‘এই রায় ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত’
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে চার কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪শ’৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রয়াত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ।
আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আরটিভি অনলাইনকে ক্যাথরিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা এই রায়ের ফলে সাহস পাবেন। এই রায়ের মাধ্যমে এমন একটা প্রক্রিয়া তৈরি হলো যা ভবিষ্যতের জন্য নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই রায়ের মধ্যদিয়ে আমরা একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পেরেছি। আশা করি আইনের এই ধারা সকল মানুষের ক্ষেত্রে অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মহাসড়কে প্রতি বছর অকারণে অসংখ্য মানুষ তাদের জীবন দিচ্ছে এবং আমাদের মতো আরো অসংখ্য পরিবার স্বজন হারাচ্ছে। এই রায়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্তরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহসী হবেন।
এদিকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে তারেক মাসুদের স্ত্রীর করা এক মামলায় বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রায় দেয়। রায়ে বলা হয়, চালক, বাস মালিক ও বীমা কোম্পানিকে ওই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
এই টাকার মধ্যে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি দেবে ৮০ হাজার টাকা, বাসচালক দেবেন ৩০ লাখ এবং বাকি চার কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫২ টাকা তিন বাসমালিককে সমানভাবে ভাগ করে দিতে হবে। অর্থ্যাৎ প্রত্যেক মালিককে দিতে হবে এক কোটি ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫১ টাকা।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত হন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন।
দুর্ঘটনার দেড় বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মোটরযান অর্ডিনেন্সে ১২৮ ধারায় বাসমালিক, চালক ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানিকগঞ্জে মামলা করে। পরে বাদীপক্ষের আবেদনে জনস্বার্থে মামলা দুটি হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হয়।
এরইমধ্যে তারেক মাসুদের মামলার শুনানি শেষে রায় হলো। মিশুক মুনীরের পরিবারের মামলার শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে।
পিআর/জেবি
মন্তব্য করুন