• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আরটিভিতে ক্ষুদে শিল্পীদের আনন্দের দিন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৭ মার্চ ২০১৮, ১৬:৩১
ছবিতে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

ক্যানভাস আর রঙ তুলিতে ছবি আঁকায় ব্যস্ত ক্ষুদে চিত্রশিল্পীরা। রঙ-তুলির আঁচরে কেউ আঁকছেন গ্রাম-বাংলার ছবি। আবার কারো রঙে ফুটে উঠেছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবয়ব।

এমন দৃশ্য দেখা গেলো রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি আয়োজন করেছে সাধারণ এবং বিশেষ (অটিস্টিক) শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে আজ শনিবার, ১৭ মার্চ ২০১৮ এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অঙ্কনের বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’। আয়োজনে দুটি (ক এবং খ) বিভাগে প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। ক বিভাগে ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী এবং খ বিভাগে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা অংশগ্রহণ করে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমালোচনার মুখে ‘ইত্যাদি’
--------------------------------------------------------

বিশেষ (অটিস্টিক) শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সকাল ১০টায় শুরু হয় প্রতিযোগিতা। শিশু-কিশোরেরা যখন ব্যস্ত ছবি আঁকায় তখন সেখানে এসে হাজির হন বাংলাদেশের অন্যতম পুরোধা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। তিনি ঘুরে ঘুরে ক্ষুদে শিল্পীদের ছবি আঁকা দেখেন।

এসময় তিনি এক ক্ষুদে শিল্পীকে জিজ্ঞাসা করেন, কি আঁকছো? উত্তরে ক্ষুদে শিল্পী হাসান ইমামকে জানান, ‘বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আঁকছি।’ এরপর সেই শিশুটিকে বুকে টেনে নেন হাসান ইমাম।

এক ফাঁকে আরটিভি অনলাইনকে সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, এধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে। এমন আয়োজন সারাদেশে বেশি করে হওয়া উচিৎ। শিশুরা যেন তাদের সুন্দর চিন্তার প্রকাশ করতে পারে তার জন্য অভিভাবকদের ভূমিকা অনেক বেশি।

বিশেষ (অটিস্টিক) শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষ হয় দুপুর ১২টায়। এরপর কিছু সময় বিরতি দিয়ে ফলাফল ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট ‍তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

এসময় ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এমন আয়োজনের জন্য আরটিভিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। চিত্রকলা শিশুদের সৃজনশীলতা ও মননশীলতা বিকাশের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। আজকের আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুরা মুক্তমনে ছবি এঁকেছে। এটা চমৎকার আয়োজন।’

এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও মহিউদ্দিন ফারুক। সমরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, শিশুরা যেন মনের আনন্দে ছবি আঁকে। তাদের যেন কোনো চাপ না দেয়া হয়। অভিভাবকদের কাছে আমার এই অনুরোধটুকু রইলো।’

মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের শেষ ভাগে এসে ছবি আঁকা শুরু করেন। তিনি মনের আনন্দে ছবি এঁকেছেন। শিশুরা যেন চাপে নয়, মনের আনন্দে ছবি আঁকে। তবেই আমরা এই শিশুদের মধ্য থেকে অনেক বড় চিত্রশিল্পী হয়তো পাবো।’

পুরস্কার প্রদান পর্বে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আরটিভির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব, সৈয়দা মুনিরা ইসলাম। পুরস্কার প্রদান পর্ব সঞ্চালনা করেন সাবাব আলী আরজু।

এরপর দুপুর ২টায় শুরু হয় সাধারণ শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং ২ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অটিজম দিবস উপলক্ষে নিয়মিতভাবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে আরটিভি।

আরও পড়ুন:

পিআর/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বশেমুরবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে হিরা-মনিরুল
আওয়ামী লীগের আলোচনাসভা আজ
রোববার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আ.লীগের কর্মসূচি
X
Fresh