• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নিউইয়র্কে বসেই স্বামী হারানোর খবর পেলেন খালিদের স্ত্রী
‘চাইম’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ আর নেই
চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী খালিদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।   সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খালিদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ব্যান্ডশিল্পী ঈশা খান দূরে।  জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংগীতসহ শোবিজ অঙ্গনে।  ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’—এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদ। যার গান একসময় পাড়া মহল্লার বিভিন্ন শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে। যাকে আশির দশকে মানুষ চিনত ‘চাইম’ ব্যান্ডের খালিদ নামে।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন জনপ্রিয় মার্কিন র‍্যাপার লিল জন
মা হচ্ছেন গায়িকা লিজা
মৃত্যুর দিনেই শিল্পকলা পদকের ফরম পূরণ করেছিলেন সাদি মহম্মদ
ইত্যাদির ভিন্ন পরিবেশনায় প্রতীক-প্রীতম
ভাইকে বলেছিলাম আমি একুশে পদক নেব না!
না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক সাদি মহম্মদ। বুধবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার মোহাম্মদপুরের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার ছোট ভাই প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ। শিবলী নিজেই প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। যে মুহূর্ত কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না তিনি। বড় ভাই সাদি মহম্মদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে শিবলী মহম্মদ বলেন, আমার ভাই মনে কষ্ট নিয়ে চলে গেছে। সে মনে করত, তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। কত মানুষ কত পদক পাচ্ছে, এসব তাকে খুব ভাবাতো। সে বড্ড অভিমানী ছিল। আমরা তাকে বোঝাতাম, আমাদেরকে মানুষ ভালোবাসে। পদক দিয়ে কী হবে? কিন্তু তার মনে চাপা কষ্ট ছিল। সেই কষ্ট নিয়েই চলে গেল। ইফতার করে ভাই নিজের রুমে গিয়ে গানের রিহার্সেল করছিল। এরপর তার সহকারীকে বলেছে, তুমি বাইরে যাও আমি রিহার্সেল শেষ করে ফোন করলে এসো। তখন আমি তার রুমের সামনে গিয়ে দেখতে পাই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। যেটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। কারণ, তিনি কখনোই রুমের দরজা বন্ধ করেন না রিহার্সেলের সময়। এরপর কড়া নাড়লেও ভেতর থেকে কোনো শব্দ মেলে না। পরে আমি বলি দরজা ভাঙো। দরজা ভেঙে ভেতরে যে দৃশ্য আমি দেখলাম....। আমার জীবনে কেন এই দৃশ্য দেখতে হলো! আমার ভাই রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পেলে একটু তৃপ্তি পেত। সাদি মহম্মদ তো আমার বড়, তার সামনে যখন আমি একুশে পদক পাই সেটা ছিল আমার জন্য বিব্রতকর। আমি ভাইকে বলি, একুশে পদক নেব না। কিন্তু সে আমাকে বলে, কেন নিবি না? তুই তো নাচের জন্য বাংলাদেশে কম কিছু করিস নি। পরে তাকে যখন একুশে পদক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কার্ড দিলাম, সে বললো, না থাক রে। তুই যা। আমি সেখানে যাব না। গেলে অনেকেই প্রশ্ন করবে, আমি কেনো পদক পাই না। এগুলো আমাদেরকে বিব্রত করবে।
পুরস্কারের জন্য কোনো সুপারিশ করতে হয়নি: মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকায় আছেন বিশিষ্ট গীতিকবি লেখক, চলচ্চিত্র কাহিনীকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। পুরস্কারের তালিকায় নাম আছে শুনে বেশ আনন্দিত এ প্রবীণ গীতিকবি। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন এ পুরস্কারের জন্য তিনি কোনো সুপারিশ করেননি। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কিছুক্ষণ আগে টিভিতে স্ক্রল দেখে ফোন করে একজন জানালেন আমি স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছি। এরপর অনেকেই ফোন করে শুভকামনা জানাচ্ছেন। খবরটি পাওয়ার পর আমি আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, এটুকু বলতে পারি, আমাকে কোনো সুপারিশ করতে হয়নি। কোনো আবেদন করতে হয়নি। আবেদন না করেও যে আমাকে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে, তার জন্য আমি খুব খুশি। সরকার দায়িত্ববোধ থেকে আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ভেবেছেন, এজন্য আমি আনন্দিত। সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন রফিকুজ্জামান। এছাড়া স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ‌ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে ফিরোজা খাতুন এ পুরস্কার পাচ্ছেন। সমাজসেবা/জনসেবা ক্ষেত্রে পুরস্কার পাচ্ছেন অরণ্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন।
সাদির মৃত্যুর আগে কী ঘটেছিল, জানালেন শিবলী মহম্মদ
