• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

দুটো শুটিং মিস হলো এই কারাবাসে: আসিফ

বিনোদন ডেস্ক

  ১৩ জুন ২০১৮, ১৮:৩২
ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিজীবনের নানা ঘটনা ভক্তদের মাঝে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তুলে ধরেন আসিফ আকবর। আসিফের স্ট্যাটাসে বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে তার ক্যারিয়ারের অনেক অজানা কথা। পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার চিত্র।

সম্প্রতি একজন গায়ক-গীতিকারের মামলায় কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে কাটাতে হয় তাকে। ফিরেই কারাগারে কাটানোর অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানালেন এই তারকা শিল্পী। আরটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য আসিফের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো।

‘‘দু’টুকরো মুরগির মাংস আর ভাত দেয়া হলো খাবারে। ভুনা মাংসে ঝোল নেই, আমি আবার শুকনো খাবার খেতে পারি না। শাওনকে ডালের কথা বলবো কীভাবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। পরে কাঁচা লবণ চেয়ে নিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। প্রতি লোকমা ভাত চিবিয়ে যাচ্ছি অনন্তকাল, গিলতেই পারছি না। হঠাৎ করে মনে হলো পানি তো আছে। লজ্জায় ঠান্ডা পানিও চাইতে পারছিলাম না। পরে পানি দিয়ে গপাগপ খেয়ে ফেললাম। মাংসের প্রতিটি অংশই অনেক দামি মনে হচ্ছিলো। খাওয়া শেষে সাবান পাই না হাত ধোবার, সর্বকনিষ্ঠ বন্দী মাহবুব নিয়ে এলো হ্যান্ড-ওয়াশ। এদিকে পাঞ্জাবি আর প্যান্টও ধোয়া দরকার। ভাবলাম পানিতে ভিজিয়ে রাখি পরে ধুয়ে নিবো। ছোট মাহবুব তা হতে দিলো না, সে কাপড়গুলো ধুয়ে ফেললো। এবার আর শরীর চলে না। খাওয়ার পর অন্তত বিশ মিনিট হাঁটি, সেটা আর সম্ভব হলো না। পড়ে গেলাম বিছানায়, শরীর জুড়ে ক্লান্তি আর ক্লান্তি।”

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : দীপিকা পাড়ুকোনের বাড়িতে আগুন
--------------------------------------------------------

‘‘বালিশটা প্রথমে বানানো হয়েছিল শিমুল তুলো দিয়েই। মাথা রেখে মনে হলো গ্রানাইট পাথরের সঙ্গে বাড়ি খেয়েছি। পিঠের নিচে বেড শিট স্যাঁতস্যাঁতে লাগছিলো। এতো কিছু কে দেখে, চোখ জুড়ে ঘুমের সীমাহীন আক্রমণ। কোলবালিশ আর কাঁথা আমার নিত্যসঙ্গী, ভাবার সময় নেই। মশাদের সান্নিধ্যে ভ্যাপসা গরমে ঘুমালাম প্রায় দুই ঘণ্টা। আমার রুটিন এখানে চলবে না। তাই ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম ঝটপট। নইলে আবার অভুক্ত থাকতে হবে। তেলাপিয়া মাছের দোপেঁয়াজা খুব টেস্টি ছিলো। অমৃতের স্বাদ পেয়েছি, জীবনে এতো ভালো খাইনি। খাওয়া শেষে রুমের প্যাসেজে হাঁটা শুরু, একজন ডাকলেন- ও গায়ক সাব, এইহানে একটু বইয়া একটা বিড়ি খান, আমনে তো মেশিনের লাহান খানা আর ‘আডা’শুরু করসেন। বরিশালের মূলাদীর মানুষ তিনি। পাশে গিয়ে বসলাম, আস্তে আস্তে সবাই আসা শুরু করলেন, আমিও ফর্মে ফেরার সিগন্যাল পেলাম।”

‘‘রাত জাগা আমার অভ্যাস। জেলে বাতি বন্ধ হয় না, একটু কমানো হয়। দুটো শুটিং মিস হলো এই কারাবাসে। অনুতপ্তবোধ করছি। নানান ভাবনা মনে, নানান ফ্ল্যাশব্যাক চোখে। একা একা শুয়ে হাসি আর রণ, রুদ্র’র কথা ভাবি। ওরা মাত্র ক্লাস সিক্সে। হোস্টেলে ঠিক এমন পরিস্থিতিতে ছিলো। ওরাও নিশ্চয়ই বাসায় শুয়ে আমার জন্য ভাবছে। আজ দু’রাত ছেলেদের চুমু দেই না। ওরা জানে ওদের বাবা একা একা ভয় পায়, একা থাকতে পারে না। ফজরের শেষে ঘুম জড়িয়ে এলো চোখে। ঠিক সকাল সাড়ে সাতটায় ডাক, হাজিরায় যেতে হবে স্বাক্ষর করার জন্য। মেজাজ খিঁচড়ে গেলো, সামলে নিলাম পরক্ষণেই। এখানে আমি আগন্তুক। নিয়ম মেনে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।’’

আরও পড়ুন :

পিআর/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এক যুগ পর ভোট দিলেন আসিফ আকবর
X
Fresh