• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

রাজ্জাকের ‘অনন্ত প্রেম’র জন্য বাপ্পারাজকে চায় জাজ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ আগস্ট ২০১৭, ১২:০৩

নায়করাজ রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল তার ‘অনন্ত প্রেম’ ছবিটি রিমেক করার বিষয়ে। আমরা এ নায়কের ‘ময়না মতি’ ছবিটি ‘অনেক সাধের ময়না’ নামে রিমেক করেছিলাম। সেই ছবিটি ব্যবসা সফল হয়। কিন্তু রাজ্জাক সাহেব অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাজটি আর হয়ে উঠেনি। বললেন জাজ মাল্টি মিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ।

তিনি আরো বলেন, রাজ্জাক সাহেব আজ আমাদের মাঝে নেই। তবে তার স্মরণে আমরা ছবিটি নির্মাণ করতে চাই। আমি চাই তার বড় ছেলে বাপ্পারাজ ছবিটি পরিচালনা করুক। তার পরিচালিত ‘কার্তুজ’ ছবিটি দেখেছি। বাপ্পারাজ একজন ভালো নির্মাতা। বাপ্পারাজ কিংবা তার পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে জাজ এ ছবিটি বানাবে না।

১৯৭৭ সালে ‘অনন্ত প্রেম’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। রোমান্টিক ঘরনার ছবিটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। এটি তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র।

ছবিতে রাজ্জাকের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ববিতা। এছাড়াও আরো অভিনয় করেন এটিএম শামসুজ্জামান, ব্ল্যাক আনোয়ার, খলিল উল্লাহ খান।

ছবির গল্পে দেখা যায়, রাজ্জাক, এটিএম শামসুজ্জামান, ব্ল্যাক আনোয়ার, খলিল চার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন ববিতাও। খলিল পছন্দ করে ববিতাকে কিন্তু সে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেয় না। বন্ধুদের এ কথা জানালে তারা একটা উপায় খুঁজে বের করে। পরিকল্পনা অণুযায়ী তারা ববিতাকে একটি নির্জন স্থানে আক্রমণ করে ও তাকে বাঁচাতে আসেন খলিল। সাজানো মারপিটে বন্ধুদের হারিয়ে ববিতাকে উদ্ধার করে এবং বাড়ি পৌঁছে দেবার নাম করে নির্জন স্থানে তাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে ববিতা চিৎকার করে। চিৎকার শুনে বন্ধুরা চলে আসে এবং সত্যিকারে মারপিটে রাজ্জাকের হাতে খলিল খুন হয়। খলিলের লাশ গাড়িতে করে নিয়ে ববিতাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।

কিন্তু ফেরার পথে তারা তিনজন পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় রাজ্জাক। অন্যদিকে ববিতাও সৎ মায়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। দু’জনের ট্রেনে আবার দেখা হয় এবং পালিয়ে যান এক পাহাড়ি এলাকায়।

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh