• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সাইবার আক্রমণ রুখতে কী করবেন (অডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৬ মে ২০১৭, ১৬:০৪

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে মোট ১৫০টির দেশে র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাসের আক্রমণ হয়েছে। ফলে কম্পিউটার স্ক্রিন খুললেই টাকা দাবি করা হচ্ছে, তা না হলে কম্পিউটারে কোনো কাজ করা যাচ্ছে না এবং কম্পিউটারের ভেতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথিও হ্যাক হয়ে যাচ্ছে।

সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আরটিভি অনলাইনকে বলেন, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করলে শুধু র‌্যানসমওয়্যার নয় যেকোনো আক্রমণই হতে পারে। মনে রাখতে হবে পৃথিবীর কোনো কিছুই ফ্রি নয়। দিনের পর দিন আমরা সফটওয়্যারগুলো ফ্রি ব্যবহার করে আসছি। যে আপনাকে ফ্রি দিয়েছে তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটারগুলো (পিসি) ব্যবহার করা। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, পর্ন সাইটগুলো থেকেও এ আক্রমণ হচ্ছে।

তিনি বলেন, উইন্ডোজ টেন-এ তুলনামূলক অ্যাটক কম হয়। তাই আমাদের উচিৎ পিসিগুলোকে আপডেট করে রাখা।

ক্রাইম রির্সাচ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশনের (সিআরএএফ) উপদেষ্টা জোহা আরো জানান, দেশের প্রায় অর্ধশত পিসিতে র‌্যানসমওয়্যার ভাইরাসের আক্রমণের খবর তারা পেয়েছেন।

এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির আরটিভি অনলাইনকে বলেন, দেশের সরকারি ওয়েবসাইটগুলো তুলনামূলক বেশি দুর্বল। যেহেতু এগুলো বেশি তথ্যভিক্তিক ওয়বেসাইট, তাই এখনই উচিৎ এগুলোকে আরো বেশি সুরক্ষিত করা।

কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে:

ব্যাকআপ সুনিশ্চিত করা:

একবার কম্পিউটারের ফাইলগুলো এনক্রিপ্টেড হয়ে গেলে আপনার হাতে অপশন কমে আসবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাকআপ রিকভারি। তবে বেশির ভাগ মানুষেরই সে সুযোগ থাকে না। কারণ বেশির ভাগ ব্যাকআপই মেয়াদউত্তীর্ণ থাকে। তাতে বেশি তথ্যও থাকে না। আবার কিছু ভাইরাস ব্যাকআপেও হামলা চালায়। ফলে একাধিক ব্যাকআপ তৈরি করতে হবে। ক্লাউড সার্ভিস থেকে শুরু করে ডিস্ক ড্রাইভে নিয়ম করে ব্যাকআপ রাখতে হবে।

নিয়মিত আপডেট:

উইন্ডোজ টেন আপডেট দিলে এ আক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব। বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি দপ্তর, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। ফলে সফটওয়্যার আপডেট করে নিলে এ সমস্যা হতো না। তাই আপডেটে আসা প্যাচগুলোকে অ্যাপ্লাই করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত আক্রমণ করা হয়েছে উইন্ডোজ এক্সপি, সেভেন, এইট ভার্সনকে। এগুলো তৈরি প্রায় বছর খানেক আগে মাইক্রোসফট বন্ধ করে দিয়েছে। এগুলোকে চালাতে প্যাচ রিলিজ করা হয়। তা অ্যাপ্লাই করাতেই যাবতীয় বিপত্তি।

অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যারের ব্যবহার:

অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করলে অন্তত চেনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে কম্পিউটারকে বাঁচানো সম্ভব হয়। যারা সেভাবে পারদর্শী নন অথচ কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয়, তাদের কম্পিউটারে অ্যান্টি ভাইরাস না থাকলে চেনা ভাইরাসও মারাত্মক ক্ষতি করে দিয়ে চলে যাবে।

প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ট্রেনিং দেয়া:

অফিস অথবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কর্মীরা যাতে অচেনা সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক না করেন তা জানিয়ে দেয়া। এর ফলে অনেকটা সুরক্ষিত থাকা যায়। তাই এই ধরনের কোনো সমস্যা আগত হলে খুব কম কর্মীরই যাতে নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস থাকে তা অফিসকেই নিশ্চিত করতে হবে।

ভাইরাস আক্রমণ হলেই প্রথমে নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে হবে। কিছু প্রতিষ্ঠানে ভাইরাস আক্রমণ হলেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া উচিত। এতে অন্য ওয়ার্ক স্টেশনগুলো অন্তত বেঁচে যাবে। ফলে কোনো জায়গা থেকে প্রলোভন এলেও তাতে সায় দেবেন না। সব নেটওয়ার্কের কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়ে অতিরিক্ত ক্ষতির হাত থেকে বাঁচুন।

ওয়াই/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh