• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রোজা সামনে, দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে চিনির দাম (ভিডিও)

জাহিদ রহমান

  ২৫ মে ২০১৭, ১৩:১৬

রমজানকে সামনে রেখে কয়েক দফায় বাড়িয়েছে চিনির দাম। পবিত্র মাসটিতে চার লাখ টন চাহিদার বিপরীতে সাত লাখ টন মজুদ থাকার পরও, মাত্র ছয় মাসে ৩৬ টাকার চিনি বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ হয়েছে। ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা যোগসাজশে এ দাম বাড়িয়েছেন। এ চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে।

তেল, ছোলা, ডাল, পেঁয়াজের পাশাপাশি, রমজানে চাহিদা বাড়ে চিনির। গেলো বছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বেসরকারি রিফাইনারি মিলগুলোর জন্য পরিশোধিত-অপরিশোধিত মিলে চিনি এসেছে ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন। যা আগের বছরের চে’ প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টন বেশি। পাশাপাশি, ‘বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনে’র ১৫টি চিনিকলে উৎপাদিত হয়েছে, ৫৯ হাজার ৯৮৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। বছরে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে পৌনে ১৮ লাখ টন হাতে থাকার পরও, দফায় দফায় কেবল দামই বাড়ছে।

গেলো ২৮ এপ্রিল, আমদানিকারক এক প্রতিষ্ঠানের চিনি পরিশোধন কারখানা বন্ধ থাকায় এবং অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় অস্থির হয়ে ওঠে চিনির বাজার। এর ওপর কারণে-অকারণে দাম বাড়িয়ে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতাও আছে অনেক ব্যবসায়ীর। আছে মিল মালিকদের যোগসাজশে, মাল খালাসের দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগও।

আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে দেশে পণ্যের দাম বাড়ানো এখন যেনো রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্যারিফ কমিশনের হিসেবে, গেলো এপ্রিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ছিলো কেজি প্রতি ৩১ টাকা। যা কিছুটা বেড়ে এ মাসের শুরুতে দাঁড়ায় ৩৪ টাকা। বর্তমানে সব খরচসহ প্রতি কেজি চিনির আমদানি মূল্য ৪২ টাকা। এর ওপর অন্যান্য খরচসহ পাইকারিতে ৪৭ ও খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম হতে পারে সর্বোচ্চ, ৫৪ টাকা। অথচ বিক্রি হচ্ছে, ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। তবে ব্যবসায়ীদের দাবী মেইল মালিকরা ঠিক মতো সরবরাহ না করায় দাম বেড়েছে অনেক। এখানে ব্যবসায়ীদের কিছু করার নেই বলে বলে জানান।

আসছে রমজানে চার লাখ টন চিনির চাহিদার বিপরীতে মজুদ আছে, সাত লাখ টন।

এতো উদ্বৃত্তের পরও, দাম না কমে উল্টো বাড়ছে কেন? এমন প্রশ্নে র উত্তর দেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন কনজুমার ক্যাব এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মিল মালিকরা কোনো কথাই শোনেন না। প্রতিবারের রোজার আগে তারা এ কাজটি করে থাকে। তবে সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা চলছে।

আর তত্বাবধায়কের সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সরকারের সক্ষমতার খুব প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।

রোজার এ অবস্থায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যবসায়ীদের সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আর/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh