• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে অর্ধশত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

সিয়াম সারোয়ার জামিল, আরটিভি অনলাইন

  ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:০৮

নতুন করে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ৪৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেলো। সব মিলিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে একশটিতে; যার মধ্যে বর্তমানে ৯৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আরও অন্তত এক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদনের সরকারি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। গেলো ২৯ জানুয়ারি সবশেষ ‘জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়’ অনুমোদন দেয়া হয়েছে রাজধানীর গুলশানে। বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্যোক্তা ড. এম. জুবায়দুর রহমান।

অনানুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রণালয় বা ইউজিসির তথ্য হচ্ছে, গুটি কয়েক বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলছে। বাকিগুলো শর্ত পূরণ ছাড়াই চলছে যেনতেনভাবে। এগুলোর কোনো কোনোটির বিরুদ্ধে শিক্ষার নামে সনদ বিক্রিসহ রয়েছে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ। কিন্তু তবু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ছেই।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ঢাকার সড়কের মাঝখানের গাছগুলো মরছে কেন? (ভিডিও)
--------------------------------------------------------

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মহিউদ্দীন খান বলেন, দেশে শিক্ষার্থীদের তুলনায় পর্যাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় নেই। সেদিক বিবেচনা করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া প্রয়োজন।বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনে সমস্যা হলো শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ করা। তারা (উদ্যোক্তা) অনুমোদন নিয়ে মান রক্ষা করতে পারছেন না। স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গিয়ে ভাড়া বাড়িতে শিক্ষা দেন। মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে না- এ ধরনের অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা করছি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো ‘খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়’ ও ‘আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’। বিশ্ববিদ্যালয় দুটির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে যথাক্রমে-১৪০ কেডিএ, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ সড়ক, ছোট বয়রা, সোনাডাঙ্গা, খুলনা এবং ২১৬/১ তালাইমারি, পো. কাজলা, রাজশাহী-৬২০৫।

বিশ্ববিদ্যালয় দুটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট কাজী রফিকুল আলম। এর আগে তিনি ‘আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির’ অনুমোদন নিয়ে পরিচালনা করছেন। মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ৩৬ ধারা অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতিতে এবং একই আইনের ৭ এর ১ ও ২ ধারা অনুযায়ী ২৩টি শর্তে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়ার তোড়জোড় চলছে। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে, প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি করে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা। সরকারের এই মনোভাব বুঝতে পেরে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সরকার ঘনিষ্ঠ অনেকেই জেলা শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত দক্ষ শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসির চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষক-অবকাঠামো সংকট রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা, আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজ ব্যাহত হয়। আমরা চেষ্টা করছি, সব শর্ত পূরণ করেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুমোদন দেয়ার। নতুন দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ও শর্ত পূরণ করে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

তবে ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে ভিন্নমত জানিয়ে বলেন, এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়াই ঠিক হয়নি। দুর্বল কাঠামোর ওপর অনুমোদন দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অধ্যাপক নিয়োগ নিয়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের মধ্যেও অবহেলা আছে। নিয়মিত উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না।

আরও পড়ুন :

এসজে/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা
‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অনুমোদনের সময় এসেছে’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে
X
Fresh