পরীর কারণে লাখ টাকার লোকসান!
নাট্যনির্মাতা থেকে চলচ্চিত্র তৈরি করতে এসেছেন শামীমুল ইসলাম শামীম। পরিচালকের প্রথম ছবি 'আমার প্রেম আমার প্রিয়া'। নায়ক-নায়িকা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন পরী মণি ও আরজুকে।
কিন্তু দু'বছর পেরিয়ে গেলেও সিডিউল জটিলতার কারণে শেষ হয়নি শুটিং। অবশেষে একটি গান ও একটি দৃশ্যের শুটিং বাদ দিয়েই ক্যামেরা ক্লোজ করতে বাধ্য হলেন পরিচালক।
২১ অক্টোবর সিডিউল দিয়েও পরী মণি সেটে না আসায় ক্যামেরা ক্লোজ করা হয় আরটিভি অনলাইনকে জানালেন শামীম।
এ ব্যাপারে পরিচালক আরটিভি অনলাইনকে বললেন, 'কোনো পরিচালকই চান না ছোট একটা দৃশ্যও বাদ দিয়ে ক্যামেরা ক্লোজ করতে। আমি বাধ্য হয়েছি ছবি শেষের ঘোষণা দিতে। এমনিতেই দু'বছর পেরিয়ে গেছে। প্রযোজক এ ছবিতে আর একটি টাকাও লগ্নী করতে চাইছেন না'।
শামীম আরো বললেন, 'পরীর কাছে থেকে ২০ তারিখের সিডিউল নেয়া ছিল। তবে শুটিং শেষ হয়নি। আর একদিন শুটিং করলেও পুরো ছবির কাজ শেষ করা যেত। তিনি অবশ্য কথা দিয়েছিলেন ২১ তারিখ এ বাকী অংশের কাজ করে দিবেন। কিন্তু ২০ তারিখ রাতে জানান শুটিং করতে পারবেন না। অনেক অনুরোধ করেও কোনো কাজ হয়নি। শুনেছি ওইদিন তিনি বাসাতেই ছিলেন। হাতে পায়ে ধরার মতো করে বললেও কথা শুনেননি (মোবাইলে)। আসলে শেষ মুহূর্তে কিছুই করার ছিল না। শুধু মাত্র ওই দিনের জন্য আমরা দু'টো ড্রোন ক্যামেরা ভাড়া করেছিলাম। আরো অনেক আয়োজন ছিল। প্রযোজকের প্রায় দু'লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে'।
সিডিউল ফাঁসানোর ব্যাপারে পরিচালক বললেন, 'আমি তো বলিনি পরী সিডিউল ফাঁসিয়েছেন। কলকাতা থেকে এসে কাজ করে দিবে বলেছে। আর কতোদিন অপেক্ষা করবো একটা ছবির কাজ শেষের জন্য। কারণ এ লটের জন্য প্রায় ৭ মাস পর সিডিউল পেয়েছিলাম'!
পরিচালককে ফাঁসালেন পরী মণি এমন সংবাদ বেশকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। পরিচালককে কোড করেই বক্তব্য ছাপা হয়। গুঞ্জন আছে আরো ভালোবাসবো তোমায়, রক্ত, অন্তর জ্বালা ছবিতেও সিডিউল ফাঁসিয়েছেন পরী। পরিচালকের উপরে অভিমান করে 'আমার প্রেম আমার প্রিয়া' ছবির প্রচারণায় পরী যদি অংশ না নেয়। তাহলে ব্যবসায়িকভাবে প্রভাব ফেলবে কিনা?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শামীম বললেন, 'ছবির মালিক তো আমি না প্রযোজক। এমন ঘটনাও তো দেখা যায় নায়িকা মারা গেলোও তো ছবি রিলিজ হয়! এমন কী আমি নিজেও যদি মারা যাই তাহলেও তো ছবি মুক্তি দিবেন প্রযোজক। এসব আসলে কোনো বিষয় না'।
তিনি জানালেন, পরী যখন পরী হননি অর্থাৎ স্টার হয়ে উঠেননি তখন এ নায়িকাকে নিয়ে ছবি তৈরি শুরু করেন। পরী ভালো একজন অভিনেত্রী। তাদের সম্পর্কও ভালো। অচিরেই সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাবে আশা প্রকাশ করেন!
২৪ অক্টোবর পরীর জন্মদিন। দাওয়াত পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে হাসেন পরিচালক। বললেন, 'আমি ওর উপরে কিছুটা অভিমান করে আছি। সেই কারণে সেও হয়তো অভিমান করেছে। না জন্মদিনে দাওয়াত পাইনি! তবে জন্মদিনে পরীর জন্য অনেক শুভ কামনা। আমার প্রত্যাশা অভিনয়ের দিক দিয়ে সে শাবানা, ববিতাকেও হার মানিয়ে যাবে!
পরিচালক ক্ষোভ জানিয়েই বললেন, 'আমি শুধু পরী মণি না প্রত্যেকটা শিল্পীর উদ্দেশ্য বলতে চাই। আপনারা কোনো পরিচালকের সিডিউল ফাঁসাবেন না। তাহলে ভবিষ্যতে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হব। দরকারে আমরা সরকারের কাছে যাব'!
এ ব্যাপারে সোমবার মোবাইলে পরী মণির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এইচএম/এমকে
মন্তব্য করুন