• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বাধ্য হয়েই ট্যাব-মোবাইলের সঙ্গে শিশুদের মিতালী (ভিডিও)

এহতেরামুল হক

  ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১১:০১

প্রাপ্ত বয়স্কদের চেয়ে শিশুদের ওপর ট্যাব-মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বেশি। শিশুর সুস্থ-স্বাভাবিক বিকাশে দরকার খেলাধুলার জন্য খোলা জায়গা। মুক্ত ও খোলামেলা পরিবেশ শিশুর সুস্থ-স্বাভাবিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

দেড় কোটি মানুষের ইট-কাঠ-পাথরের ঢাকা শহরে এখন তা প্রায় অসম্ভব বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে কঠিন বাস্তবকে মেনে নিয়ে চার দেয়ালের ভেতরেই প্রযুক্তিকে খেলার সঙ্গী করে বেড়ে উঠছে অল্পবয়সী শিশুরা।

এদিকে যৌথ পরিবারগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায়, শিশুদের এ নিঃসঙ্গতা আরো বাড়ছে। আর এ কারণেই ব্যস্ত নগরজীবনে শিশুরা একাকীত্ব দূর করতে বেছে নিচ্ছে ট্যাব কিংবা কম্পিউটার।

ভার্চুয়াল জগতে আচ্ছন্ন থাকার ফলে গ্রামের তুলনায় শহরের শিশুরা সামাজিক যোগাযোগে পিছিয়ে পড়ছে বলে জানান
বিশেষজ্ঞরা।

গবেষকদের মতে, দিনের বড় একটা সময় স্মার্ট ডিভাইসে ডুবে থাকায়, অনেক শিশু মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। আর বেশিরভাগের মন-মননে পড়ছে বিরূপ প্রভাব। এই প্রবণতা আবার মেয়েদের চেয়ে ছেলে শিশুদের মধ্যে বেশি।

শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, ডা.হেলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, ডিজিটালের যুগে স্মার্টফোন প্রীতির কারণে কোমলমতি শিশুরা দীর্ঘক্ষণ মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকে। এতে কমছে, দৃষ্টিশক্তি। ফলে অল্প বয়সেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে নিতে হচ্ছে চশমা। প্রযুক্তিতে আসক্ত, চিকিৎসা নিতে আসা এমন শিশুদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগের চোখের অবস্থা শোচনীয়।

তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির এমন ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে, মা-বাবাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার উচিৎ। স্মার্ট ডিভাইসগুলোকে শিক্ষামূলক উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করলে শিশুদের এসবের বিরূপ প্রভাব থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

আরকে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh