• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সৌন্দর্যবর্ধনে বনসাইয়ের বদলে দেশি গাছ কবে? (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ১৮ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৭

সৌন্দর্যবর্ধনের নামে রাজধানীর বনানী থেকে এয়ারপোর্ট রোড পর্যন্ত কোটি টাকার বিদেশি বনসাই গাছ লাগিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সৌন্দর্যবর্ধন করা হচ্ছে বনানী বাসস্ট্যান্ড থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ‘বনানী ওভারপাস টু এয়ারপোর্ট বিউটিফিকেশন’ প্রকল্পের আওতায় কাজটি করছে বেসরকারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ’।

এজন্য রাস্তার দুই ধারের কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, শিশুসহ নানা জাতের দেশি গাছ কেটে চীন থেকে আনা ফাইকাস নামে বিশেষ প্রজাতির বনসাই গাছ লাগানো হয়েছে।

চীন থেকে প্রায় এক হাজার ‘ফাইকাস বনসাই’আনা হয়েছে যার একেকটির দাম দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। সেই হিসেবে গাছগুলো আনতেই খরচ হয়েছে তিন কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার প্রায় একশ’টি বনসাই গাছ লাগানো হয়েছে।

এছাড়া গাছের গোড়ার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতেও খরচ হয়েছে অনেক টাকা। আর প্রতিদিন পানি দিতে লাগছে সাত থেকে আট হাজার টাকা।

কাজ শুরুর পরপরই এ নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এদিকে, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, বনসাই মোটেও পরিবেশবান্ধব নয়। দেশি গাছ কেটে এসব বনসাই লাগানোয় সৌন্দর্য বাড়ার চেয়ে হানি হয়েছে বেশি। সঙ্গে আছে অর্থের অপচয়। আর গাছগুলোও বাংলাদেশের পরিবেশের সঙ্গে বেমানান বলে এসব বনসাই কোনো উপকারেও আসবে না।

তবে হঠাৎ করেই কেন এতো ব্যয়বহুল প্রকল্প? এর তেমন কোনো জবাব খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবেশবিদরা।

ঢাকা সড়ক সার্কেল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান জানান, তীব্র সমালোচনার মুখে আপাতত ‘ফাইকাস বনসাই’ লাগানো বন্ধ আছে। আর এতে সরকার নয়, টাকা দিচ্ছে ভিনাইল গ্রুপ। বিমানবন্দর সড়কের পাশাপাশি ঢাকার আরো কয়েকটি প্রধান সড়ককে দৃষ্টিনন্দন করতে দেশি-বিদেশি আরো চার হাজার গাছ লাগানো হবে। তবে এর সুফল পেতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।

আরকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh