• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আমরা পেরেছি

এ এইচ মুরাদ, আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০২ অক্টোবর ২০১৬, ১৮:০৭

মনোমুগ্ধকর অভিনয়ে বহুবার দর্শক মাতিয়েছেন ‘মনপুরা’খ্যাত তারকা চঞ্চল চৌধুরী। ‘টেলিভিশন’ এবং ‘মনের মানুষ’ ছবির পর ফের বড় পর্দায় হাজির তিনি। জনপ্রিয় নির্মাতা অমিতাভ রেজার প্রথম চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’র নাম ভূমিকায় আয়না চরিত্রে কাজ করেছেন। শুক্রবার মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র এরই মধ্যে দর্শকের মন জয় করেছে।

দর্শক সাড়ার বিষয়ে আরটিভি অনলাইনকে চঞ্চল বললেন, আয়নাবাজি যখন কাজ শুরু করি মনে হচ্ছিল ভালো কিছু একটা হতে যাচ্ছে। এরপর ডাবিংয়ে যাবার পর বেশ কিছু ফুটেজ দেখে মনে হলো দর্শকদের ভালো কিছুই দিতে পারবো। আর শুক্রবার দর্শক সারিতে তাদের একজন হয়েই ছবি দেখার পর মনে হচ্ছে, হ্যাঁ আমরা পেরেছি।

ছবিটি নিয়ে তরুণদের মধ্যেও এক ধরনের উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। নিজে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছেন ‘আয়নাবাজি’।

ভক্তদের ভালোবাসারও দাম দিতে চান চঞ্চল। বললেন, মনপুরা মুক্তির সময় এ তরুণরা আরো ছোট ছিল। তখনকার আবহে চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়। আজকে তারা যুবক, 'আয়নাবাজি' এ সময়ের গল্প, নির্মাণশৈলী চমৎকার। তাই হয়তো তরুণরা সেটিকে নিজেদের সঙ্গে রিলেট করতে পারছে।

দেখুন, ওরা (তরুণরা) ইউটিউব খুললেই হলিউড ও বলিউডের বিগ বাজেটের সব চলচ্চিত্র দেখতে পারছে। আমরা কী ওদের ভালো লাগার মতো চলচ্চিত্র উপহার দিতে পারছি? বিদেশি ছবির সঙ্গে তো ওদের গল্পের মিল হয় না। সেই গল্পে তারা নিজেদের খুঁজে পায় না। আমি বলবো- মনপুরার পরবর্তী সময় আমরা প্রেক্ষাগৃহের যে দর্শক হারিয়ে ফেলেছিলাম, আয়নাবাজির মাধ্যমে তারা ফিরছে।

ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করলেও বড় পর্দায় খুব কমই দেখা মিলেছে তাকে। ‘মনপুরা’ সুপারহিট, ‘মনের মানুষ’ ও ‘টেলিভিশন’র চার বছর পর ‘আয়নাবাজি’তে কাজ করলেন এ অভিনেতা। বড় পর্দায় কাজের ব্যাপারে কি একটু বেশিই খুতখুতে চঞ্চল?

কথাগুলো শুনেই চিরচেনা সেই হাসি দিয়ে চঞ্চল বললেন, ‘মনের মানুষ’ ও ‘টেলিভিশন’ চলচ্চিত্র দু’টি আমার ভালো লাগার মতো কাজ। অথচ মনপুরার পর ভেবেছিলাম হয়তো এটাই শেষ ছবি। যে কাজটাই করি চেষ্টা থাকে ভালো করার। মানসম্মত চলচ্চিত্রে অভিনয় করলাম বলেই হয়তো সবাই প্রশংসা করছেন। যদি যাচাই বাছাই করে অভিনয় না করতাম তাহলে কিন্তু এ পজেটিভ রেসপন্স পেতাম না।

সামনে অপেক্ষায় থাকবো মনের মতো কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য। তবেই দর্শক আমাকে বড় পর্দায় দেখতে পাবেন। তা যদি না হয়, তবে অপেক্ষায় থাকবো। হয়তো ৬ কিংবা ৯ বছর পর কাজ করা হবে। চঞ্চল যখন এ কথাগুলো বলছিলেন, তার চোখে-মুখে তখন অন্যরকম এক ভালো লাগার বিষয় ফুটে ওঠে।

নাটক ও চলচ্চিত্র পরিণত অভিনেতা তিনি। অথচ আয়নাবাজিতে জুটি হয়েছেন উপস্থাপিকা ও অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলার সঙ্গে। যিনি কি-না চলচ্চিত্রে প্রথম। নাবিলা প্রসঙ্গে চঞ্চল বললেন- গল্পের দরকারেই সব শিল্পীদের চূড়ান্ত করা হয়েছে। নাবিলার উপস্থাপনায় বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলাম। চমৎকার তার উচ্চারণ, খুব সুন্দর করে কথা বলে সে। ও এমন একটি মেয়ে, যাকে দেখলে বিশ্বাস করা যায়। ছবির চরিত্রটি তার সঙ্গে মানানসই বলেই তাকে কাস্ট করা হয়েছে।

জানেন, আমাদের শুটিং শুরু হবার আগে দু'দিনের টেস্ট শুটিং হয়েছিল। কার কি চরিত্র সব কিছুতেই খুব যাচাই বাছাইয়ের বিষয়ের কমতি ছিল না। অমিতাভ এমন একজন নির্মাতা, যিনি কাউকে ছাড় দেবার মানুষ নন। শিল্পীদের কাছে অভিনয় কীভাবে আদায় করতে হয় তা খুব ভালো করেই জানেন তিনি।

চলচ্চিত্রটি নিয়ে চঞ্চলের অন্য সহকর্মীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। অথচ একজনের কাজের প্রচারে অন্য শিল্পীদের খুব কমই দেখা যায়। সহশিল্পীদের এমন হাত বাড়িয়ে দেবার বিষয়টিও তাকে অভিভূত করেছে বলে জানান চঞ্চল।

এইচএম/ এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh