• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে মেতেছিল রাবি ক্যাম্পাস

পাভেল রহমান

  ০৯ এপ্রিল ২০১৮, ২৩:১৭
ছবি: নাটকের দৃশ্য

রাজধানী ঢাকা থেকে সাত ঘন্টার ট্রেন জার্নির পর গত শনিবার সকালে পৌছানো গেলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মূল ফটক থেকে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়লো নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী নাট্যোৎসবকে ঘিরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সপ্তাহজুড়ে ছিল উৎসবের জমজমাট আমেজ। দ্বিতীয়বারের মতো রাবি নাট্যকলা বিভাগ আয়োজন করেছে এই আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব। ১ এপ্রিল সপ্তাহব্যাপী এই নাট্যোৎসবের উদ্বোধন হয়। গত ৭ এপ্রিল, শনিবার ছিল নাট্যোৎসবের শেষ দিন।

উৎসব উপলক্ষে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে টিকেট কাউন্টার। ব্যানার-ফেস্টুনে রঙিন পুরো ক্যাম্পাস। নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে। কারও দায়িত্ব অতিথি নাট্যশিল্পীদের আপ্যায়ন, কেউ আবার দায়িত্ব নিয়েছেন টিকেট কাউন্টার সামলানোর। কেউ ব্যস্ত উৎসবের অন্যান্য কাজ নিয়ে।

উৎসব আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক আরিফ হায়দার জানালেন, ‘বিভিন্ন উপকমিটিতে ভাগ করে দেয়া হয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। সবাই ভীষণ পরিশ্রম করেছেন উৎসবটি যেন সফল হয়। আয়োজনের প্রতিটি দিনই পুরো ক্যাম্পাসে জমজমাট আমেজ। উৎসবকে ঘিরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ-ভারতের নাট্যশিল্পীদের মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে। প্রাণের সঙ্গে প্রাণের এই মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে সূচিত হয়েছে সাংস্কৃতিক মৈত্রী।’

এবারের উৎসবের স্লোগান ছিল- 'মিলি মৈত্রী বন্ধনে গড়ি সংস্কৃতির সেতু’। রাবি নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতাউর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সপ্তাহব্যাপী এই নাট্যোৎসব আমাদেরকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ-ভারতের বেশ কিছু নন্দিত নাট্য প্রযোজনা দেখার সুযোগ পেয়েছে। পাশাপাশি উৎসব আয়োজনের কাজ করতে গিয়ে নানা রকম অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা পারস্পরিক মৈত্রীর সাংস্কৃতিক সেতু গড়তে চেয়েছি। এই আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব রাবি নাট্যকলা বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারতের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছে।’

নাট্যোৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের ১০টি নাট্যদলের মোট ১৩টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্যদল- ঢাকা থিয়েটার, বটতলা, সুবচন, প্রাচ্যনাট, লোক নাট্যদল, অনুশীলন (রাজশাহী), উত্তরাধিকার (চট্টগ্রাম), রাবি নাট্যকলা বিভাগ ও মণিপুরি থিয়েটার (মৌলভীবাজার) নাটক পরিবেশন করে। এছাড়া ভারতের শ্রুতি পারফর্মিং ট্রুপ, লোককৃষ্টি, অশোকনগর নাট্যদল নাটক মঞ্চস্থ করে এই উৎসবে।

উৎসবের সমাপনী সন্ধ্যায় (৭ এপ্রিল) উপস্থিত ছিলেন রাবি’র উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা, নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতাউর রহমান, উৎসব আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক আরিফ হায়দার।

সমাপনী দিন বিকেল ৪টায় মণিপুরি থিয়েটার মঞ্চস্থ করে ‘কহে বীরাঙ্গনা’। মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বীরাঙ্গনা কাব্য থেকে নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। এদিন সন্ধ্যায় ভারতের লোককৃষ্টি মঞ্চস্থ করে ‘মিসফিট’। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়।

পিআর/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাবিতে জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির যাত্রা শুরু
রাবির হলের কক্ষে শিক্ষার্থীর বুকে ছুরিকাঘাত
পিএসসির সদস্য হলেন রাবি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার 
রাবির ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
X
Fresh