক। জন্মের সময় যমজ সন্তানদের আলাদা করলে তাদের বাঁচানো যেত না। তাই অপারেশন করে তাদের আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেননি তারা।
মসজিদুল হারাম থেকে ৪ হাজার মুসল্লি গ্রেপ্তার
রমজানের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের মক্কা নগরীর মসজিদুল হারাম থেকে ৪ হাজারের বেশি মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মসজিদের ভেতর অসদাচরণের কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (৩১ মার্চ) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ও যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে ইবাদত করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করার জন্য ৪ হাজার মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে রমজান মাসে মসজিদুল হারামে মুসল্লিদের ভিড় অনেক বেড়েছে। ভিড় কমাতে মন্ত্রণালয় মুসল্লিদের মসজিদের পরিবর্তে হোটেলের নামাজ কক্ষে ইবাদত করতে পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে পবিত্র রমাজন মাসের শেষ দশ দিনে। কারণ, এই সময় ভিড় আরও বাড়ে।
এ ছাড়া ওমরাহ করানোর নামে বিদেশিদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে সৌদি সরকার ৩৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বাংলাদেশে পণ্য বর্জনের ডাক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত
‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক’ দিয়ে দেশে গত প্রায় তিন মাস ধরে যে প্রচারণা চলছে, তা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা নষ্ট করতে পারবে না। দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপ্তি সর্বগামী, এই সম্পর্ক এমনই থাকবে।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে গত বেশ কিছুদিন ধরে তথাকথিত ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চলছে, যাতে মূলত ভারতের পণ্য বয়কট করার ডাক দেওয়া হচ্ছে। সে দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতাও সেটাতে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এই আন্দোলন নিয়ে কি আপনি কোনো মন্তব্য করতে চাইবেন? আর দ্বিতীয়ত, এর ফলে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানির পরিমাণে কি কোনো প্রভাব পড়ছে?’
জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘দেখুন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আসলে খুব শক্তিশালী ও গভীর। আমাদের দুই দেশের মধ্যে আসলে একটি কম্প্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ আছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত। অর্থনীতি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ থেকে শুরু করে উন্নয়ন সহযোগিতা, কানেক্টিভিটি থেকে শুরু করে পিপল-টু-পিপল কনট্যাক্ট–মানবজীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো একটা বিষয়ের নাম নিন, দেখবেন সেটা কিন্তু ভারত-বাংলাদেশের সামগ্রিক সম্পর্কের অংশ। আমাদের দুই দেশের অংশীদারিত্ব ঠিক এতটাই প্রাণবন্ত। আর এই ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’
সোমবার দিনেই নামবে সাময়িক রাত
আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। এদিন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, ফলে কিছুক্ষণের জন্য দিন হবে সাময়িক রাত। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সঙ্গে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না বিরল এ সূর্যগ্রহণ। মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানুষ দেখতে পারবেন এটি।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বরাত দিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিনেটের জানিয়েছে, উত্তর আমেরিকায় সবশেষ ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আবার ২০৪৪ সালে পুনরায় দেখা মিলবে এ গ্রহণের। চমকপ্রদ সূর্যগ্রহণ দেখতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ, একই সঙ্গে এই সূর্যগ্রহণ দেখার অপেক্ষায় ‘আকাশবাসী’ মানুষেরাও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মহাকাশচারীরা এই সূর্যগ্রহণ দেখবেন। পৃথিবী থেকে একবার দেখা যাবে এটি, তবে মহাকাশ স্টেশন থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে একাধিকবার। সূর্যগ্রহণ চলাকালে পৃথিবীর পৃষ্ঠজুড়ে ট্র্যাক করবে মহাকাশ স্টেশন। মহাকাশচারীরা মোট তিনবার সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখতে পারবেন। প্রথমবার যখন দেখতে পাবেন তখন মহাকাশ স্টেশনটি প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে থাকবে। এরপর নিউজিল্যান্ড এলাকা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও আইডাহোর দিকে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন। মহাকাশ স্টেশনটি যখন মেইন এবং নিউ ব্রান্সউইকের ওপরে অবস্থান করবে তখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই সূর্যগ্রহণ শুরু হবে মেক্সিকোতে। এরপর তা ধীরে ধীরে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। আমেরিকার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সূর্যগ্রহণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খুবই বিরল এ পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দিন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের মতো আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। সূর্যগ্রহণ দেখতে পরতে হবে বিশেষ চশমার প্রয়োজন হবে। সূর্যগ্রহণের দিকে খালি চোখে তাকালে সিংহভাগ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁদ প্রতি ১৮ মাস পর পর পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে। নাসার তথ্য অনুসারে, ৩৭৫ দিন পরপর পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সময় বেশিও লাগতে পারে।
বিশাল তারকা বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে, জীবনে দেখা যাবে একবারই
আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবী থেকে ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি বিশাল বিস্ফোরণে রাতের আকাশ জ্বলে উঠবে, যা অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জীবনে একবার মহাকাশের এই বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হওয়ার সুযোগ দেবে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
করোনা বোরিয়ালিস (টলেমির তালিকাভুক্ত) নক্ষত্রমণ্ডলের বাইনারি তারা সিস্টেম নর্দান ক্রাউন বা ‘উত্তর মুকুট’ সাধারণত খালি চোখে দেখা যাবে না। কিন্তু, প্রতি ৮০ বছর বা তার পরে এর দু’টি তারার মধ্যে শক্তির বিনিময় ঘটে। এটি একটি মারাত্মক আলিঙ্গনের মতো আবদ্ধ। যা পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। এই বিস্ফোরণ থেকে আলোর ঝলকানি মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেই উজ্জ্বলতা হঠাৎ করেই আমাদের রাতের আকাশে কয়েক দিনের জন্য দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
এটি অন্তত তৃতীয়বারের মতো হবে। যে মানুষ এই ঘটনাটি প্রথম প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি হলেন আইরিশ পলিম্যাথ জন বার্মিংহাম। ১৮৬৬ সালে তিনি এটি আবিস্কার করেন। তারপর ১৯৪৬ সালে পুনরায় সেই উজ্জ্বলতা আবির্ভূত হয়েছিল।
অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সুমনার স্টারফিল্ড এএফপি’কে বলেছেন, তিনি নোভার ‘আউটবার্স্ট’ দেখে খুব উত্তেজিত। সর্বোপরি, তিনি ‘ব্লেজ স্টার’ উজ্জ্বল তারকা হিসেবে পরিচিত ‘টি কোরোনেই বোরিয়ালিস’ নিয়েই কাজ করেছেন।
স্টারফিল্ড বর্তমানে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র শেষ করার জন্য তাড়াহুড়ো করছেন যা ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পুনরাবৃত্ত নোভা সম্পর্কে জানতে পারবেন, যখনই পরবর্তী পাঁচ মাসে এটি প্রদর্শিত হবে।
স্টারফিল্ড ব্যাখ্যা করেছেন যে, মিল্কিওয়ে এবং আশেপাশের গ্যালাক্সিতে প্রায় ১০টি পুনরাবৃত্ত নোভা রয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ নোভা বিস্ফোরিত হয় ‘সম্ভবত প্রতি ১ লক্ষ বছরে।’ কিন্তু পুনরাবৃত্ত নোভাগুলো তাদের দুই নক্ষত্রের মধ্যে একটি অদ্ভুত সম্পর্কের কারণে মানুষের টাইমলাইনে তাদের বিস্ফোরণের পুনরাবৃত্তি করে।
একটি হল একটি শীতল মৃতপ্রায় নক্ষত্র যাকে লাল দৈত্য (রেড জায়ান্ট) বলা হয়। যেটি তার হাইড্রোজেনের মাধ্যমে জ্বলে উঠেছে এবং ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এর ভাগ্য যা প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বছরে আমাদের নিজের সূর্যের পরিণতির মতোই অপেক্ষমান। অন্যটি একটি শ্বেত বামন, একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর পরের পর্যায়ে, সমস্ত বায়ুমন্ডল উড়িয়ে দেওয়ার পরে এবং শুধুমাত্র অবিশ্বাস্যভাবে ঘনীভূত কেন্দ্রীয় অংশটি অবশিষ্ট থাকে।
স্টারফিল্ড বলেন, তাদের আকারের বৈষম্য এতটাই বিশাল যে ‘টি কোরোনেই বোরিয়ালিস’ এর শ্বেত বামন তারাটির রেড জায়ান্ট প্রদক্ষিণ করতে ২২৭ দিন সময় লাগে।
দুটি এত কাছাকাছি যে রেড জায়ান্ট নির্গত পদার্থ শ্বেত বামন তারার পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে এবং সেটি টেনে নেয়।
স্টারফিল্ড বলেন,একবার মোটামুটি পৃথিবীর সমান ভর শ্বেত বামনের ওপর তৈরি হয়ে গেলে, যা প্রায় ৮০ বছর সময় নেয়। এতে একটি কিকস্টার্ট রানওয়ে থার্মোনিউক্লিয়ার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। দ্রুত তাপ ও চাপ বৃদ্ধি পেয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে।
একজন অবসরপ্রাপ্ত জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি নোভা নিয়ে গবেষণা করেছেন, জোয়াকিম ক্রাউটার বলেছেন, এটি একটি ‘বড় বিস্ফোরণ এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাপমাত্রা ১০০-২০০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াসে’ শেষ হয়।
ক্রাউটার এএফপি’কে বলেছেন, জমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপসহ অসংখ্য টেলিস্কোপ ক্যামেরা এখন টি করোনা বোরিয়ালিসের বিস্ফোরণের দিকে চোখ রাখছে।
ক্রাউটার বলেন, কিন্তু এই বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে আপনার এমন উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই। যখনই এটি ঘটবে ‘আপনাকে কেবল বাইরে যেতে হবে এবং করোনা বোরিয়ালিসের দিকে তাকাতে হবে।
কিছু সৌভাগ্যবান আকাশ পর্যবেক্ষণকারীরা ইতোমধ্যেই সোমবার বছরের সবচেয়ে বড় জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্ট্রিপ জুড়ে একটি বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটবে। -বাসস।
যেদিন হতে পারে ঈদ
দেখতে দেখতে বিদায়ের পথে পবিত্র রমজান। বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও তার প্রতিবেশী অনেক দেশে আগামী ১০ এপ্রিল (বুধবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে। খবর আলজাজিরার।
সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরদিন বাংলাদেশ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করা হয়। সেই হিসেবে আগামী ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পালন করা হবে ২৯তম রোজা। ওই দিন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ।
সোমবার শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখা গেলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পরদিন মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদ দেখা না গেলে আরও একদিন রোজা রাখবেন মুসলমানরা। সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ১০ এপ্রিল।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রত্যেক আরবি মাস ২৯ নাকি ৩০ দিনের হবে, তা নির্ভর করে চাঁদ দেখতে পাওয়ার ওপর। সৌদি আরবের আকাশে সোমবার চাঁদ দেখা গেলে দেশটিতে পবিত্র রমজান মাস ২৯ দিনের হবে। পরদিন (মঙ্গলবার) দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ বছর বাংলাদেশে রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস বলছে ভিন্ন কথা, এবার পাকিস্তানে রোজা ২৯টি হতে পারে। কারণ ৯ এপ্রিল রাতেই দেশটির আকাশে ঈদের চাঁদ দেখা যাবে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতর চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে ইসলামি (হিজরি) ক্যালেন্ডারের দশম মাস শাওয়ালের শুরু হয়। চন্দ্র মাস ২৯ বা ৩০ দিনের হয়ে থাকে। যে কারণে পবিত্র ঈদের তারিখ জানার জন্য ঈদের আগের রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় মুসলমানদের।