‘এটা দর্শকের প্রশ্ন নয়, সাংবাদিকদের প্রশ্ন’
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘ডুব’ মুক্তি পেয়েছে আজ ২৭ অক্টোবর। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ ছবির প্রধান দুটো চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান ও কলকাতার পার্নো মিত্র।
২০১৬ সালে ‘সাহেব বিবি গোলাম’। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ‘দ্য বংস এগেন’। আজ ২৭ অক্টোবর ‘ডুব’ রিলিজ হয়েছে। এতো কম ছবি করেন কেন?
পার্নো: বারো মাসে কি বারোটা ছবি করতে হবে? নাকি ছ’টা? বছরে দু’টো ছবিই তো যথেষ্ট।
অডিয়েন্স কিন্তু অন্য প্রশ্ন করছে।
পার্নো: কী প্রশ্ন?
দর্শক জানতে চাইছে, আপনি কি অফার পান না?
পার্নো: প্রথমত এটা দর্শকের প্রশ্ন নয়, সাংবাদিকদের প্রশ্ন। আর দ্বিতীয়ত, আমার বাড়ি এলে দেখাতে পারব কত স্ক্রিপ্ট রয়েছে। আমার ভালো লাগেনি বলে করিনি। তাছাড়া বছরে একটা ভালো ছবি করতে পারলেই আমি খুশি। কোয়ালিটিটা গুরুত্বপূর্ণ।
‘ডুব’-এ ডুব দিলেন কীভাবে?
পার্নো: সব মিলিয়ে বলতে পারেন। তবে প্রথম কারণ অবশ্যই ফারুকী। ওর সঙ্গে গল্প করে ভালো লেগেছিল। মনে আছে, প্রথম দেখা হওয়ার পর আট ঘণ্টা গল্প করেছিলাম আমরা। ওর ছবিও দেখেছিলাম। আমাকে তো তার আগে অডিশন দিতে বলেছিল। দেখলাম একটা রোগা, টুপি পরা লোক ঢুকল ঘরে। অডিশন কোথায়? গল্প করতে করতেই সময় কেটে গেলো। তারপরে স্ক্রিপ্ট পড়েছিলাম।
তাহলে ইরফান খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করাটা কোনো ফ্যাক্টর ছিল না?
পার্নো: আমি ‘ডুব’-এ কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জানতে পেরেছিলাম ইরফানও অভিনয় করবেন। সো…।
ছবিটা কি সত্যিই সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বায়োপিক?
পার্নো: আমি সবাইকে বলতে চাই, এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্লিজ হলে গিয়ে ছবিটা দেখুন।
অনেক আলোচনা হচ্ছে কিন্তু বিষয়টা নিয়ে।
পার্নো: দেখুন বাস্তবে যা ঘটে আমরা সেটাই ছবিতে তুলে ধরি। ফলে বাস্তবের সঙ্গে তো মিল থাকতেই পারে। তাহলে তো সব ছবি নিয়েই বিতর্ক হবে।
আপনার কাছে কোনো রেফারেন্স ছিল?
পার্নো: না, কোনো রেফারেন্স আমাকে পরিচালক দেননি।
‘নীতু’র মতো চরিত্র আগে কখনো করেছেন?
পার্নো: না! আমার ক্যারিয়ারের অন্যরকম কাজ এটা।
প্রিপারেশন কেমন ছিল?
পার্নো: মূলত বাঙলা ভাষাটা শিখতে হয়েছে। স্কাইপে ফারুকীর সঙ্গে চ্যাটে ওই ভাষায় কথা বলতাম। এই চরিত্রটায় কিছুটা গ্রে শেডস আছে। আমাদের সবার মধ্যেই কিছুটা হিংসুটেপনা, কিছুটা ইনসিকিওরিটি কাজ করে। সেটাই এই চরিত্রে আনতে চেয়েছি।
ফারুকীর কাজের ধরন কেমন?
পার্নো: ও একদম নিজের মতো করে কাজ করে। হয়তো সেটে দুই ঘণ্টা ধরে ক্রিকেট খেলা হলো। আবার স্ক্রিপ্টে যেটা রয়েছে সেটা না করে গোটা দৃশ্য শটে গিয়ে ইম্প্রোভাইজ করা হলো। এই এক্সপেরিমেন্টগুলো খুব ভালো লাগত।
আর ইরফান?
পার্নো: ইরফান খান বলে আলাদা কোনো ব্যাগেজ ছিল না, এটুকু বলতে পারি।
দর্শকরা ‘ডুব’ কেন দেখবেন?
পার্নো: পুরনো গল্প নতুন ছাঁচে ফেলেছেন ফারুকী। আর তার গল্প বলার পদ্ধতিটা এত সুন্দর, সেটা দেখতে হলেই যেতে হবে।
*আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে
এম/সি
মন্তব্য করুন