জলাবদ্ধতায় ডুবছে নগরী, দর্শকের ভূমিকায় ওয়াসা
দখল-দূষণের হাত থেকে রাজধানীর খালগুলো রক্ষা করতে ওয়াসার নেই সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা। ফলে এসব খাল ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করলে কিংবা ময়লা-আবর্জনা ফেলে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলেও কেবল দর্শকের ভূমিকাই পালন করছে সংস্থাটি।
মাসুল হিসেবে জলাবদ্ধতায় ডুবতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এমন দুরবস্থার জন্য ঢাকা ওয়াসার অবহেলাকে দায়ী করছেন দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন।
রাজধানীর শনিরআখরায় জিয়া সরণি সড়কে হাঁটু পানি জমে থাকার কারণ বৃষ্টি নয়, খালে পানি যেতে না পারায়ই এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ সড়কই পানির নিচে থাকে সারা বছর।
স্থানীয়রা জানায়, দেবধোলাই খালটি ভরে যাওয়ায় সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। অথচ যাত্রাবাড়ী ও আশপাশে পানি নিষ্কাসনের এক মাত্র পথ এটি।
দুই দশক আগের খরস্রোতা খালটি দখল আর দূষণে এখন অস্তিত্ব হারানোর পথে। জায়গায় জায়গায় খালের ওপর গড়ে উঠেছে স্থাপনা। এক পারে রাস্তা ও অন্য পার জুরে বহুতল ভবন ওঠায় প্রশস্ত খালটি এখন রূপ নিয়েছে ড্রেনে।
সব ধরণের বর্জ্যের ভাগারও এ খাল। দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে অন্যান্য খালে ওয়াসা সীমানা চিহ্ন ও পার বেধে দিলেও এখানে তা নেই।
কিন্তু যে সব খালের পার বেধে দেয়া হয়েছে সেগুলোর অবস্থাও একই। এমনই একটি বসাবো খাল। পুরো খালটিই যেন ময়লা আবর্জনার ভাগার। বেদখল হয়ে গেছে, খাল পারের হাটার জায়গাও।
অথচ খাল দখলমুক্ত করা বা পরিষ্কারে ঢাকা ওয়াসার নেই কার্যকর কোন উদ্যোগ। বছরে কেবল নাম মাত্র একবার পরিষ্কার করেই দায়িত্ব শেষ করেছে। এসব বিষয়ে মুখ খুলছে না, ওয়াসা কর্তৃপক্ষও।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন খালগুলোর করুণ দশার জন্য ঢাকা ওয়াসাকেই দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘একটি খাল এক বছর বা ছয় মাসে এই অবস্থাতে দাঁড়ায়নি। খালগুলোর এই অবস্থা হতে ২৫ থেকে ৩০ বছর লেগেছে। এই ২৫-৩০ বছরে ওয়াসার যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদরে মনোযোগ এবং দায়িত্বের অভাবে এমনটি হয়েছে। এখন তাদের উদ্যোগী হয়ে এই সমস্যা সমাধান করা উচিত।’
অবহেলা যারই থাকুক, তার খেসারত আর কত কাল দিতে হবে এমন প্রশ্ন এখন নগরবাসীর।
এসএস
মন্তব্য করুন