ঈদ শেষে খেলার মাঠ পরিণত হয় ভাগাড়ে
প্রতি বছর ঈদুল আযহার আগে রাজধানীর খেলার মাঠগুলো পরিণত হয় পশু হাটে। আর ঈদ শেষে সেগুলো পরিণত হয় খানা-খন্দ ও ভাগাড়ে। ফলে একদিকে যেমন শিশু-কিশোররা বঞ্চিত হয় খেলার সুযোগ থেকে, তেমনি পরিবেশ হয় দূষিত।
ফুটবল-ক্রিকেট খেলার সুযোগ না পেয়ে মহাখালীর টি অ্যান্ডটি মাঠে এখন শিশুরা খেলে নোংরা, দুর্গন্ধময় কাদা ছোঁড়াছুড়ি খেলা। অথচ ঈদুল আযহার আগেও নানা ধরনের খেলায় মগ্ন থাকতো শিশুরা। হৈ-হুল্লোড়ে মাতিয়ে রাখতো এলাকা।
এছাড়া মাঠের খানা-খন্দের কারণে অলস পড়ে আছে স্থানীয় শিশুদের সাইকেলগুলো। তবে এর মধ্যেও দুরন্ত কোনো শিশু সাইকেল চালানোর চেষ্টা করে শিকার হচ্ছে দূর্ঘটনার।
মাঠের পাশেই ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়। তবে সেখানে গিয়ে কারো দেখা মিললো না।
কয়েকবার চেষ্টা করে কাউন্সিলরকে না পেয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে বনানী ডিওএইচএসের বাড়িতে যেতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে যেতেও বাধা!
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, এই মাঠে পশু হাটের ইজারাদার কাউন্সিলর নাসিরের বোনের স্বামী ফারুক। তিনিও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হয়ে পাশের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। মফিজুর রহমানও ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি নন।
তবে হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য মাঠটিকে খেলার উপযোগী করে দেয়ার আশ্বাস দেন।
খেলার মাঠকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা। রাজধানীর সব মাঠকে শিগগিরই খেলার উপযোগী করার দাবি জানালেন তারা।
বিষয়টির সঙ্গে একমত ক্রীড়া উপমন্ত্রীও।
এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে, এমনটাই চাওয়া সবার।
কে/ডিএইচ/এসজেড
মন্তব্য করুন