থামছে না চাল নিয়ে চালবাজি
চাল নিয়ে চালবাজি! আপাতত এই বাক্যটিই যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। তাই তো এক কেজি মোটা চাল কিনতেই পকেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা।
এছাড়া গরিবের চালখ্যাত স্বর্ণা, গুটি ও আটাশ মোটাচাল কিনতেও খরচ হয়ে যাচ্ছে ৪২ থেকে ৪৮ টাকা।
রাজধানীর পাইকারি চালের আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চালের মধ্যে রশিদ, বিশ্বাস, মজুমদার, দাদা ও জোয়াদ্দার ব্র্যান্ডের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়। খুচরা বাজারে যা আরো বেশি।
কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না চালের বাজার। গত কয়েক মাস ধরে চালের দাম বাড়া-কমার প্রতিযোগিতায় বেসামাল হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। সরকারিভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল মজুদের জন্য ঢাকার ভেতর গুদাম না থাকায় মিল থেকেই সব সময় চাল আনতে হয় তাদের। এর ফলে মিল মালিকদের নির্ধারিত দামের ওপর কমিশনের ভিত্তিতে চাল বিক্রিও করতে হয় তাদের।
তবে বাদামতলী ও বাবুবাজার চাউল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন দাবি করেন, চালের দামে হেরফের করার কোনো সুযোগ আড়তদার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের থাকে না।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, এমন পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের ওপর ছেড়ে না দিয়ে সরকারকে লাগাম নিজের হাতে রাখতে হবে। পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার তদারকিতে আরো কঠোর হতে হবে।
আরকে/এসআর
মন্তব্য করুন