শেষবারের মতো এফডিসিতে নায়করাজ
এই এফডিসি থেকেই তিনি নায়করাজ রাজ্জাক উপাধি পেয়েছিলেন। তার পদচারণায় লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশনে মুখোর হয়ে উঠত এফডিসি প্রাঙ্গণ। এবার সেই এফডিসিতে নায়করাজকে আনা হলো। তবে নেই লাইট, নেই ক্যামেরা, অ্যাকশন কিংবা কাটের শব্দ। চারদিক থমথমে শুধুই নীরবতা। পড়ে আছে নায়করাজের নিথর মরদেহ। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর তাকে এফডিসিতে আনা হয়। এখানে সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে নায়করাজের মরদেহ শেষবারের মতো সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হবে।
সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বেলা ৩ টায় গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে বিকেলে বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে সমাহিত করা হবে।
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এর পর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা। সেই থেকে শুরু।
অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনার কাজও করেছেন রাজ্জাক। ১৬টির মতো ছায়াছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।
রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- স্লোগান, আমার জন্মভূমি, অতিথি, কে তুমি, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, প্রিয়তমা, পলাতক, ঝড়ের পাখি, খেলাঘর, চোখের জলে, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, ভাইবোন, বাঁদী থেকে বেগম, সাধু শয়তান, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, মায়ার বাঁধন, গুণ্ডা, আগুন, মতিমহল, অমর প্রেম, যাদুর বাঁশী, অগ্নিশিখা, বন্ধু, কাপুরুষ, অশিক্ষিত, সখি তুমি কার, নাগিন, আনারকলি, লাইলী মজনু, লালু ভুলু, স্বাক্ষর, দেবর ভাবী, রাম রহিম জন, আদরের বোন, দরবার, সতীনের সংসার।
- নায়ক রাজের মৃত্যুতে চলচ্চিত্র পরিবারে শোকের ছায়া
- নায়ক রাজ যেভাবে হলেন কিংবদন্তি
- নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
- রাজ্জাকের মৃত্যুতে ৩ দিনের কর্মবিরতি
- পারবো না তোমার স্তব্ধ মুখটা দেখতে : রত্না
এইচএম
মন্তব্য করুন