উড়োজাহাজ লিজ নিতে কেন ব্যর্থ হলো বিমান?
চলতি হজ মৌসুমে প্রায় ৬৫ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করার কথা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের। এজন্য প্রস্তুতিও দীর্ঘদিনের।
তবে ২০১৮ সালের সার্বিক ফ্লাইট শিডিউল নির্বিঘ্ন রাখতে চারটি উড়োজাহাজ লিজ নিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে চুক্তি করতে পারেনি বিমান।
দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক এসিএমআই২৪ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চারটির পরিবর্তে দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার বিষয়েও চুক্তি করতে পারেনি বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এ এয়ারলাইন্সটি।
এদিকে, গেলো ৫ই এপ্রিল আবারো দুটি উড়োজাহাজের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে বিমান।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মহাকাশে ৫৭তম দেশ হিসেবে স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
--------------------------------------------------------
তবে হজের মত নির্ধারিত বিষয়ে আগে থেকে দরপত্র দিয়েও উড়োজাহাজ লিজ নিতে বিমান কেন ব্যর্থ হলো, তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।
হজ ফ্লাইটের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরো কৌশলী হওয়ার পরামর্শ সাবেক বিমানমন্ত্রী জি এম কাদেরের। তিনি বলছেন, হজ ম্যানেজমেন্টে নাম্বার ওয়ান বাংলাদেশ। এখন যে অবস্থা, এটা খুবই দু:খজনক। কতটি কী লাগবে, সেটা তো আগে থেকেই সব প্ল্যান করতে হবে। প্ল্যান বি না হলে প্ল্যান সি হবে।
বিমানের মহাব্যবস্থাক শাকিল মেরাজ বলছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উড়োজাহাজগুলো লিজ নেয়া সম্ভব হবে। দুটো জাহাজ যোগ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। মালয়েশিয়ার এয়ারলাইন্স থেকে সহায়তা পাচ্ছি। আশা করছি, আগামী ১৪ জুলাই প্রথম হজ্ব ফ্লাইটের আগেই জটিলতা কেটে যাবে।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক বিমানমন্ত্রী ফারুক খান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বিমান হজের মতো স্পর্শকাতর বিষয়কে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়। তারপরও এবার কেন লিজ নিয়ে জটিলতা হলো, তা তদন্ত করে দেখা হবে।
এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিমানের কোনো কর্মকর্তা অবৈধ কমিশন নিয়েছেন কিনা তাও তদন্ত করে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন :
এসজে
মন্তব্য করুন