• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

পাঁচ জঙ্গির লাশ নিচ্ছেনা স্বজনেরা

মাজহার খন্দকার

  ১০ জুলাই ২০১৬, ০৯:৫৮

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় কমান্ডো অভিযানের সময় নিহত পাঁচ জঙ্গি ও রেস্তোরাঁর বাবুর্চি সাইফুল ইসলামের মৃতদেহ এখনো ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচে) মর্গে। কমপক্ষে চারটি পরিবার লাশ নেওয়ার প্রক্রিয়া জানতে খোঁজখবর করছে। তবে পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত কেউ লাশ নিতে আসেনি।

এর আগে ৫ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের একটি দল নিবরাস ইসলাম, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল, শফিকুল ইসলাম ওরফে জুয়েল এবং রেস্তোরাঁর বাবুর্চি সাইফুল ইসলামের ময়নাতদন্ত করে। সিএমএইচে ময়নাতদন্তের পর সেখানেই মৃতদেহগুলো রাখা হয়। হলি আর্টিজানে হামলার পরদিনই শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে সাইফুল ইসলামের বোন ময়না বেগম সিএমএইচে লাশ নিতে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার ময়না বেগমের ফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্তান জঙ্গি হামলায় যুক্ত, এ কথা জানাজানির পর পরিবারগুলো লাশ চাইতে দ্বিধা করছে। তবে পরিবারের সদস্যরা তাঁদের স্বজনদের দিয়ে খোঁজখবর করাচ্ছেন। গতকাল মীর সামেহ মোবাশ্বেরের বাবা মীর এ হায়াৎ কবীর প্রথম আলোকে বলেন, তিনি তাঁর ছেলের মৃতদেহটি একবার দেখতে চান। তিনি জানতে পেরেছেন, মৃতদেহগুলো হস্তান্তরের আগে বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। তাই লাশ পেতে দেরি হবে। সে জন্য তিনি অপেক্ষা করবেন। নিবরাস ইসলামের স্বজন গুলশান থানায় মৃতদেহের খোঁজে গেছেন। কবে মৃতদেহ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তাঁরা এখনো কোনো তথ্য পাননি। রোহান ইমতিয়াজের বাবা এস এম ইমতিয়াজ খান বাবুল এর আগে সন্তানের লাশ চান না বলে জানিয়েছিলেন। তবে গতকাল মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরে কেটে দেন।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, লাশের ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।

এদিকে বগুড়ার খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েলের মা পেয়ারা বেগম ও শফিকুল ইসলামের বাবা মো. বদিউজ্জামান মৃতদেহ চান বলে সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন।

গত সোমবার পায়েলের মা পেয়ারা বেগম, বাবা আবুল হোসেন, বোন হোসনে আরা ও ভগ্নিপতি রঞ্জু মিয়াকে বগুড়া গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পেয়ারা বেগম জানান, ঈদের পর লাশের ব্যাপারে তাঁদের যোগাযোগ করতে বলেছে পুলিশ।

অভিভাবকদের ক্ষমাপ্রার্থনা: নিবরাস ইসলামের বাবা নজরুল ইসলাম ও মা লায়লা বিলকিস তাঁদের সন্তানের কৃতকর্মের জন্য দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। প্রথম আলোয় পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, বাবা-মা হিসেবে তাঁরা লজ্জিত। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশের ভাষা তাঁদের জানা নেই।

ভারতীয় নাগরিক তারিশি জৈনের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন রোহান ইমতিয়াজের বাবা ইমতিয়াজ খান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য দিচ্ছে।

বগুড়ার ধুনটের শফিকুল ইসলামের বাবা বদিউজ্জামানও হলি আর্টিজানের হামলায় ছেলের জড়িত থাকায় সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh