ময়মনসিংহে হয়ে গেলো ডাবর ভাটিকা ক্যাম্পাস স্টার
‘কারা হবে তারা’ এ শ্লোগানে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেলো আরটিভি ডাবর ভাটিকা ক্যাম্পাস স্টার অডিশন।
একঝাঁক প্রতিভাবান তরুণীর খোঁজে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি অডিটোরিয়ামে সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে এ অডিশন। প্রতিযোগিতায় ইয়েস কার্ড পাওয়া ৩ জন প্রতিযোগী ঢাকায় পরবর্তী প্রতিযোগিতার সুযোগ পাবেন।
আসছে ২৪ অক্টোবর রাজশাহী সরকারি ডিগ্রী কলেজ অডিটোরিয়ামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিশন হবে।
এর আগে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিভি ডাবর ভাটিকা ক্যাম্পাস স্টার অডিশন হয়।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন
রাজকুমার মুক্তির আগে নতুন সমালোচনায় শাকিব খান
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খান। দীর্ঘ অভিনয়ের ক্যারিয়ারে নিজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন টালিউডেও। শ্রাবন্তী থেকে শুরু করে শুভশ্রীসহ বহু নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে বলা যায়, পশ্চিমবঙ্গেও পরিচিত এক নাম শাকিব।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় কাজ করেছেন শাকিব। ব্যবসা সফলও সিনেমাও রয়েছে তার। আর সেই নায়কই কি না, অভিনয় পারেন না? হঠাৎ শাকিবকে নিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন টালি ইন্ডাস্ট্রির প্রযোজক রানা সরকার।
বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রানা বলেন, শাকিব জনপ্রিয় হলেও টালিউডে তার সিনেমার দর্শকপ্রিয়তা নেই। একজন সুপারস্টারের সিনেমা যেমন চলা উচিত, যেমন দেব, জিৎ, সোহম— সে রকম চলে না। শাকিব হয়তো খুব জনপ্রিয়, কিন্তু অভিনয়ে অন্য যারা নাম করছেন, তাদের তুলনায় অভিনয়ে খুব একটা ভালো নয়।
বাংলাদেশ-ভারতের বেশ কিছু যৌথ প্রযোজনায় সিনেমায় শাকিবকে দেখা গেলেও টালিউডের হলগুলোতে এই নায়কের সিনেমায় আগ্রহী নয় বলে জানান রানা।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শাকিবের সিনেমা হলে তো চলেই না। বাংলার কোনো স্যাটেলাইট চ্যানেলেও সেই দামটা দেয় না তাকে, যে দামটা দেব, জিতের মতো নায়কদের আছে।
প্রযোজকের ভাষ্য, শাকিব হয়তো সুপারস্টার ঠিকই, কিন্তু অভিনয়ের দিকেও তার নজর দেওয়া দরকার। তিনি যদি অভিনয়ের দিকে আরও মনোযোগ দিতেন, তাহলে ভালো হতো!
প্রসঙ্গত, টালিউডের নায়কদের নিয়েও প্রায় সময় সমালোচনা করেন রানা। প্রশ্ন তোলেন তাদের অভিনয় পারা না-পারা এবং বিভিন্ন দুর্বলতা নিয়ে। এবার শাকিবের অভিনয়-দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন এই প্রযোজক।
‘সৃজিতের স্ত্রী’ পরিচয়টা আমার জন্য দুর্ভাগ্যের
ওপার বাংলার দর্শকনন্দিত পরিচালক সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এরপর দুই বাংলাতেই সমানতালে কাজ করে চলেছেন তিনি। তাদের বিয়ে নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না। তবে সেই সমালোচনাকে পাশ কাটিয়েই দিব্যি ভালো আছেন এই দম্পতি। সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৃজিতের সঙ্গে সংসার জীবনের অদ্ভুত এক বিড়ম্বনার কথা জানিয়েছেন এই তারকা।
যেখানে মিথিলা বলেছেন, সৃজিতকে কেউ তার বিবাহিত জীবনের বিষয়ে প্রশ্ন করে না। কিন্তু আমায় করে। এই এক জিনিস ‘মায়া’ সিনেমার প্রমোশনের সময়ও হয়েছিল। বাংলাদেশেও সবাই সৃজিতকে ভারতের পরিচালক হিসেবে চেনে। আর আমি তার স্ত্রী। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। আমি আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করি, পিএইচডি করছি, অভিনেত্রীও। সেগুলো যথেষ্ট নয় আমার পরিচয়ের জন্য? আমায় কেন কারও স্ত্রীর পরিচয়ে পরিচিত হতে হবে?
মিথিলা আরও বলেন, সৃজিত আমাকে চমক দিতে কখনই ভুলে যায় না। আমি উলুপির কথা জানতাম। এখানে এসে দেখলাম, তার তিনটে বড় পাইথন আছে। সত্যি বলতে গেলে আমি কোনোদিন সাপের ভক্ত না। তাই আমি জানি না, যে গোটা বিষয়টায় আমি ঠিক কী অনুভব করব। কিন্তু আমি সৃজিতকে বাধা দিইনি।
সৃজিতের সঙ্গে কি ঝামেলা চলছে মিথিলার এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেন, এসব একদমই ভুল কথা। আমি এবং আমার মেয়ে ঢাকায় থাকি। কারণ সেখানে থেকে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। আমাদের পরিবারও ঢাকাতে। আর কলকাতায় আসলে অনেক সময়ই সৃজিত বাইরে থাকে। তাই বলে আমাদের মাঝে কোনো ঝামেলা নেই।
প্রসঙ্গত, ‘দশম অবতার’র পর ‘অতিউত্তম’ ছবির মাধ্যমেই আবার সিলভার স্ক্রিনে ফিরেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। মহানায়ক উত্তম কুমারকে দীর্ঘ ৪২ বছর পর আবারও পর্দায় ফিরিয়ে এনেছেন। তাতেও বেশ বাহবা পাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে ঈদে আসছে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ও মিথিলা অভিনীত ‘কাজলরেখা’।
লুবাবার পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিশুশিল্পী দিশার মা
শিশুশিল্পী সিমরিন লুবাবা গান, মডেলিং ও অভিনয় করলেও মাঝেমধ্যেই নানা মন্তব্যের জন্য শিরোনামে উঠে আসেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শিশুশিল্পী দিশা মনিকে টিকটকার দাবি করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে লুবাবা।
সাক্ষাৎকারের ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুশিল্পী দিশা মনিকে উদাহরণ দিয়ে সাংবাদিক একটি প্রশ্ন করলে দিশাকে চিনতে পারেন না লুবাবা। পরে সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করে দিশা মনি কে? একপর্যায়ে টিকটকার দাবি করে চিনতে পারে লুবাবা।
এদিকে সাক্ষাৎকারে লুবাবার এমন মন্তব্য চোখে পড়ে দিশা মনির মা রিমা ইসমাথ ডেইজির। এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন তিনি।
স্ট্যাটাসে দিশা মনির মা রিমা ইসমাথ ডেইজি লেখেন, দিশাকে একটা ইন্টারভিউতে প্রশ্ন করা হয়েছিল লুবাবা ‘কেন্দে দিয়েছি’ যে বল্লো এটা নিয়ে কি বলবা? দিশা বলেছে আমরা ছোটো মানুষ, আমাদের ভুল হতেই পারে এটা নিয়ে এত বড় করে দেখার কিছু নেই। একটা নাটকে দিশাকে ডায়ালগ দিয়েছিল ‘কেন্দে দিয়েছি’ সেখানে দিশা ডায়ালগ দেয়নি। এটা নিয়ে ডিরেক্টর এর সঙ্গে আমার ক্যাচাল। কারণ, দিনশেষে তারা কো-আর্টিস্ট।
লুবাবাকে প্রশ্ন করে দিশার মা ডেইজি লেখেন, দিশার ২০০ এর বেশি নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন রয়েছে। দিশা ৩ বছর বয়স থেকে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করে। এই মেয়ে ইন্টারভিউতে দিশাকে চেনে না, দিশাকে টিকটকার বলে। আমি জানতে চাই লুবাবার ঝুলিতে কয়টা নাটক, সিনেমা আছে?
