কার জন্য গোলাপ কেনেন প্রভা?

টেলিভিশন মিডিয়ার অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী প্রভা। এক সময়ের জনপ্রিয় এই বিজ্ঞাপন মুখ এখন নাটকেই নিয়মিত কাজ করছেন। সেকারণে ছোট পর্দায় তার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন একটি নাটকে কাজ করলেন প্রভা। 'মানডে নাইট সুপার ড্রামা'র এ সপ্তাহের আয়োজন নাটক 'পুষ্প'। নাটকটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী।

প্রভার সঙ্গে জুটি হয়েছেন সাঈদ বাবু। সাজিন আহমেদ বাবু'র রচনা ও মাসুদ মহিউদ্দিনের পরিচালনায় ২৭ ফ্রেবুয়ারি সোমবার রাত ৮ টা ১০ মিনিটে নাটকটি প্রচার হবে আরটিভিতে।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, মহল্লায় সীমান্তর একটা দোকান আছে। ভ্যারাইটিস স্টোর। সঙ্গে ফুলও বিক্রি করেন। মহল্লার একমাত্র ফুলের দোকান। পুষ্প (প্রভা) ইউনিভার্সিটিতে পড়েন। ক্যাম্পাসে যাবার পথে বিভিন্ন সময় সীমান্তর (সাঈদ বাবু) দোকান থেকে খাতা কলম দরকারি জিনিস পত্র কেনেন। সীমান্ত মুগ্ধ হয়ে পুষ্পর দিকে তাকিয়ে থাকে।

একদিন পুষ্প ক্যাম্পাসে যাবার পথে সীমান্তর দোকান থেকে গোলাপ ফুল কিনে নেন। পরদিন ফের গোলাপ ফুল কেনেন। তৃতীয় দিন সীমান্তর মনে সন্দেহ জাগে কাকে প্রতিদিন ফুল দেয় ও? ওকি কারো সঙ্গে প্রেম করে? তাকেই কি ফুল দেয়? ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেনা সীমান্ত। তারপর দিন ফুল কিনতে আসলে সীমান্ত পুষ্পর কাছে ফুল বিক্রি করে না। বলে সব ফুল বিক্রি হয়ে গেছে। পুষ্প রিকোয়েষ্ট করে একটা গোলাপ বিক্রি করতে বলে। কিন্তু সীমান্ত কিছুতেই ফুল বিক্রি করে না। সীমান্ত বলে ওই লোক একটু পর এসে ফুল নিয়ে যাবে। এগুলো এখন আর আমার ফুল না সুতরাং আমি দিতে পারবো না। একথা শুনে পুষ্পর মন খারাপ হয়ে যায়।

পরের দিন ফের ফুল নিতে আসে কিন্তু এদিনও একই কথা বলে সব ফুল বিক্রি হয়ে গেছে। পুষ্পর কাছে ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য হয় না। সে তর্ক করতে থাকে। কিন্তু সীমান্ত ফুল বিক্রি করেন না। পরবর্তিতে পুষ্প দেখতে পায় অন্য মানুষের কাছে ঠিকই ফুল বিক্রি করে কিন্তু পুষ্পর কাছে বিক্রি করেন না। এটা দেখে ভীষণ চটে যান পুষ্প।

শেষে একদিন বন্ধুদের কাছে বিষয়টা খুলে বলেন। সেই সঙ্গে দোকানদার সীমান্তকে একটা উচিত শিক্ষা দিতে চান তিনি। যেই কথা সেই কাজ। বন্ধুদের নিয়ে আসে। প্রথমে পুষ্প একা ফুল কিনতে যায় কিন্তু বরাবরের মতই বিক্রি হয়ে গেছে বলে ফুল বিক্রি করেনা। কিছুক্ষণ পর যখন পুষ্পর বন্ধু ফুল কিনতে আসে তখন ঠিকই ফুল বিক্রি করেন। হাতে নাতে ধরে ফেলে পুষ্প। তখন পুষ্পর বন্ধুরা সীমান্তর সব ফুল ফেলে দেয়। সীমান্তকে মারধর করে। রাগ কিছুটা শীতল হয় পুষ্পর। এখন দোকানের সামনে দিয়ে পুষ্প গেলে ওর দিকে ফিরেও তাকায় না সীমান্ত। আর পুষ্পও ফুল কিনতে আসেনা।

কথা প্রসঙ্গে একদিন পুষ্প ওর বান্ধবীর কাছে সীমান্তকে শিক্ষা দেয়ার কথাটা বলে। তখন বান্ধবী অবাক হয়ে বলে এটা কি করেছিস তুই? কাজটা ঠিক হয়নি। ও তোর কাছে ফুল বিক্রি না করার কারণ আছে। সেটা হলো ও (সীমান্ত) তোকে অনেক পছন্দ করে, ভালোবাসে। ওর ভাবনা তুই কারো সঙ্গে প্রেম করিস। ওর দোকান থেকে ফুল কিনে তুই তোর বয়ফ্রেন্ডকে দিস। এটা ও মেনে নিতে পারছিল না। তাই ও তোর কাছে ফুল বিক্রি করেনি।

বান্ধবীর মুখ থেকে একথা শুনে পুষ্পর মন খারাপ হয়ে যায়। অনুশোচনায় ভোগে। তারপর একদিন সে সীমান্তর দোকানে যায়। সীমান্তর সঙ্গে কথা বলেনা। এভাবেই এগিয়ে চলে নাটকের গল্প।

এইচএম