• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

শাবনূরের তুলনা শাবনূর নিজেই

এ এইচ মুরাদ

  ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৩০

দেশীয় চলচ্চিত্রের সফল নায়িকা শাবনূর। মনে করা হয় শাবনূর পরবর্তী সময়ে আর কোনো নায়িকা তার সমান জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেননি। চলচ্চিত্রে সালমান শাহ-শাবনূর জুটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করে। তবে সালমান শাহের অকাল মৃত্যুতে ক্যারিয়ারে কিছুটা হুমকির মুখে পড়লেও পরে রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি হয়ে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দেন শাবনূর। ইন্ডাস্ট্রিতে চাউর আছে অনেক নায়কই শীর্ষে যেতে পেরেছেন কেবল শাবনূরের বিপরীতে নায়ক হওয়ার কারণেই।

ঢাকাই ছবিতে ‘চাঁদনী রাতে’র মাধ্যমে অভিষেক হয় শাবনূরের। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি পরিচালনা করেন এহতেশাম। ছবিতে তার নায়ক ছিলেন সাব্বির। কিন্তু ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। এরপর সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বেঁধে যেন বদলে যায় এই দুই তারকার জীবন। চিত্রনায়ক সালমান শাহের সঙ্গে ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন শাবনূর। যার সবগুলোই ছিল ব্যবসা সফল। এ জুটির প্রথম ছবি ‘তুমি আমার’ ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। পরিচালনা করেন জহিরুল হক। একইবছর শাহ আলম কিরণ তাদের নিয়ে ফারুক-কবরী জুটির ‘সুজন সখী’ চলচ্চিত্রের রঙিন পুনঃনির্মাণ ‘সুজন সখী’ নির্মাণ করেন। ১৯৯৫ সালে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ১৯৯৬ সালে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘তোমাকে চাই’, ১৯৯৭ সালে শিবলি সাদিক পরিচালিত ‘আনন্দ অশ্রু’ ছবিগুলো দারুণ সাড়া ফেলে।

সালমানের পর নায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটি বেঁধেও অসংখ্য ছবি উপহার দেন শাবনূর। এই নায়কের বিপরীতে ১৯৯৭ সালে ‘মন মানেনা’ ও ‘তুমি শুধু তুমি’ মুক্তি পায়। এরপর ১৯৯৯ সালে রিয়াজ-শাবনূর জুটির ‘ভালোবাসি তোমাকে’ ও ‘বিয়ের ফুল’ ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। বলা চলে সালমান শাহের পর রিয়াজ-শাবনূরই জুটি হিসেবে দর্শকের মনে আজো রাজত্ব করছে।

২০০০ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটির ‘নারীর মন’ ও ‘এ মন চায় যে’ মুক্তি পায়। পরিচালনা করেন মতিন রহমান। এছাড়া এফ আই মানিক পরিচালিত ‘এ বাঁধন যাবেনা ছিঁড়ে’, জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, সাঈদুর রহমান সাঈদ পরিচালিত ‘এরই নাম দোস্তি’, এফ আই মানিক পরিচালিত ‘ফুল নেবে না অশ্রু নেবে’ নায়ক ছিলেন শাকিব খান ও ইস্পাহানি আরিফ জাহান পরিচালিত ‘গোলাম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।