• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রভাবশালী অসাধু ব্যক্তির কাছে জিম্মি পরিবহন খাত!

মাসুদ মোস্তাহিদ

  ১১ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৪২

দেশের ১৬ কোটি মানুষের জীবনযাত্রায় জড়িত পরিবহন খাত। যার মূল উদ্দেশ্য সেবার বিনিময়ে মুনাফা অর্জন। কিন্তু অর্থনীতির চালিকাশক্তির এ অন্যতম খাতটিকে নিজস্ব সম্পত্তি বানিয়ে নিয়েছে অসাধু একটি চক্র।

এছাড়া প্রভাবশালী কিছু অসাধু ব্যক্তির কাছে যেন জিম্মি হয়ে পড়েছে পরিবহন খাত। গায়ে শ্রমিকের তকমা লাগিয়ে পেশির জোরে লুটে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এসব সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ক্ষমতাসীন বা ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক নেতারাও।

ছোট পরিসরে চাঁদাবাজদের ভেল্কিবাজি চোখে না পড়লেও সামষ্টিক হিসেবে এদের অরাজকতার চিত্র সহজেই বোঝা যায়। বিআরটিএ’র তথ্যমতে, দেশে এখন নিবন্ধনকৃত যানবাহনের সংখ্যা ৩২ লাখের বেশি। এর মধ্যে বাস-ট্রাক, পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান, হিউম্যান হলার-টেম্পু-অটোরিকশার মতো যানবাহনের সংখ্যা ছয় লাখ ৯২ হাজার ৫৬৫টি। প্রতিদিন একেকটি থেকে ২০ টাকা করে চাঁদা উঠলে দিনে প্রায় দেড় কোটি ও মাসে ৪১ কোটি টাকার বেশি চাঁদা ওঠে।

নিবন্ধনকৃত পরিবহন ৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৫টি। ২০ টাকা হারে প্রতিদিনের চাঁদার পরিমাণ ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকা, প্রতি মাসে ওঠানো চাঁদার পরিমাণ ৪১৫ কোটি ৫৩ লাখ নয় হাজার টাকা। এটি কেবল খাতাপত্রের হিসেব। বাস্তব চিত্র আরো ভয়াবহ।

কি কারণে আদায় করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ এই টাকা। আর কোথায়ই বা যাচ্ছে তা? এসবের কোনো হিসেব নেই। সাধারণ শ্রমিকরা বলছেন তাদের নাম ভাঙিয়ে একটি সিন্ডিকেট কষ্টার্জিত টাকা নিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। তিনি নামে শ্রমিক হলেও বেশ কয়েকটি বাসের মালিক। আছে গাড়ি ও ব্যাটারির ব্যবসা, টঙ্গীতে ফিলিং স্টেশন, গাজীপুরে আছে দুটি বাড়ি, গুলশানে দামি ফ্ল্যাট।

সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দীর্ঘদিন যাবত পুরো পরিবহন খাতকে সে জিম্মি করে রেখেছে। আজ সে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক।

তবে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে আরটিভি টিম বেশ কয়েকবার ওসমান আলীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। ব্যর্থ হতে হলো শ্রমিক ফেডারেশনের অফিসে গিয়েও।

কেবল ওসমান আলী নন পুরো পরিবহন খাতকে দখল করে রেখেছে শ্রমিক নামধারী স্বার্থান্বেষী মহল।

এছাড়া সিন্ডিকেট চক্রের পৃষ্ঠপোষকতায় চলে টার্মিনালে দখলবাজিও।

পরিবহন খাতে এমন হযবরল অবস্থা নতুন কিছু নয়। সরকার বদল হলেও বদলায় না এদের অবস্থান। তাই, যুগ যুগ ধরে এমন দৌরাত্ম্যের কাছে জিম্মি সাধারণ মালিক-শ্রমিকরা।

আরকে/জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে বিমানবন্দরে বাস, প্রকৌশলী নিহত
বিআইডব্লিউটিএ-বিআইডব্লিউটিসির ক্রয় পরিকল্পনা উপস্থাপনের নির্দেশ
সদরঘাটে হতাহতে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
X
Fresh