• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ব্লু ইকোনমিতে কতটা সক্ষম বাংলাদেশ?

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৩১

সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করার কথা বলা হলেও সম্পদের সঠিক তথ্য নেই কারো কাছেই। এমনকি সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানে এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো জরিপও হয়নি। তৈরি হয়নি সমুদ্রে কাজ করার মতো বিশেষজ্ঞ দলও।

এসব না হওয়ার পেছনে সমুদ্রের প্রতি মানুষের অনাগ্রহকে দায়ী করছেন ব্লু ইকোনমি বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, শুধু মাছই রয়েছে প্রায় ৫০০ প্রজাতির। এছাড়া রয়েছে শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, অক্টোপাস, হাঙ্গরসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণি। যেগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অর্থকরী ফসল হিসেবে চিহ্নিত।

বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, বঙ্গোপসাগর থেকে যেসব প্রাণিজ সম্পদ আর খনিজ সম্পদ আসবে, তা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

কিন্তু এসব সম্পদ আহরণে কতটা সক্ষম বাংলাদেশ?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাওসার আহমেদ বলেন, সমুদ্র সম্পদ বলতে শুধু মাছ ধরা ছাড়া আমাদের উল্লেখযোগ্য কিছু বলার নেই।

জতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা- এফএও এর হিসেবে ২০১৬ সালে বঙ্গোপসাগর থেকে ৮০ লাখ টন মাছ ধরা হলেও বাংলাদেশ পেরেছে মাত্র ৯৫ হাজার টন। কারণ, দেশের ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসীমার মধ্যে মাছ ধরার সীমা ৩৭০ কিলোমিটার। অথচ বাংলাদেশের জেলেরা যেতে পারেন কেবল ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশের এখানে অভিজ্ঞতা খুব কম। গভীর সমুদ্রের জন্য আমাদের ট্রলার নেই বললেই চলে। মৎস্য সম্পদ আহরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি দূরে কোথাও যায় না।

গেলো বছর সাগরে মাছ অনুসন্ধানের জন্য একটি জাহাজ কেনা হলেও সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধানের জন্য এখনো কোনো জাহাজ নেই। অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরকে ২৮টি ব্লকে ভাগ করে একবার খনিজ সম্পদ আহরণে ব্যর্থ অনুসন্ধানের পর এখন পর্যন্ত আর ওই পথে এগুনো হয়নি!

এই গবেষক বলেন, যদি একটা সার্ভে করা থাকে, তাহলে আমরা বলতে পারবো- একটা নির্দিষ্ট এলাকাজুড়ে মাছ আছে। মাছ শিকারীরা সেক্ষেত্রে ওই এলাকাতে মাছ শিকার করতে পারবে। এ কারণে সার্ভেটা খুব জরুরি।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ব্লু ইকোনমি নিয়ে বাংলাদেশে বড় ধরনের গবেষণা হয়েছে- এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এর সম্ভাবনা নিয়ে কিছু গবেষণা হয়েছে।

ব্লু-ইকোনমি সেলের উপদেষ্টা রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবঃ) মোঃ খুরশিদ আলম দাবি করেন, সমুদ্রসম্পদ নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য আছে। তবে, এখনো পর্যন্ত জরিপ চালানোর সামর্থ্য হয়নি।

এসআর

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফের পেছাল এস কে সিনহার অবৈধ সম্পদের মামলার প্রতিবেদন
সমুদ্রের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে যৌথ উদ্যোগ ভারত ও ওমানের
বেনজীরের সম্পদ: অনুসন্ধান প্রতিবেদন নিয়ে দুদককে হাইকোর্টের যে নির্দেশ
বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক
X
Fresh