ঋণ শোধ করছেন না অগ্রণী’র খেলাপিরা
অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ খেলাপির পরিমাণ ৪ হাজার ৯শ’ কোটি টাকা। আর এ খেলাপি ঋণ মওকুফ করতে সচল প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের অচল প্রকাশ করে যাচ্ছে। এদিকে, একে তো ঋণ খেলাপি; তার ওপর জরুরি পরিস্থিতির সুযোগে জামানত ছাড়া ঋণ নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
রাজধানীর হাজারীবাগে ফিনিক্স লেদারের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি পুরোদমে চালু না হওয়ায় লোকসানে আছে এমন অজুহাতে ঋণের কিস্তি দিচ্ছেন না মালিক। প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে ঢুকতে প্রথমে বাধা এলো। অনেক চেষ্টার পর ভেতরে ঢুকে দেখা গেলো পুরোদমে কাজ চলছে। ছবি তুলতে গেলে আবারো বাধা! আর কথা বলতে চাইলেও মালিক পক্ষের কেউ সামনে এলেন না।
যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছে ৫টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সুদে-আসলে ১শ’ ৭৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত সেলিম চৌধুরীর সঙ্গেও। তবে বিষয়টি আমলেই নিলেন না তিনি। মুখ খোলেনি ঋণ ইস্যু করা অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও শাখার কেউ।
একইভাবে অগ্রণী ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র করপোরেট শাখা থেকে ‘সরদার অ্যাপারেলসে’র ২টি ইউনিটের মাধ্যমে রিজিয়া বেগম খেলাপী হয়েছেন ৯২ কোটি টাকা। একই শাখা থেকে মহাখালীর ওয়ারলেস গেইটের ‘সিদ্দিক ফ্যাশন’ও টাকা নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না। ঋণপত্রে প্রতিষ্ঠান ২টির দেয়া ফোন নম্বরগুলো বন্ধ হয়ে আছে। বিপাকে পড়ে শাখার ব্যবস্থাপকও মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।
অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা ৪ হাজার ৯শ কোটি টাকার ২শ’ কোটি-ই আর ফেরত আসবে না- এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ব্যক্তির পাশাপাশি সরকারি খাতেও মোট ঋণের ৫ শতাংশ খেলাপি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন এমন অপসংস্কৃতির অবসান না হলে ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে ব্যাংকটির সামনে।
এ নিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কথা বলতে না চাইলেও ব্যাংকেরই ১টি সূত্র জানিয়েছে বহিঃনিরীক্ষক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ঋণ অডিট করানো হচ্ছে।
এমসি/ডিএইচ
মন্তব্য করুন