• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আমি আর তুমি : সাকিব-শিশির

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১২ অক্টোবর ২০১৬, ১৬:১৮

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২০০৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হবার পর দেশের ক্রিকেটে বহু গৌরব এসেছে তার হাত ধরেই। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেলিব্রেটি দম্পতির সাক্ষাৎকার লিখেছেন সুমন মাহমুদ।

সম্পর্কের শুরুটা কিভাবে ?

সাকিব: পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে। এভাবেই কিছুদিন কথা হয়। যেহেতু ফেসবুকে বন্ধুত্ব, তো কথা হলো চলো দেখা করি। তারপরই ওখানে প্রথম দেখা হয়। লন্ডনে আমরা প্রথম দেখা করি।

সাকিবের সঙ্গে ফেসবুকে কথা হচ্ছিল, আপনি কি ফেসবুকেই জেনেছিলেন সাকিব লন্ডনে আছেন?

শিশির: না। ওর সঙ্গে যখন ফেসবুকে কথা হচ্ছিল তখন আমি ওকে বললাম যে, আমরা স্কুল থেকে জার্মানি যাব। যাবার পথে লন্ডনে আমার আঙ্কেল থাকেন, সেখানে ক’দিন থাকব। তখন ও বলল ‘আমিও লন্ডনেই আছি এখন। তাহলে চলো দেখা করি।’ আমি বললাম, ‘আচ্ছা ঠিক আছে।’ এরপর ও ফোন নাম্বার দিল। আমি লন্ডনে পৌঁছে ওকে ফোন করলাম। তারপর একদিন ডেট ফিক্সড করে দেখা করলাম।

প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা কেমন ? মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন ছিল সামনাসামনি দেখতে কেমন হবে ?

সাকিব: না। আসলে ওভাবে চিন্তা করে তো আমরা দেখা করিনি। আমাদের বিয়ে হচ্ছে দেখা করতে যেতে হবে। দু’জনের ইচ্ছা ছিল, পরিচয় ছিল, দেখা করার সুযোগ ছিল। এ কারণে আমরা মনে করি যে, হ্যাঁ, দেখা করি।

প্রথমবার কারো সঙ্গে দেখা করতে যাবার আগে নিজেকে পরিপাটি করা, কি পরব এমন বিষয় কিন্তু থেকেই যায়। সেক্ষেত্রে আপনাদের বিষয়টা কেমন ছিল?

সাকিব: না। আমার ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি।

শিশির: ও চুল কেটে এসেছিল। কিন্তু চুলের কাটিংটা খুব বাজে ছিল! আমি প্রথমবারই ওকে বলেছিলাম তুমি খুব বাজে চুল কেটেছো। আমার ক্ষেত্রে অমন কিছু ছিল না। ওইরকম মেন্টালিটি নিয়ে আমরা দেখা করিনি। অ্যাজ অ্যা ফ্রেন্ড জাস্ট মিটিং আপ।

ফেসবুকের মাধ্যমে দু’জনের পরিচয় এবং দু’জনকেই বেশ অ্যাক্টিভ দেখা যায়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গার ছবি আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পাই।

সাকিব: ছবি তোলার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আমরা সব স্মৃতি হিসেবে রাখতে চাই। এ কারণেই ছবি তোলা। আমরা যেখানে যাই, চেষ্টা করি অন্তত একটা ছবি তুলতে। যা স্মৃতি হিসেবে থাকবে। যখন ১০-১৫ বছর পরে ছবিগুলো দেখব তখন ভালো লাগবে।

জীবনে যা কিছু প্রথম হয়েছে সেগুলোর উপর কিছু প্রশ্ন:

শিশির

প্রথম গিফট: ডায়মন্ড রিংস

দুজন মিলে প্রথম বেড়াতে যাওয়া: বিকেএসপি

ভালোবাসার প্রথম অনুরাগ: অভিমান বলতে তেমন নাই। কারণ ও সব দিক দিয়ে পারফেক্ট।

ভালোবেসে প্রথম মান ভাঙানো : বিয়ের আগে একবার খুব রাগ হলো। রাগ ভাঙানোর জন্য তখন ও গিফটটা সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দেয় এবং তখন আমার রাগ ভেঙে যায়। ও গিফটটা রেখেছিল স্পেশাল মোমেন্টের জন্য।

সাকিব

প্রথম সন্তানের বাবা হবার অনুভূতি: অনুভূতিটা একটু অন্যরকমই ছিল। যখন প্রথম বাচ্চাকে স্কাইপে দেখি তখন আমি এয়ারপোর্টে। অন্যরকম অনুভূতি ছিল। ইমোশনাল।

ভালোবাসার কথা প্রথম বলা: আমি কারো কাছে নিজের অনুভূতি উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে খুব ভালো না। ওভাবে বলা বা আগে বলেছি সেটা বলা ভুল হবে। কিন্তু চেষ্টা করি কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করার।

