সুযোগ পেলে সবাই চলে উল্টোপথে!
মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ উল্টোপথের যাত্রী এখন প্রায় সব পেশার লোক। মুখে ট্রাফিক বিভাগের সমালোচনা করলেও অবৈধ সুবিধা নিতে অনীহা নেই কারো।
সরকারি কাজের দিনগুলোতে অফিস ছুটির পর শুরু হয় বাড়িমুখী স্রোত। লাখ লাখ লোক একসঙ্গে নামায় চাপ বাড়ে ঢাকার রাস্তায়। মন্থর হয়ে পড়ে গাড়ির গতি।
এ সময়ই অধৈর্য হয়ে উল্টোপথ ধরেন কিছু লোক। ডাক্তার, সচিব, গণমাধ্যম, সরকারি প্রতিষ্ঠান কে নেই এই উল্টোপথে! এখানে কোনো দল-মত নেই। চোরা এই সুবিধা নিতে সবাই একমত। আর ট্রাফিক পুলিশ না থাকলে তো কথাই নেই।
তবে উল্টোপথে যাত্রা করা গাড়িটি ধরা পড়ার পর মালিকরা সমস্ত দোষ চাপান চালকের ঘাড়ে।
এদিকে অনিয়মের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার কথা যার, নিয়ম ভাঙার মিছিলে আছেন সেই সংবাদকর্মীরাও।
সবাই যখন একই পথের পথিক ক্ষমতাহীন সিএনজি অটোরিকশাও বা তখন বাদ থাকে কেন?
অন্যদিকে পুরুষের চেয়ে পিছিয়ে থাকবেন? হয়তো এমন মনোভাব থেকেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছেন কিছু নারী চালকরাও। আবার এ বিষয়ে তারা বিচিত্র কিছু কৈফিয়তও দাঁড় করায়।
আবার মোটরসাইকেলের চালকরা একে রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। নানা কৌশল করেও থামানো যাচ্ছে না তাদের।
আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, ট্রাফিক আইনে উল্টোপথে গাড়ি চালানোর শাস্তি কম হওয়ায় উল্টোপথে চলার এমন প্রবণতা কমছে না।
তবে সবাই যে উল্টো পথে যান তাও নয়। সুযোগ থাকার পরও কেবল আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে কষ্ট সয়ে মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকেন।
আরকে/জেবি
মন্তব্য করুন