তিনি বলেন, দিশার সঙ্গে অনেক আগে থেকে পরিচয়, বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে শুটিংও করেছে। মিটও হয়েছে তাদের। দিশাকে সে ভালো করেই জানে।
পরিবারের শিক্ষার বিষয়ে ডেইজি লেখেন, কাউকে ছোটো করে কেউ ওপরে উঠতে পারে না। পারিবারিক শিক্ষাটা আসল। রানু মন্ডল, কাঁচাবাদাম ওয়ালাও ভাইরাল হয়েছে, কিন্তু ভাইরাল এক জিনিস ও জনপ্রিয়তা এক জিনিস। দিশা সবার ভালোবাসার, তাকে সবাই ভালোবাসে। দিশা বাংলাদেশের এক নাম্বার জনপ্রিয় শিশুশিল্পী যাকে কোটি মানুষ ভালোবাসে।
প্রয়াত মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা আব্দুল কাদেরের নাতনি সিমরিন লুবাবা। মূলত দাদার হাত ধরেই শোবিজে পথচলা শুরু এই খুদে শিল্পীর।
বুবলী-চয়নিকাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পরীমণি
বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় অবস্থান করছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সেখানে ‘ফেলুবকশি’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত এই নায়িকা। এর মাঝেই চিত্রনায়িকা বুবলী এবং নির্মাতা চয়নিকাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পরীমণি।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন পরীমণি। এ সময় তিনি বলেন, সারা জীবন বেয়াদবি করেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান তিনি। অকারণেই নাকি পরীমণিকে ভুল বোঝে অনেকেই।
পরীমণি বলেন, আসলে বেশির ভাগ মানুষই অকারণে ভুল বোঝে আমাকে। এমন সব উদ্ভট তথ্য বলে যে মাঝে মাঝে আমিই দ্বিধায় পড়ে যাই যে তারা কোন পরীর কথা বলছে?
আমি ব্যক্তিগত নয়, শুধু কাজের জগতের কথাই বলতে পারি। এই যেমন অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে, আমি নাকি শুটিং ফাঁসাই। আবার ব্যক্তিগত জীবনে আমাকে মনে করেন আমার অনেক প্রেমিক, আমার বরও অনেক। ইতোমধ্যে এসব ব্যাপারে আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি আমি। যারা আমাকে নিয়ে এসব ভুল ব্যাখ্যা দেবে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন, আসলে আমি খুব স্পষ্টভাষী। আমি মুখে এক, মনে আরেক কখনোই এমন মানসিকতার মানুষ নই, হতেও চাই না। জীবনে অভিনয় করতে পারব না। আমি মনে করি, আমার জীবনটা সিনেমা নয়, তাই অত ফিল্টারও দিতে চাই না।
শুটিং ফাঁসানো প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা বলেন, আমি শুধু এটুকুই বলব, যেকোনো সিনেমার কাজ হাতে নিলে সেটা দায়িত্ব নিয়ে শেষ করি। তবে হ্যাঁ, দুই একদিন ব্যতিক্রম হতে পারে। এটা দেখে যদি কেউ আমাকে অপেশাদার ভেবে প্রকাশ্যে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেন তাহলে বিষয়টি সত্যিই কষ্টদায়ক। আমি ঠিক করেছি, আর কখনও নারী নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করব না। করলেও বুঝেশুনে করব। অকারণে বদনাম শুনতে কিংবা বেয়াদব হতে চাই না।
আলাপচারিতার এক পর্যায় চিত্রনায়িকা বুবলী প্রসঙ্গ আসলে পরীমণি বলেন, আমার ছেলের ব্যাপারে বরাবরই আমি সিরিয়াস। পদ্মর ব্যাপারে কিছু করতে গিয়ে আমি কাউকে কপি করি না। আবার নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ কেউ কপি করলে সেটা মেনেও নিতে পারি না।
এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা আরও বলেন, আমার ইমোশন হঠাৎ করে আসে না। যখন প্রথম মা হতে চলেছি জানতে পারি, তখন সঙ্গে সঙ্গেই আমার ভক্তদের সঙ্গে বিষয়টা শেয়ার করেছি। যখন আমার বেবিবাম্প অনুভব করলাম, সে অনুভূতিও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। হঠাৎ সন্তান জন্মের দুই বছর পর নিজের বেবিবাম্প ভক্তদের দেখানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হইনি।
পরীমণি বলেন, ছেলের জন্মদিনে নিজের আবেগ নিয়ে যে ভিডিও আমি বানিয়েছি, সেটা বাচ্চার তিন বছর পরে আমার আবেগ কাজ করবে না। আমি বলতে চাচ্ছি—আমার আবেগ হঠাৎ করে আসে না। আর তাৎক্ষণিক যেটা আসে সেটা কারও থেকে কপি হয় না। আমি মনে করি প্রত্যেক মায়েরই মা হওয়ার একটা সুন্দর জার্নি আছে। মানুষ ভেদে অনুভূতিগুলো যেমন আলাদা, তেমনি প্রকাশের ধরনও আলাদা হওয়া উচিত।
বাবা-মেয়ের অভিনয় করলেও প্রেম করছেন তারা!
‘পুণ্যিপুকুর’ নামের ধারাবাহিকে অম্বরীশ ভট্টাচার্যের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আয়েশা ভট্টাচার্য। তবে গুঞ্জন উঠেছে বাস্তবে নাকি তাদের সম্পর্কটা উল্টো। বয়সে ফারাক হলেও মনে মনে মিলে গেছেন তারা। চুটিয়ে প্রেম করছেন এই দুই অভিনয়শিল্পী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তারা।
এদিকে এ রটনা রটতেই শুরু হয়ে গেছে কানকথা। কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টোরাজ, দোলন রায়-দীপঙ্কর দাসের পর কি তাহলে আরও এক ‘বিতর্কিত বিয়ে’ আসতে চলেছে সামনে? তবে এমন জল্পনা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন আয়েশা। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রেম করছি না, অম্বরীশদার প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করছি।’
তিনি আরও বলেন, মাঝে মাঝে এমন খবর রটে’! বিস্তারে বুঝিয়ে বলেন, অম্বরীশের সঙ্গে তিনি প্রেম করছেন না। বরং একসঙ্গে একটি সিনেমা করছেন। যেখানে তাকে অম্বরীশের প্রেমিকার চরিত্রেই দেখা যাবে। সেটায় নিঃসন্দেহে অসমবয়সী প্রেম দেখতে পাবে দর্শকরা, বাস্তবে নয়।
শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছে অম্বরীশ-আয়েশার ছবি ‘ব্যুমেরাং’। এতে আরও অভিনয় করেছেন জিৎ-রুক্মিণী। ছবিটি নির্মাণ করেছেন সৌভিক কুণ্ডু।
যৌন জীবন নিয়ে শ্রীলেখার বিস্ফোরক মন্তব্য
টালিগঞ্জে ঠোঁটকাটা রমণী হিসেবে পরিচিতি আছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের। তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মাঝে মাঝেই যাকে তাকে আক্রমণ করে বসেন কথা দিয়ে। এবার আর সে পথে হাঁটলেন না অভিনেত্রী। উল্টো খোলাখুলি কথা বললেন নিজের যৌন জীবন নিয়ে।
সম্প্রতি টলিউড অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের ‘শাড়ির আঁচল’ মন্তব্যে তোলপাড় টলিপাড়া। নারীবাদীদের একটা বড় অংশের দাবি ওই বক্তব্যে ‘দেহ পসারিনী’ বা ‘যৌনকর্মী’দের অপমান করেছেন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে খুলে দিলেন নিজের যৌন জীবন।
পুরুষ যৌন কর্মীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলেন, হতেই পারে। যে মহিলার বর তার সঙ্গে কিছু করছে না, কিংবা যে মহিলার ইচ্ছে হয়েছে। আমার জিগালোর দরকার নেই, আশা করছি তোমারও দরকার নেই।
অভিনেত্রী বলেন, আমি এখন স্পিরিচুয়াল হয়ে গেছি। জীবনের এই ধাপটায় এসে আমি যার তার সাথে আমি পারব না। আমার প্রায় দেড়-দুই-বছর হলো জীবনযাপন নেই।
অভিনেত্রীর জীবনে এসেছিল বিদেশি পুরুষ। মিষ্টি প্রেমের গল্পও রয়েছে। সে গল্প ফাঁস করে অভিনেত্রী বলেন, কথাবার্তা হয়। ডেভিড বলে স্প্যানিশ-আমেরিকান। খুব মিষ্ট একটা ব্যাপার হয়েছিল, ছোট্ট লাভস্টোরি গোছের। আমার জীবনে ভালো লাগাটা জরুরি।
হোটেলে চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ের মরদেহ
প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল সংলগ্ন ‘রংধনু’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন তিনি। সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরবর্তীতে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন।
তিনি জানান, সন্ধ্যার পর হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন তিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। আর তার বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।