ওষুধে অনিয়মরোধে আইন হচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কঠোর শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধে। জানালেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
রোববার জাতীয় সংসদে অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি আরো জানান, দেশে লাইসেন্সবিহীন ও লাইসেন্সের শর্তভঙ্গকারী ফার্মেসি এবং নকল, ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, আন-রেজিস্টার্ড ও অবৈধ ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) স্বাস্থ্য সহকারীরা ১১-১৬তম গ্রেডের কর্মচারী এবং তাদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা প্রসূত একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম এবং বর্তমান সরকারের সাফল্যের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত- যা দেশে বিদেশে নন্দিত। কমিউনিটি ক্লিনিক তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আজ স্বাস্থ্য সেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি মুলধারায় সন্নিবেশিত হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক হতে গ্রামীণ জনগণকে স্বাস্থ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, সীমিত নিরাময়মূলক সেবাসহ জরুরি ও জটিল রোগীদের যথাযথ ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চতর পর্যায়ে রেফার সংক্রান্ত সেবা দেয়া হয়।
প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাদানের জন্য ১ জন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছেন। এছাড়া ১ জন স্বাস্থ্য সহকারী ও ১ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী পর্যায়ক্রমে সপ্তাহে ৩ দিন করে সিএইচসিপিদের সেবাদানে সহযোগিতা করছে।
আর/সি/জেএইচ
মন্তব্য করুন