কুষ্ঠ রোগের কারণে বিচ্ছেদ ঘটছে স্বামী-স্ত্রীর
কুষ্ঠ কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। তবুও এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে সীমাহীন যন্ত্রণা। অনেক সময় এ রোগে আক্রান্ত স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও ঘটছে বিচ্ছেদ। পরিবার সমাজ কেউই তাদের ভালোভাবে মেনে নিতে পারে না।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, কুষ্ঠ কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। সঠিকভাবে চিকিৎসা ও ওষুধ সেবন করলে এ রোগ নিরাময়যোগ্য। তারপরও আক্রান্তরা স্বজন ও প্রতিবেশীদের থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। একঘরে জীবন-যাপন করতে হচ্ছে তাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুষ্ঠ রোগীদের অবহেলা না করে তাদের প্রতি সদয় হতে হবে। তারাও সমাজের অংশ। সুচিকিৎসা পেলে অন্যদের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।
কুষ্ঠ রোগীদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহ্য করতে হচ্ছে অবহেলা। এ রোগে আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু হাসি মনির বাবা বলেন, কুষ্ঠ রোগে আমার মেয়ের শরীর যতোটা ক্ষত হয়েছে তার চে’ বেশি হয়েছে মনে। চিকিৎসার পর এখন হাসি সেরে উঠছে। কিন্তু তার মনে সমাজের অবহেলার যে ক্ষত তৈরি হয়েছে তার নিরাময় হচ্ছে না।
হাসি মনির বাবা-মা বলেন, আমার মেয়ে রোগে যতটা না আক্রান্ত, মানুষের অবহেলা আর অনাদরে সে তার চে’ বেশি অসুস্থ। কোথাও যেতে পারে না, তার সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না। অনেকটা একঘরে হয়ে গেছে সে। আমরা চিকিৎসা করাচ্ছি, এখন সে অনেকটা সুস্থ।
এদিকে শুধু সমাজের অবহেলা নয়, কুষ্ঠ রোগের কারণে ভাঙছে ভালোবাসার সংসার। এক ধরনের সামাজিক বয়কটের শিকার হচ্ছেন আক্রান্তরা। স্বামী বা স্ত্রী কোনো একজনের এ রোগ থাকলে তাকে ভালো ভাবে নিচ্ছে না পরিবার।
কিন্তু কুষ্ঠ রোগ নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, কুষ্ঠ ছোঁয়াচে রোগ নয়। কেবল না জানার কারণে বেশিরভাগ মানুষ কুষ্ঠ নামে ভয় পায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন, কুষ্ঠ আক্রান্তদের অবহেলা করবেন না। তারা বোঝা নয় দেশের সম্পদ। যক্ষা-পোলিও রোগের মতো কুষ্ঠমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার।
এইচটি/এমকে
মন্তব্য করুন