• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যাত্রীদের ওপর ঝাল ঝাড়ছে বাস শ্রমিকরা

মিথুন চৌধুরী

  ১৬ এপ্রিল ২০১৭, ২৩:২৫

সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ার ক্ষোভ যাত্রীদের ওপর ঝারছে কন্ডাক্টররা। একে তো বাড়ছে ভোগান্তি তার ওপর অতিরিক্ত যাত্রী তুলছে বাসগুলো। যেন তিল ধরার ঠাঁই নাই। স্টপেজ ছাড়াও যখন যেখানে মন চাচ্ছে যাত্রী ওঠাচ্ছেন বাসচালকরা।

দীর্ঘ সময় বিভিন্ন জায়গায় থেমে যাত্রী ওঠাতে থাকতে দেখা যায়। একে তো অধিক যাত্রী ওঠানো তার ওপর অধিক হারে যাত্রী উঠানোর কারনে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। উল্টো যাত্রীদের কথাকে পাত্তা না দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কন্ডাক্টররা।

রোববার থেকে রাজধানী থেকে সিটিং সার্ভিস তুলে দেয় বিআরটিএ ও মালিক সমিতি। পাশাপাশি অভিযান চালু ও পর্যবেক্ষক দল রাখা হয়েছে নগরীর বিভিন্ন গুরুপ্তপূর্ণ পয়েন্টে। কিন্তু বিআরটিএ ও মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ যেন পরিবহন শ্রমিকরা।

বেশ কিছু পরিবহনের মালিক জানান, সিটিং সার্ভিস সিস্টেমটা করা হয় আরামে ও নিরাপদে যাত্রীদের চলাচলের জন্য। এছাড়া পরিবহন খাতটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু পরিবহন শ্রমিক ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নষ্ট করে দিয়েছে এ সিস্টেম।

এতে তারা অবৈধভাবে লাভবান হয়ে যাত্রীদের ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। পাশাপাশি পরিবহন খাতের ওপর জনগনের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়েছে এতে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৯ ও ৪০ ধারা অনুযায়ী অতিরিক্তি ভাড়া গ্রহণ করায় মামলা করা হচ্ছে যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে।

পাশাপাশি মোটরযান অধ্যাদেশ অনুযায়ীও গাড়ির ফিটনেস, ব্লুবুক, ড্রাইভিং লাইসেন্স ঠিক না থাকলে এবং বাম্পার ও অ্যাঙ্গেল থাকায় মামলা করা হচ্ছে।

রোববার রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, উত্তরা, মিরপুর, কাওরান বাজারসহ বেশ কিছু সড়কে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি গণপরিবহনেই যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

রাজধানীর ভেতরে ও আশপাশের জেলাগুলোতে চলাচলকারী প্রায় প্রতিটি বাস ও মিনিবাসেও একই চিত্র। বর্তমানে প্রথম ৩ কিলোমিটারের ভাড়া মিনিবাসে ৫ টাকা ও বড় বাসে ৭ টাকার কথা বলা হলেও সিটিং সার্ভিস বাহ্যিকভাবে বন্ধ হলে ভাড়া আগের মতোই রাখা হচ্ছে।

এমসি/এসজে

ভাড়ার চার্ট কন্ডাক্টরের মুখে!

মন্তব্য করুন

daraz
  • এক্সক্লুসিভ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh