যেটা কেউ করতে পারেনি তা করাই বেশি উপভোগ্য
প্রতিযোগিতা করার চেয়ে কেউ যেটা করতে পারেনি সেটা করাই আমার কাছে বেশি উপভোগ্য। এ বছর চিকিৎসাক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান জাপানি বিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওসুমি।
চতুর্থ জাপানি হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিনি। অটোফাজি নিয়ে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার জিতলেন ওসুমি।
অটোফাজি শব্দটি গ্রিক ‘সেলফ-ইটিং বা স্ব-খাদক’ শব্দ দু’টি থেকে এসেছে। এর মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয়, যাতে সেলুলার জাংক বা কোষীয় আবর্জানা প্রাণী ও উদ্ভিদদেহে ঝিল্লীর মতো থলিতে স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
প্রাণিকোষ কীভাবে নিজের উপাদানকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে এবং এর মাধ্যমে যে কোষ সুস্থ থাকে তা সফলভাবে আবিষ্কার করেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইয়োশিনোরি ওসুমি।
তার এই গবেষণার বিষয়ে নোবেল কমিটি বললছে, ক্যানসার থেকে শুরু করে পারকিনসন্সের মতো জটিল রোগ কেন হয়, তা বুঝতে এ আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে পুরস্কার পাবার খবরটি দেয়ার জন্য নোবেল কমিটির সেক্রেটারি থমাস পার্লম্যান যখন ফোন দেন তখন ইয়োশিনোরি ওসুমি তার ল্যাবে গবেষণার কাজে ব্যস্ত। তিনি যে নোবেল পাচ্ছেন, তা কল্পনাও করেননি।
জাপানের টোকিওতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওসুমি বললেন, আমার কাছে নোবেল পুরস্কার ছিল স্বপ্নের মতো। আমি যখন আমার গবেষণা শুরু করি তখন এটি ছিল চিন্তার বাইরে।
আসছে ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেয়া হবে। পুরস্কার হিসেবে তিনি পাবেন ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (৭৩ কোটি টাকা)।
এর আগে জাপানের অধ্যাপক সুসুমু টোনেগাওয়া, অধ্যাপক শিনিয়া ইয়ামানাকা ও সাতশি ওমুরা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
কে/ এস
মন্তব্য করুন