ভালোবাসার প্রথম গান: অনেকবারই তো গান শোনানো হয়। কিন্তু সেটা শুধু বাসায়।

ভালোবাসার প্রথম অভিমান: অভিমান যখনই হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটু বেশি সময়ই সেটা থাকে। কারণ, সঠিক সময় মেনে চলাই আমার নিয়ম। সেদিক থেকে ও একদমই সময় মেইনটেইন করে না। এই একটা বিষয় নিয়েই কখনো হয়তো অভিমান হয়। এছাড়া অভিমান হবার কোনো বিষয় আমি দেখি না।

প্রথম প্রপোজ : অফিশিয়ালি প্রপোজ আমিই প্রথম করি ডায়মন্ডের রিং দিয়ে।

আপনারা দুজন একসঙ্গে একটা বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছেন। দেখে মনেই হয়নি এটা কোনো টিভি কমার্শিয়াল। মনে হয়েছে, একটা পরিবারের গল্প। বাসায় কি সবসময় এমন পরিবেশই বিরাজ করে?

সাকিব : হ্যাঁ। বিজ্ঞাপনটিতে যা দেখানো হয়েছে সেটা বাসারই একটা রিফ্লেকশন।

শিশির : আমরা আসলে ওভাবেই থাকি। তাছাড়া এটা আমার প্রথম কাজ ছিল। সুতরাং খুবই স্পেশাল।

আমাদের দেশে সাধারণত খুব কমই হয়েছে যে, সেলিব্রেটি দম্পতি একই ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছে। এ ব্যাপারে আপনাদের অনুভূতি কেমন?

শিশির : বিষয়টা নিয়ে আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ আমার প্রথম কাজ ওর সঙ্গে। আর গল্পটা শুনে আমার খুব ভালো লেগেছে যে, আমরা বাসায় যেভাবে সময় কাটাই সেটা স্ক্রিনে দেখা যাবে।

সাকিব : বাংলালিংককে ধন্যবাদ যে, আমাদের যে ধরনের চাওয়া পাওয়া তার সাথে মিল রেখেই কাজগুলো করে।

সাকিব, আপনার কাছে জানতে চাই আপনি একজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে রিপ্রেজেন্ট করেছেন। দেশের প্রতিটা মানুষ আপনার কাজে আরো অনেককিছু পেতে চায়। ভবিষ্যতে কি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য এমন কিছু করার ইচ্ছা আছে যা দেশের মানুষ আরো অনেক বেশি মনে রাখবে?

সাকিব : ইচ্ছা তো অনেক আছে। আমি তো বললাম, এক্সপ্রেস করতে বেশি পছন্দ করি না। কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই। এখন আমার যে জবটা আছে সেটা শেষ করি ভালোভাবে, তারপর আমার আরো অনেক প্ল্যান আছে। আশা করি সেগুলো করতে পারব।

দুজনের কাছে কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :

সাকিব

ফুটবল নাকি ক্রিকেট: ফুটবল

রবীন্দ্রনাথ নাকি নজরুল: নজরুল

বর্ষা নাকি শীত: শীত

সালমান শাহ নাকি ওমর সানী: সালমান শাহ

চিকেন নাকি বিফ: চিকেন

সমুদ্র নাকি পাহাড়: সমুদ্র

শিশির

ফুটবল নাকি ক্রিকেট: ক্রিকেট

রবীন্দ্রনাথ নাকি নজরুল: নজরুল

বর্ষা নাকি শীত: শীত

সালমান শাহ নাকি ওমর সানী: সালমান শাহ

চিকেন নাকি বিফ: বিফ

সমুদ্র নাকি পাহাড়: সমুদ্র

শিশির, আপনার কাছে জানতে চাই সাকিব ক্রিকেট খেলেন বলেই কি বেশি পছন্দ?

শিশির: হ্যাঁ। কারণ, ওর খেলার কারণেই একটু বেশি জানা হয়েছে। এতে করে অন্যান্য খেলা থেকে ক্রিকেট আমি একটু বেশি জানি।

একজনের পছন্দ চিকেন, আরেকজনের পছন্দ বিফ। তাহলে কি বাসায় দুজনের জন্য আলাদা আলাদা রান্না হয়?

সাকিব: খাবার আমার খুব পছন্দ। সুতরাং কোনো খাবারেই আমার কোনো সমস্যা নাই। ওর যেটা মনে হয় সেটা রান্না করা হয়, আমি এসে খেয়ে নিই। তাছাড়া বাসায় যে খুব একটা খাওয়া হয়, সেটা বলা ভুল হবে।

সময় দেয়ার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

সাকিব ও শিশির: আপনাকেও ধন্যবাদ।

আরকে/এইচএম/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh