কমেছে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ, বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
রাজধানীতে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কমলেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। অথচ মশা দমনে সিটি করপোরেশনের তেমন উদ্যোগ নেই। এরই মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪শ’ ৫০ জনে ছাড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগস্ট থেকে অক্টোবর, এই তিন মাস ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। সে অনুযায়ী সামনের দিনগুলোতে এর প্রকোপ আরো বাড়তে পারে।
কোনোভাবেই যেনো মশার হাত থেকে নগরবাসীর নিস্তার নেই। ক্ষুদে এ পোকা দমনে নানা উদ্যোগ নিলেও কোনোভাবেই মানুষের পিছু ছাড়ছে না মশা। আর তাই চিকুনগুনিয়ার পর এবার বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
খানাখন্দ, ফুলের টব, বাড়ির ছাদ কিংবা নর্দমায় জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই জন্ম নেয় চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা। তাই বিষাক্ত এ মশার কামড় থেকে রেহায় পেতে দিনের বেলাতেও মশারি ব্যবহার করছেন অনেকেই।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেলেও সিটি করপোরেশনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ নগরবাসীর। তারা জানান, মশার ওষুধ ঠিক মতো দেয়া হয় না। এক এলাকায় আসলে তো অন্য এলাকায় সিটি করপোরেশনের লোকদের দেখা যায় না।
আগস্ট থেকে অক্টোবর এই তিন মাস ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকায় হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যাও। এ ব্যাপারে হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা. মো. আবুল হাসেম বলেন, পরিষ্কার পানিতে এই মশা বংশ বিস্তার করে। কয়েক মাসে আগে চিকুনগুনিয়া প্রাদুর্ভাব দেখা গেলেও এখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি। এডিস মশা ভোরে ও সন্ধ্যায় মূলত মানুষদের বেশী আক্রমণ করে।
এদিকে ডেঙ্গুর জন্য বিশেষ প্রস্তুতি না থাকলেও ঈদের পর স্বাভাবিক নিয়মেই ঔষধ ছিটানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৫ এর এই প্রধান নির্বাহী এস এম অজিয়র রহমান।
তিনি জানান, চিকুনগুনিয়া প্রাদুর্ভাব বলতে গেলে শূন্য কোঠায়। মশা দমনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আগামীতে যদি মশার মাত্রা বাড়ে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে বাঁচতে নাগরিকদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এসএস
মন্তব্য করুন