• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নতুন রোগের প্রাদুর্ভাবে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (ভিডিও)

মুক্তা মাহমুদ

  ২৯ জুলাই ২০১৭, ১৪:২০

চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু, নিপাহসহ জীবাণুবাহিত নতুন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর এর ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দেশে প্রথম চিকুনগুনিয়া ধরা পড়ে ২০০৮ সালে রাজশাহীর পাবনায়। আর এ বছর তা রীতিমতো মহামারী আকার নেয়। যদিও বিষয়টি স্বীকার করতে আপত্তি আছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।

এদিকে ১৯৯৯ সালে সনাক্ত হওয়া এডিস মশাবাহিত আরেক রোগ ডেঙ্গুর আক্রমণে এ পর্যন্ত ১শ’র মতো মানুষ মারা গেছে। ব্রাজিলসহ দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েক দেশে মহামারী ঘটিয়ে আসা জিকা ভাইরাস চট্টগ্রামে শনাক্ত হয়েছে ২০১৪ সালে।

এর বাইরে ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচ ওয়ান এন ওয়ান ও এইচ ফাইভ এন ওয়ান ভাইরাস এবং এনথ্রাক্সও সনাক্ত হয়েছে। আবার ২০০১ সালে বাদুর থেকে ছড়ানো নিপাহ ও ২০০৭ সালে বার্ড ফ্লু’র ভাইরাস শনাক্ত হয়।

পশু-পাখির এসব রোগ এখন মানুষর মধ্যেও ছড়াচ্ছে। আর ভয়ের বিষয় হচ্ছে রোগ শনাক্ত হওয়ার আগেই মারা যাচ্ছেন আক্রান্ত ব্যক্তিরা।

অন্যদিকে নতুন হওয়ায় এসব রোগের ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যার প্রমাণ চিকুনগুনিয়া।

আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বললেন, বর্তমানে নতুন যেসব রোগ দেখা যাচ্ছে তার বেশিরভাগই আসছে পশু-পাখি থেকে। বৈশ্বিক উষ্ণতা, বিশ্বব্যাপী পর্যটন, অভিবাসন ও অবাধ বাণিজ্যের কারণেই দ্রুত তা এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে আসছে। তবে এসব রোগের চিকিৎসায় ‘ওয়ান হেলথ’ কার্যক্রম হাতে নেয়ার কথাও জানালেন আইইডিসিআরের এই পরিচালক।

অন্যদিকে, হেলথ রাইটস মুভমেন্ট ন্যাশনাল কমিটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিষয়টি কেবল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর ছেড়ে দিলে চলবে না। নিতে হবে সম্মিলিত উদ্যোগ।

তিনি বলেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, নতুন এসব রোগ প্রতিরোধে গণসচেতনতাও জরুরি। পাশাপাশি, এসব রোগ যেন মহামারী আকারে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য বছরজুড়ে নজরদারি রাখার পরামর্শও দিলেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

আরকে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh