• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তেজেন্দ্রনারায়ণের ‘সরোদে রবীন্দ্রসঙ্গীত’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১১ মে ২০১৮, ১৮:১৭
ছবিতে পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার

ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত হলো পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদারের ‘সরোদে রবীন্দ্রসঙ্গীত’ শিরোনামের অ্যালবামটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান। বরেণ্যশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন।

মোড়ক উন্মোচনের আগে রবীন্দ্রনাথের গানের নন্দনবিশ্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন তিনি। এসময় মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের গানের নান্দনিক বিষয় মানব-মনের গভীরে এবং জীবনের সর্বস্তরে একধরনের গতির সঞ্চার করে। তাঁর সংগীতের মাধুর্য চোখে দৃশ্যমান না হলেও অনুভূতির প্রতিক্রিয়া শ্রোতার চিত্তকে উদ্বেলিত ও প্রসারিত করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, বাণী ও সুরের স্বকীয়তা সঙ্গীতমনস্ক শ্রোতার হৃদয়ের বোধকে জাগ্রত করে।’

মোড়ক উন্মোচন পর্ব শেষে পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার সরোদে বেশকিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন। শিল্পীর সঙ্গে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন তবলায় স্বরূপ হোসেন ও কি-বোর্ডে রবিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : টিজারে ‘জান্নাত’ কেমন? (ভিডিও)
--------------------------------------------------------

‘সরোদে রবীন্দ্রসঙ্গীত’অ্যালবামে সংকলিত গানের তালিকায় রয়েছে- প্রথম আদি তব শক্তি, মহারাজ একি সাজে এলে, আজি যত তারা তব আকাশে, আজি বিজন ঘরে, নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায়, এবার তোর মরা গাঙে, যে ছিল আমার স্বপনচারিণী, মোর বীণা ওঠে।

পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার ভারতের একজন প্রথিতযশা সরোদশিল্পী। ১৯৬১ সালের ১৭ মে তার জন্ম। বিভূতিরঞ্জন মজুমদারের কাছে ম্যান্ডোলিন দিয়ে সঙ্গীতের হাতেখড়ি। পরে বাবা রঞ্জন মজুমদারের কাছ থেকে সঙ্গীতে তালিম নেন।

এরপর একাধারে তিনি ওস্তাদ বাহাদুর খান, পণ্ডিত অমরেশ চৌধুরী, অনিল পালিত, পণ্ডিত অজয় সিনহা রায়, ওস্তাদ আলী আকবর খান এবং পণ্ডিত রবিশঙ্করের মতো সঙ্গীতজ্ঞের সাহচর্যে আসেন।

পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার তার ঘরানার আধ্যাত্মিক নিবিড়তা ও কৌশলী নৈপুণ্যকে ধ্রুপদ, তন্ত্রকারী এবং একই সঙ্গে গায়কীশৈলীতে একত্রে পরিবেশন করার জন্য প্রসিদ্ধ।

১৯৮১ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিও মিউজিক প্রতিযোগিতায় প্রেসিডেন্টস গোল্ড মেডেলে ভূষিত হন। এছাড়া পণ্ডিত ডিভি পালুস্কার পদক, সঙ্গীত মহাসম্মান, বঙ্গভূষণ স্বীকৃতি ও খেতাব গ্রহণ করেন। চলচ্চিত্রশিল্পেও তিনি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। ২০১০ সালে তার অ্যালবাম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়।

আরও পড়ুন :

পিআর/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh