'শেখার আছে অনেক কিছুই'
বিজয় দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে হয়ে গেলো আরটিভির আয়োজনে ব্যতিক্রমী কর্মসূচি। হাজারো কণ্ঠে শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের উদ্যোগ নেয় দেশের শীর্ষ এ টেলিভিশন চ্যানেলটি। এতে সাড়া দিয়েছে সবস্তরের মানুষ। দর্শক-শ্রোতারা বলছেন, এ ধরনের আয়োজন দেশকে ও দেশের প্রতি মমত্ববোধকে আরো এগিয়ে নেবে।
মিরপুর থেকে মশিউর রহমান এসেছিলেন বিজয়ের গানের এ উৎসবে। তিনি বলেন, 'অনেককেই প্রথমে বলতে শুনছিলাম শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের আবার কী আছে? কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম এতদিন ধরে আমি আমার মেয়েকে যে জাতীয় সঙ্গীত শেখাচ্ছি তা আসলেই শুদ্ধ নয়।'
ধানমন্ডি থেকে এসেছিলেন ফাতেমা খান লুবনা। তিনি বলেন, 'জাতীয় সঙ্গীত খুবই সম্মানজনক এবং সংবেদনশীল। এটিকে শুদ্ধভাবেই গাওয়া উচিত। কিন্তু সে সম্পর্কে সবার মাঝে তেমন সচেতনতা দেখা যায় না। আরটিভির এ ধরনের আয়োজন জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে সবাইকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।'
তবে অনুষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিব মোহাম্মদ আশিক আরটিভি অনলাইনকে বলেন, 'এ কর্মসূচি থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। জাতীয় সঙ্গীত শুদ্ধভাবে পরিবেশন করতে না পারাটা আমাদের লজ্জার। আরটিভি আমাদেরকে ব্যাপারটি মনে করিয়ে দিলো। এ ধরনের ব্যতিক্রমী কর্মসূচি সবসময় হওয়া উচিত।'
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক মিথুন ব্যানার্জি বললেন, 'দারুণ একটা আয়োজন। সচরাচর এমন আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়না। এখানে শেখার আছে অনেক কিছুই। এর মাধ্যমে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে নতুন করে।'
এসজে/এম
মন্তব্য করুন