ব্লু ইকোনমিতে পাল্টে যেতে পারে দেশের অর্থনীতি
সমুদ্র সম্পদ নির্ভর নীল অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা নষ্ট হচ্ছে অবহেলায়। সমুদ্র সম্পদ আহরণে নেই সরকারি-বেসরকারি কার্যকর উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণে এমন সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বিরোধ থাকলেও আগে থেকেই বাংলাদেশের পুরো দক্ষিণভাগ জুড়ে আছে বিশাল সমুদ্র। ২০১৩ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা এখন সার্বভৌম। যেখানে আছে সম্পদের ভাণ্ডার।
ব্লু ইকোনমি সম্পর্কে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, সামুদ্রিক এলাকায় প্রধানত খনিজ সম্পদ রয়েছে। বালিতে একরকম। আবার পানির গভীরে আরেক রকম। পানির গভীরে গ্যাস সম্পদ আছে।
আরেক বিশেষজ্ঞ বলেন, শুধু মাছই রয়েছে প্রায় ৫০০ প্রজাতির। এছাড়া রয়েছে শামুক, ঝিনুক, কাঁকড়া, অক্টোপাস, হাঙ্গরসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণি। যেগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অর্থকরী ফসল হিসেবে চিহ্নিত।
ওই বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে যেসব প্রাণিজ সম্পদ আর খনিজ সম্পদ আসবে, তা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতি থেকে যদি আমরা ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি না পাই, তবে বর্তমান সরকারের ২০৪১ এর যে ভিশন তা ব্যাহত হবে। ফলে আমরা এই সময়ের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াতে পারবো না। তাই এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। নীল পানির নিচে লুকিয়ে থাকা এসব সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে পাল্টে যাবে দেশের চেহারা।
এসআর/পি
মন্তব্য করুন