তরুণ পর্যটকদের হাত ধরে উন্মোচিত হচ্ছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র (ভিডিও)
কক্সবাজার, সুন্দরবন ও কুয়াকাটার মধ্যে আটকে থাকা এদেশের পর্যটন শিল্প তরুণ পর্যটকদের হাত ধরে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের নানা প্রান্তে। দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্রের। বিশেষ করে, ৩ পার্বত্য জেলার শতাধিক পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন, দেশী পর্যটকরা। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা অভাবে, এখনো বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, পাহাড় থেকে সমুদ্র কিংবা গহীন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য্যরে খোঁজে প্রতিনিয়ত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়ছেন, শত শত তরুণ পর্যটক। তারাই অবিষ্কার করছেন, নতুন নতুন কেন্দ্র। যা আস্তে আস্তে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে, উজ্জ্বল করে তুলছে।
দিনে দিনে সমৃদ্ধ হচ্ছে, এ দেশের রোমাঞ্চকর পর্যটন বা এ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম। বান্দরবানের উঁচু উঁচু পাহাড়ের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য ঝরণার সন্ধানও দিয়েছেন, এই তরুণেরা। তরুণেরা বলছে তারা ঘুরে বেশ আনন্দ পাচ্ছে। একবার নয় এসব জায়গায় বারবার আসতে মন চাইবে সবার।
ঝুঁকি জেনেও অনেক পর্যটক দেশের সর্বোচ্চ পর্বত ‘তাজিং ডং’-এর চূড়ায় উঠছেন। যাচ্ছেন, আমিয়াখুম বা নাফাখুমের মতো ভয়ঙ্কর সুন্দর রোমাঞ্চকর স্থানগুলোতে। পাড়ি দিচ্ছেন খরস্রোত পাথুরে পাহাড়ি নদী সাঙ্গু। একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শুরু হয়েছে, ‘প্যারসেলিং’। যা এ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে যোগ করেছে, নতুন মাত্রা।
কেবল ৩ পাবর্ত্য জেলায় এ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে যে সম্ভাবনা আছে, তাকে কাজে লাগাতে পারলেই, আকৃষ্ট করা যাবে, বিদেশী পর্যটকদের। তবে এজন্য দরকার, বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রচার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ট্যুরিজ বোর্ডের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন।
এজন্য, সরকারের বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালযয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে এ অঞ্চলে এ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের অন্যতম কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ।
আর/এসজে
মন্তব্য করুন