না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক সাদি মহম্মদ। বুধবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার মোহাম্মদপুরের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি। গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার ছোট ভাই প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহম্মদ। শিবলী নিজেই প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। যে মুহূর্ত কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না তিনি।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সাংবাদিকদের শিবলী মহম্মদ বলেন, আমার ভাই মনে কষ্ট নিয়ে চলে গেছে। সে মনে করত, তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। কত মানুষ কত পদক পাচ্ছে, এসব তাকে খুব ভাবাতো। সে বড্ড অভিমানী ছিল। আমরা তাকে বোঝাতাম, আমাদেরকে মানুষ ভালোবাসে। পদক দিয়ে কী হবে? কিন্তু তার মনে চাপা কষ্ট ছিল। সেই কষ্ট নিয়েই চলে গেল। বুধবার সন্ধ্যার পরের ঘটনা বর্ণনা করে এই নৃত্যশিল্পী বলেন, ইফতার করে ভাই নিজের রুমে গিয়ে গানের রিহার্সেল করছিল। এরপর তার সহকারীকে বলেছে, তুমি বাইরে যাও আমি রিহার্সেল শেষ করে ফোন করলে এসো। তখন আমি তার রুমের সামনে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। যেটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। কারণ, তিনি কখনোই রুমের দরজা বন্ধ করেন না রিহার্সেলের সময়। এরপর কড়া নাড়লেও ভেতর থেকে কোনো শব্দ মেলে না। পরে আমি বলি দরজা ভাঙো।  শিবলী মহম্মদ বলেন, আমার ভাই রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পেলে একটু তৃপ্তি পেত। সাদি মহম্মদ তো আমার বড়, তার সামনে যখন আমি একুশে পদক পাই সেটা ছিল আমার জন্য বিব্রতকর। আমি ভাইকে বলি, একুশে পদক নিব না। কিন্তু সে আমাকে বলে, কেন নিবি না? তুই তো নাচের জন্য বাংলাদেশে কম কিছু করিসনি। পরে তাকে যখন একুশে পদক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কার্ড দিলাম, সে বলল- না থাক রে। তুই যা। আমি সেখানে যাব না। গেলে অনেকেই প্রশ্ন করবে, আমি কেনো পদক পাই না। এগুলো বিব্রত করবে। এর আগে সাদি মহম্মদের ব্যক্তিগত সহকারী সোহেল মাহমুদ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বেগুনি ও মুড়ি দিয়ে ইফতারি শেষে নিজ রুমে যান শিল্পী। বেশ কিছুক্ষণ রেয়াজ করেন তানপুরা দিয়ে। এরপর অনেকসময় চুপচাপ থাকায় রুমে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। ডাকাডাকিতে সাড়া মিলছিল না। পরে দরজা ভেঙে ঢুকে পরিবারের সদস্যরা দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় শিল্পীর নিথর দেহ। বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা সাদি মহম্মদ একাধারে শিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার ছিলেন। ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। অসংখ্য সিনেমা ও নাটকে প্লেব্যাক করেছেন সাদি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক। ২০১২ সালে সাদি মহাম্মদকে আজীবন সম্মাননা দেয় চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার দেয়।
‘খাইরুন লো’ গানের গীতিকার ওয়াদুদ রঙ্গিলা মারা গেছেন
শ্রোতাপ্রিয় গান খায়রুন সুন্দরীর গীতিকার ও বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমার অভিনেতা আব্দুল ওয়াদুদ রঙ্গিলা মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধনী অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। এ গীতিকার ও অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছিলেন। এরই মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে ব্রেন স্ট্রোক করলে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। এদিন দুপুরে আব্দুল ওয়াদুদের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিউয়নের সাপমারী পীরগঞ্জ বাজার এলাকায় নেয়া হলে শোকের ছায়া নামে। এরপর বাদ আছর নামাজে জানাজা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় এ গীতিকারকে। জানা যায়, লোককাহিনী নিয়ে নির্মিত খাইরুন সুন্দরী সিনেমাতে খাইরুন সুন্দরীর ছোটভাই রফিক চরিত্রে সফল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। এরপর তিনি চিনিবিবি, মালেকা সুন্দরী ও অগ্নিসাক্ষীসহ বেশ কিছু ব্যবসাসফল ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি ছিলেন একাধিক ছবির নির্মাতা, প্রযোজক, গীতিকার ও সুরকার। এছাড়া তিনি নাটক ও কবিতাও লিখতেন। সেই সুবাদে শেরপুরের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি ছিলেন একজন পরিচিত ও প্রতিভাময় মুখ। তার মৃত্যুর খবরে শেরপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আসছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান ‘ইনবক্সে’
বাংলা সঙ্গীতভুবনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম আইয়ুব বাচ্চু। গিটারের জাদুকরও বলা হয় এই কিংবদন্তিকে। ২০১৮ সালে হুট করে সবাইকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। গেল বছর প্রয়াত রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান প্রকাশ ও তাকে ট্রিবিউট করে কনসার্টসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে এশিয়াটিকের সঙ্গে চুক্তি হয় আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের। সেই চুক্তি অনুযায়ী আসন্ন রোজার ঈদে প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গান ‘ইনবক্সে’। ‘ইনবক্সে ঝিমায় বসে, বোকা শব্দের দল/ফেসবুকে লুটোপুটি খায়/সস্তা চোখের জল’ কথায় গানটি লিখেছেন নিয়াজ আহমেদ অংশু। সুর-সংগীত করেছেন আইয়ুব বাচ্চু নিজেই। সম্প্রতি গানটির ভিডিও নির্মাণ করছে কোলাহল কমিউনিকেশন। গীতিকার নিয়াজ আহমেদ অংশু বলেন, আমাদের কাছে বাচ্চু ভাইয়ের একাধিক অপ্রকাশিত গান রয়েছে। এলআরবির গিটারিস্ট মাসুদ গানগুলো খুব যত্ন করে রেখেছেন। সেখান থেকেই গানগুলো ধারাবাহিকভাবে মুক্তি দেয়া হবে। এলআরবি’র গিটারিস্ট আবদুল্লাহ মাসুদ বলেন, বসের একাধিক গান রয়েছে এবি কিচেনের হার্ডডিস্কে; যার রেকর্ড ধারণ থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ আমিই করতাম। বস একটি অ্যালবাম করলে অনেকগুলো গান রেকর্ড করতেন। এরপর সেখান থেকে বাছাই করে অ্যালবামে প্রকাশ করতেন। বাকি গানগুলো রয়ে যেত। সেই অপ্রকাশিত গানগুলো নিয়েই কাজ করছে এবি ফাউন্ডেশন।  
বই বিক্রি করে মসজিদ নির্মাণে টাকা দিলেন সংগীতশিল্পী তাশরিফ
বর্তমান সময়ের অন্যতম দর্শকপ্রিয় গায়ক তাশরিফ খান। গানের পাশাপাশি প্রায়ই নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা যায় তাকে। সেই ধারাবাহিকটায় এবার  সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মসজিদ নির্মাণে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন গায়ক তাশরিফ খান। তবে সেখানে তিনি গানের টাকা নয়, বই বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েছেন। একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে এই গায়ক লিখেছেন, আল্লাহর ঘর নির্মাণে সামান্য অবদান আমারও থাকুক। এখানে গানের কোনো টাকা জমা হবে না, আমার বই বিক্রির উপার্জন থেকে জমানো অর্থ দিয়ে অংশগ্রহণ করছি। নেটিজেনরা বলছেন তাশরিফ খান বিশ্বাস করেন গানের টাকা দেওয়া যাবে না, সেটা হারাম। তাই তিনি বইয়ের টাকা দিয়েছেন। আরেকজন বলছেন, তিনি হারাম জেনেও গান গেয়ে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছেন। এসব নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে তর্ক বিতর্ক চলছে। যদিও এক শ্রেণির সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাশরিফকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। অন্যদিকে সংগীত সংশ্লিষ্টরা তাশরিফের এই বিষয়টি নিয়ে তাকে ‘ভণ্ড’ আখ্যা দিচ্ছেন।
১০৫ শিল্পীর কণ্ঠে এক গান!
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মদিন। দিনটিকে উদযাপনের লক্ষ্যে এরমধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন একটি গান। যে গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ১০৫ জন শিল্পী। একই শিল্পীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ভিডিওচিত্র। যা ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভে। বিশেষ এই গানটি লিখেছেন শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন এবং সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন শাহীন সরদার। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন (১৭ মার্চ) থেকে বিশেষ গানটি বিটিভিতে ফিলার হিসেবে প্রচার হবে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্য থেকে ১০৫ জন শিল্পী গানটির অডিও আর ভিডিওতে অংশগ্রহণ করেন। সাংগঠনিকভাবে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা), সারগাম ললিতকলা একাডেমি, জাগরণ সংস্কৃতি চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র, ভিন্নধারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, মহীরুহ সাংস্কৃতিক সংগঠন, নির্ঝরিণী একাডেমি, স্বপ্নকুঁড়ি, গীতাঞ্জলি, নিবেদন, গীতিশতদল, রবিরশ্মি,  সঙ্গীতভবন, লোকাঙ্গন ও উঠোন-এর মোট ১০৫ জন শিল্পী সমবেত কণ্ঠে গানটি পরিবেশন করেন। গানটি প্রসঙ্গে গীতিকবি আখতার হুসেন বলেন, আমার বহু বছরের লালিত স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বিশেষ গান করার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে। অসাধারণ সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শাহীন সরদার। বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ভালো লাগছে গানটি সাংগঠনিকভাবে গেয়েছেন শিল্পীরা। এদিকে সংগীত পরিচালক শাহীন সরদার বলেন, প্রকৃত অর্থেই কবি আখতার হুসেন বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি অসাধারণ গান লিখেছেন। বঙ্গবন্ধুর ১০৫তম জন্মদিনে ১০৫ জন শিল্পীর সমন্বয়ে গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে এই ভেবে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই গানের সাথে যুক্ত হয়েছেন। গানটির ভিডিও নির্দেশনায় ছিলেন বিটিভির মহাপরিচালক নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তার এবং প্রযোজনা করেছেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবু তৌহিদ।