মাংসের দাম বাড়ার কারণে জনপ্রিয় হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগী
প্রাণীজ আমিষের স্বাভাবিক চাহিদা পূরণে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
মানুষের পেশি গঠন, ওজন কমানো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসহ মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে প্রাণীজ আমিষ।
ইউনাইটেড ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার স্টাডিজ জানিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের প্রতিদিনের খাবারে সবচেয়ে বেশি প্রাণীজ আমিষ সরবরাহ করছে পোল্ট্রি মুরগির মাংস।
গবেষণা বলছে, প্রোটিন, ময়েশ্চার, শক্তি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, কোলেস্টেরল, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের যোগান দেয় মুরগীর মাংস।
এদিকে পুষ্টিবিদরা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবজি ও ডালের পাশাপাশি সাধ্যমতো মাছ এবং মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু পাগলা ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গরু এবং খাসির মাংসের দাম।
এমন দাম বাড়ার কারণে জনপ্রিয় হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগী। প্রতি ১০০ গ্রাম মুরগীতে প্রাপ্ত উপাদান ময়েশ্চার বা আর্দ্রতা ৬৫ গ্রাম, শক্তি ২১৫ কিলো ক্যালরি, প্রোটিন ১৮ গ্রাম, ফ্যাট ১৫ গ্রাম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ৪ গ্রাম, কোলেস্টেরল ৭৫ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ২০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৪৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৮৯ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৭০ মিলিগ্রাম, জিংক ১.৩ মিলিগ্রাম এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সব মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে না পারলে দীর্ঘমেয়াদী পুষ্টিহীনতায় ভুগবে জাতি। এক্ষেত্রে পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তাই দেশের পোল্ট্রি শিল্পকে আরো আধুনিকায়ন করতে পারলে বিশ্ব বাজারেও বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান গড়ে তুলতে পারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আরকে/জেবি
মন্তব্য করুন