• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পথ শেষ হয় না ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের (ভিডিও)

জুলহাস কবীর, আরটিভি

  ০৯ জুন ২০১৮, ১৮:৩৯

এবার ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়ক। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের কাজ চলায় টানা বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায় গাজীপুর চৌরাস্তা, বাইপাসসহ আশপাশের সড়ক। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঈদে এই রুট ব্যবহাকারী যাত্রীদের ভোগান্তির মাত্রা বাড়াবে কয়েকগুণ।

রৌদ্রজ্জ্বল দিনেও যে মহাসড়কে পানি জমে থাকে যানজট তো সেখানে স্বাভাবিক ঘটনা। পথ যেন ফুরাতেই চাই না ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কে। বাস-র‌্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটিএ’র প্রকল্পের ড্রেন ও ওভারব্রিজের পাইলিং এর কাজ চলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর চৌরাস্তাসহ আশপাশের বড় একটা অংশ খোরা হয়েছে। শেষ হয়নি ড্রেনের কাজ। ফলে বেহাল অবস্থা ব্যস্ত এই মহাসড়কের। ঈদের আগে যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা কাজে আসেনি।

ভুক্তভোগীরা বলেন, চার লেনের রাস্তা তিন লেনেই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। বাকি এক লাইনে জমা পানির উপর দিয়ে গাড়ি চলে। গাড়িগুলো ধীরে ধীরে জমে অনেক যানজটের সৃষ্টি হয়।

কয়েকটি পরিবহনে চালক বলেন, যাতায়াতে অনেক সময় লাগছে। সবাই অনেক কষ্টে আছে। যে অবস্থা দেখছি আমরা মনে হয় যাত্রীদের ঈদ ঠিকভাবে করাতে পারবো না।

এদিকে এই মহাসড়কের অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে বোর্ড বাজার থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক পর্যন্ত কয়েকশ মিটারের মধ্যে আছে চারটি ইন্টারসেকশন। সড়কের এমন অব্যবস্থাপনায় তীব্র হচ্ছে যানজট। তাছাড়া বালুর ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের দখলে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক।

সড়ক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, জলাবদ্ধতা রাস্তার রাইডিং কোয়ালিটি কমিয়ে দেয়। যেকোনওভাবে হোক রাস্তার পানি যদি পাম্প দিয়ে সরিয়ে ফেলা যায় তাহলেও কিন্তু রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী থাকবে এবং রাস্তার ধারণ ক্ষমতাও থাকবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চন্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে তেলিপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যজুড়ে চার লেনের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় দুই লেনই দখল করে পার্কিং করা হয়েছে বালুর ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ। এতে দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হচ্ছে।

এ রুটে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ আর পথচারীদের হুটহাট রাস্তা পারাপার দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ। দুর্ঘটনা রোধে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকেও বাড়তি দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান এই বিশেষজ্ঞের।

বুয়েটের এআরআই’র সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, প্রতি ঈদেই অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা যদি এটা রোধ করতে চাই তাহলে আমাদের মহাসড়ক নিরাপদে রাখতে হবে। পাশাপাশি আমাদের ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপগুলো ঈদের আগেই শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম।

অন্যদিকে বালুর ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও পিকআপ ভ্যানের দখলে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। এ কারণে মহাসড়কটিতে প্রায় প্রতিদিন দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে।

এসএস/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট
সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ 
মহাসড়কের পর ট্রেনে মই ব্যবসা
X
Fresh