শাকিব-অপুর কোটি টাকার কাবিন
বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছেন না অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, দুপুরে আমি বাবুকে (আব্রাম খান) খাওয়াচ্ছিলাম। হঠাৎ টেলিভিশনের স্ক্রলে খবরটি দেখি।
এই অভিনেত্রী আরো বলেন, গত মাসে চিকিৎসা নিতে ভারতে যাওয়া নিয়ে শাকিবের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এরপর আমি ছেলেকে নিয়ে শাকিবের বাসায়ও গিয়েছি। কিন্তু ডিভোর্সের ব্যাপারটি হঠাৎ করে শুনে বিশ্বাস করতে পারছি না। তিনি বলেন, আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবো।
এদিকে শাকিব খানের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ২২ নভেম্বর শাকিব খান তার চেম্বারে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের কাগজে সাক্ষর করেন। শাকিবের পক্ষ থেকে ওই দিনই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়রের কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় ওই তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়।
এই তালাক কার্যকর হবে নোটিশ পাঠানোর তারিখ থেকে তিন মাস পর। বিয়ের দেনমোহর বাবদ সাত লাখ টাকা অপুকে পরিশোধ করবেন শাকিব। এ ছাড়া তিনি একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের ভরণপোষণের যাবতীয় খরচসহ দায়দায়িত্ব নিজে বহন করবেন।
অপু বিশ্বাস দাবি করেছেন দেনমোহর সাত লাখ টাকা নয়। এই অভিনেত্রী বলেন, আমাদের বিয়ের কাবিননামায় টাকার অংক(দেনমোহর বাবদ) উল্লেখ আছে ১ কোটি ৭ লাখ।
বিবাহবিচ্ছেদের চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন শাকিব খান। তিনি এখন ভারতের হায়দরাবাদের রামুজি ফিল্ম সিটিতে রাশেদ রাহা পরিচালিত ‘নোলক’ ছবির শুটিং করছেন। ভারতে যাওয়ার আগে গত ২২ নভেম্বর অপু বিশ্বাসকে পাঠানো তালাকের নোটিশে তিনি স্বাক্ষর করেন।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। প্রায় ৯ বছর গোপন থাকার পর টেলিভিশন লাইভে এসে বিয়ে ও সন্তানের খবর জানান অপু বিশ্বাস।
পিআর/ এমকে
মন্তব্য করুন