• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ওষুধ কেনেন অনেকে

ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারে বাড়ছে অসংক্রমিত রোগ (ভিডিও)

মুক্তা মাহমুদ

  ০১ আগস্ট ২০১৭, ১২:৫১

ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারে বাড়ছে অসংক্রমিত রোগ

অ্যান্টি-বায়োটিকসহ ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারে মানুষের মধ্যে অসংক্রমিত রোগ বাড়ছে। এছাড়া ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই ওষুধ কিনছেন অনেকে। এক সরেজমিন প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এমন তথ্য।

ঢাকার এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে অন্তত একটি ওষুধের দোকান নেই। অনেক এলাকায় আবার পাশাপাশি কয়েকটি দোকান। ওষুধে লাভের অংশ একটু বেশি বলে অনেকেই এ ব্যবসায় ঝুঁকছেন।

লাভের আশায় যত্রতত্র দোকান খুলে বসলেও বেশির ভাগ দোকানেই নেই ওষুধ সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থা।

এদিকে ফার্মাসিস্টরা মনে করেন, সাধারণ ওষুধকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারচেয়ে কম তাপমাত্রায় রাখতে হয়। ফলে দরকার পড়ে এয়ারকন্ডিশনারের।

আবার ভ্যাকসিনের মান ঠিক রাখতে পাঁচ থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়ে, যা অনেক ফার্মেসিই মানছে না।

অন্যদিকে, ‘জাতীয় ওষুধ নীতি ২০১৬’এ ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ৩৯ ধরনের ওষুধ বিক্রির অনুমোদন থাকলেও বেশির ভাগ মানুষই ওষুধ কেনেন চিকিৎসকের পরামর্শ বা ব্যবস্থাপত্র ছাড়া।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার জানান, একদিকে সংরক্ষণের বেহাল দশায় গুণাগুণ নষ্ট হওয়া অন্যদিকে ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার। দুয়ে মিলে জাতি এক ভয়াবহ পরিণতের দিকে এগুচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগ, জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬ প্রণয়ন উপ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক জানান, ওষুধের নিরাপদ বিতরণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে মডেল ফার্মেসি রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এজন্য তিনি জোর দিলেন ‘জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬’র বাস্তবায়নের ওপর। সঙ্গে তাগিদ দিলেন ওষুধ পরীক্ষার গবেষণাগার প্রতিষ্ঠায়।

তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতিতে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, টিকাদান কর্মসূচিসহ নানা পদক্ষেপ আশানুরূপ হলেও নিরাপদ ওষুধের ব্যবহারের বিষয়টি এখনো অবহেলিত।

আরকে/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh