ধর্মীয় গান নিয়ে আবারো সঙ্গীতে ফিরলেন আমাল
গেলো সেপ্টেম্বরে সঙ্গীতের ক্যারিয়ার থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেন লেবানিজ পপতারকা আমাল হিজাজী। সেটা তার ভক্তদের জন্য ছিল এক বিরাট ধাক্কা। তখন আমাল বলেছিলেন, আল্লাহ তার প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন। তিনি ইসলামের মধ্যেই তার সুখ-শান্তি খুঁজে পেয়েছেন। খবর বিবিসির।
তখন ফেসবুকে হিজাব পরিহিত একটি ছবিও পোস্ট করেন আমাল। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, অনেক দিন ধরেই আমাকে আমার ভালোবাসা ও ধর্ম এ দুটো নিয়ে বোঝাপড়া করতে হচ্ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত আল্লাহ আমার প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছেন।
গান-বাজনা ছেড়ে পুরোপুরি ইসলামী অনুশাসন মেনে জীবন-যাপন শুরু করে ভক্তদের অবাক করে দেন আমাল।
কিন্তু সঙ্গীত থেকে নিজেকে বেশিদিন দূরে রাখতে পারলেন না তিনি। তিন মাসের মাথায় আবার ফিরে এসেছেন গানের জগতে। তবে একেবারে নতুন রূপে। ভিন্ন ধরনের গান নিয়ে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে তাকে নিয়েই একটি গান গেয়েছেন আমাল।
ওই গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেছেন আমাল।
ইতোমধ্যে ৮০ লাখ ভক্ত আমালের এই গানটি শুনেছেন। আর আড়াই লাখের বেশি মানুষ এটি শেয়ার করেছেন।
তবে আমাল হিজাজীর এই নতুন রূপ আর নতুন গান নিয়ে তুমুল বিতর্কও চলছে।
আমাল যেভাবে হিজাব পরেছেন, আর তার সাজসজ্জা কতটা ইসলাম সম্মত সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। ইসলামে এভাবে মহিলাদের গান করার বিধান আছে কিনা সেটাও জানতে চেয়েছেন অনেকে।
আবু মুহাম্মদ আল আসতাল নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, তিনি যা করছেন তা ইসলাম সম্মত নয়।
জেইনাব মুসেলমানি লিখেছেন, আল্লাহ যা হারাম বলেছেন, সেটা প্রশংসা দয়া করে বন্ধ করুন। তার প্রশংসা বন্ধ করুন, বরং তাকে পথ দেখান। ধর্মটা কেন অনেকের কাছে রসিকতার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে?
তবে অনেকেই আবার আমাল হিজাজীর প্রশংসা করেছেন।
দিনা মিশিক নামে একজন লিখেছেন, আমাল ধর্মে যা নিষিদ্ধ তা করা বন্ধ করেছেন, হিজাব পরা শুরু করেছেন। আবার নবীর জন্য গান করছে, তোমরা কিভাবে তার সমালোচনা করো?
আরব বিশ্বের জনপ্রিয় পপ তারকাদের একজন হচ্ছেন এই আমাল হিজাজী।
২০০১ সালে আমালের প্রথম পপ রেকর্ড বাজারে আসে। পরের বছর দ্বিতীয় অ্যালবামেই তিনি এক সফল সঙ্গীত তারকায় পরিণত হন। মাত্র এক দশকের মধ্যেই আমাল হিজাজী হয়ে উঠেন আরব বিশ্বের জনপ্রিয়তম সঙ্গীত তারকা।
২০০২ সালে আমাল হিজাজীর অ্যালবাম 'জামান' বাজারে আসে। এটিকে আরবি পপ সঙ্গীতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।।
এ/জেএইচ
মন্তব্য করুন