• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বিমানের কার্গোতে ৭২০ কোটি টাকার হরিলুট!

জুলহাস কবীর

  ২১ জুলাই ২০১৮, ১৩:৩৬

ফেব্রুয়ারি থেকে মে। ইন্টারনাল অডিট আপত্তির পর চলতি বছরের এই চার মাসেই ননসিডিউল ফ্রাইটার বা মালবাহী জাহাজে কার্গো হ্যান্ডেলিং চার্জ বাবদ বিমানের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৬৩ হাজার ৩৪২ টাকা।

গত দুই বছরে কার্গো শাখায় ননসিডিউল ফ্রেইটারের কাছ থেকে ইনবাউন্ড-আউটবাউন্ড কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবদ ৭৬ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। বিমানের আভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর ননসিডিউল ফ্রেইটার সিল্ক ওয়ে ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বহন করা ১৬ হাজার ৬৮৪ কেজি মালামালের কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবদ দুই লাখ ৩৩ হাজার ৫২৯ টাকা এবং ওই বছর ৪ ডিসেম্বর একই এয়ারলাইন্সের আর একটি ফ্লাইটে বহন করা ১৮ হাজার ১০৭ কেজি মালের চার্জ বাবদ দুই লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৫ টাকা আদায় করেছে বিমান।

বিজ্ঞপ্তি না থাকার অজুহাতে যে টাকা ২০০৮ সাল থেকে বিমানের কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি। যা আদায়যোগ্য ছিল বলে প্রতিবেদন উঠে এসেছে।

অডিট শাখার হিসাব মতে, ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর ৭৬ কোটি টাকা হারে অর্থ লুটপাট হয়েছে। অর্থাৎ এই হারে, ২০০৮ সাল থেকে কমপক্ষে ৭২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। যা বিমানের অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে এই খাতে অনিয়মিত আদায় হলেও ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে কার্গোর মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পান বর্তমানে গ্রাহকসেবা বিভাগের পরিচলাকের পদে থাকা আলী আহসান বাবু। মূলত এরপর থেকে বিজ্ঞপ্তি না থাকার অজুহাতে ননসিডিউল ফ্রেইটারের কাছ থেকে অর্থ আদায় বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে বিমান বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

বিমানের সবমহলে আলোচিত হলেও এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও তদন্ত কমিটি গঠন করেনি কর্তৃপক্ষ।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ক্ষতিপূরণ না দিয়েই এলিভেটেড এক্সপ্রেসের উচ্ছেদের কাজ শুরুর অভিযোগ (ভিডিও)
--------------------------------------------------------

প্রশ্ন উঠেছে, দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে কেন তিনি বিজ্ঞপ্তির ব্যবস্থা করেননি? এবং বিমানের লাভের চিন্তা না করে কেন বিজ্ঞপ্তির অজুহাত দিচ্ছেন?

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুখ খুলেননি আলী আহসান বাবু।

বেশ কয়েকদিন তার অফিসে ধরণা দিয়েও দেখা মেলেনি তার। গেটেই বারবার আটকে দেয়া হয় আরটিভির টিমকে। পরে তার রুমে যাওয়ার অনুমতি মিললেও দেখা করেননি তিনি।

বিমানের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন এমন খবর পেয়ে আরটিভি টিম সেখানে গেলে দেখা মেলে তার। বিমানের এই হরিলুটের বিষয়ে কথা বলতে গেলে ক্যামেরা বন্ধ করে দেন তিনি।

পরে গোপনে তার বক্তব্য ধারণ করা হয়। বিমানের ইন্টারনাল অডিট রিপোর্টকে ভুল দাবি করেন তিনি।

অনেকটা এড়িয়ে যাওয়ার মুহূর্তে আলী আহসান বাবু প্রশ্ন করে বলেন, বিমানের ইন্টারনাল অডিট রিপোর্টে যা বলা হয়- তা কি সব সময় ঠিক? ওই রিপোর্ট তো ভুল। এখানে রাষ্ট্রের কোনও ক্ষতি হয়নি।

আরটিভি টিমকে তিনি বলেন, আপনারা যা পারেন লেখেন, কোনও অসুবিধা নেই।

এই হরিলুটের ব্যাপারে বিমানের চেয়ারম্যান ও এমডির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও জনসংযোগ বিভাগ তার ব্যবস্থা করে দেয়নি। বারবার ফোন করার পরও ফোন ধরেননি এমডি।

এসআর/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
সাকিবের কাঁধে ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ
আঙুরে বাংলাদেশের বর্ধিত শুল্ক তুলে নিতে আবেদন ভারতীয় চাষিদের
এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিলের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠন
X
Fresh