• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিশেষ গোপনীয় কারণে ইয়াবায় আসক্ত নারীরা?

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ৩০ জুন ২০১৮, ১৮:০৭

অপ্রতিরোধ্য মরণঘাতী নেশা ইয়াবা। এই ভয়াল মাদকাসক্তি তারুণ্য, মেধা, বিবেক, লেখাপড়া, মনুষ্যত্ব সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে, বিনষ্ট করছে স্নেহ, মায়া, ভালোবাসা, পারিবারিক বন্ধন পর্যন্ত।

ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইমের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাদকাসক্তদের ৬৮ ভাগই এখন ইয়াবাসেবী। এদের মধ্যে ৩০ ভাগই নারী। পরিবারের সঙ্গে দূরত্বের কারণে মাদক সেবনে উৎসাহিত হচ্ছে অনেক তরুণী। আবার ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েনের থেকেও মাদকাসক্ত হচ্ছেন কেও কেও। আর কুসঙ্গে পড়েও অনেকে সেবন করছেন মাদক। এছাড়া ইয়াবা সেবনে শরীরের ওজন কমে বাড়ায় যৌন উত্তেজনা এমন ধারনা থেকেও কেউ কেউ ইয়াবায় আসক্ত হচ্ছেন।

ছদ্মনাম রত্না। উচ্চবিত্ত পরিবারের এই তরুণী সবেমাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। শখ মোটরবাইক চালানো। মোটরবাইক চালায় এমন একটি দলের সঙ্গে দুই বছর আগে সখ্যতা গড়ে ওঠে তার। সেখান থেকেই মাদক নেয়া শুরু। প্রথমে সিগারেট, এখন চলছে ইয়াবা।

রত্না (ছদ্মনাম) জানায়, উনারা জানত আমার খারাপ লাগতো, তাই যা চাইতাম তাই দিত। আমাকে বাইত কিনে দিলো, সেটি চালানো শিখলাম, পরে বাইক চালাতো এমন একটি দলের সঙ্গে ঢুকলাম। সেখানে সিগারেট খাওয়া শিখলাম।

আকাশ সংস্কৃতি আর স্মার্টফোনের এই যুগে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে মেয়েটির। বললেন সে কারণেই মাদক গ্রহণে উৎসাহী হয়েছেন রত্না।

তিনি বলেন, আম্মু অনেক কথা বলতো খোঁচা মেরে। সেগুলো আমার খারাপ লাগতো। দুষ্টুমি করে ইয়াবা খেতে গিয়েই আমি আসক্ত হয়ে পরি।

রত্নার (ছদ্মনাম) মতো যারা মাদকাসক্ত, তাদের গল্পটা প্রায় একই। সাথী (ছদ্মনাম) নামে আরেক মেয়ে জানালো, পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব অথবা সম্পর্কের টানাপড়েন থেকেই পা তিনি বাড়াচ্ছে মাদকের জগতে।

মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা-মানসের সভাপতি ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ইয়াবা নিয়ে মেয়েদের অনেক ভুল ধারণা, শরীরের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনে। এই মহাভয়ানক মাদক সেবন করলে মনে উৎফুল্ল ভাব তৈরি হয়, যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায়, কিছুটা ওজন কমে, মনে উত্তেজনা আসে। তাই কৌতূহলবশত ইয়াবা সেবন করে থাকে অনেকে। কিন্তু কিছুদিন ইয়াবা সেবনের পর দেখা দিতে শুরু করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। প্রথমেই শুরু হয় মানসিক অবসাদগ্রস্ততা।

তিনি বলেন, ইয়াবা সেবনের পর প্রথমে যৌন উত্তেজনা বাড়লেও ধীরে ধীরে এর উত্তেজনা কমে আসে। পরে যত ইয়াবাই সেবন করুক না কেনা সে রকম আর উত্তেজনা হয় না, ফলে এক পর্যায়ে যৌন শক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে।

ঢাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জানান, মাদকাসক্তের সমস্যাটা এখন ঘরে ঘরে। এই সমস্যার বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। মাদককে না বলতে হবে। সন্তানদের মাদকের ছোবল থেকে দূরে রাখতে, পরিবারের ভূমিকাই মুখ্য।

সহজপ্রাপ্যতার কারণেই মাদকে ঝুঁকছেন মেয়েরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাদকের ভয়াল প্রভাব থেকে সমাজকে বাঁচাতে এর মূল হোতাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ট্রেনের ইঞ্জিনে ঝুলছিল অজ্ঞাত নারীর মরদেহ
আখাউড়ায় ১৮০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক 
নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা
নারী কয়েদির সঙ্গে কারারক্ষীর অনৈতিক সম্পর্ক, অতঃপর...
X
Fresh