• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আবদুল আলীমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আরটিভি অনলাইন বিনোদন রিপোর্ট

  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৫:০০

আজ সোমবার মরমি শিল্পী আবদুল আলীমের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার জন্ম ভারতের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে ২৭ জুলাই, ১৯৩১। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সঙ্গীতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের দু'টো গানের রেকর্ড প্রকাশ করে গ্রামোফোন কোম্পানি। দেশ ভাগের পর ঢাকায় চলে আসেন তরুণ আবদুল আলিম। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যোগ দেন পূর্ব পাকিস্তান রেডিওতে।

স্বতন্ত্র গায়কি আর অসাধারণ কণ্ঠের জন্য তিনি পল্লীকবি জসীম উদ্দীন, কানাই লাল শীল, আবদুল লতিফ, খান সমশের আলীসহ অসংখ্য দেশবরেণ্য ব্যক্তির পছন্দের মানুষে পরিণত হন। দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে তার দু’শতাধিক রেকর্ড প্রকাশিত হয়।

১৯৫৬ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ৫০টি ছবিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন আবদুল আলীম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মুখ ও মুখোশ, এদেশ তোমার আমার, জোয়ার এলো, সুতরাং, নদী ও নারী, কাগজের নৌকা, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, সাত ভাই চম্পা, স্বর্ণকমল, গাঁয়ের বধূ, লালন ফকির, দস্যুরানী, উৎসর্গ, তীর ভাঙা ঢেউ। ছবির গানগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে।

তিনি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক, পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার এবং অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য লাহোরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান মিউজিক কনফারেন্সে ৫টি স্বর্ণপদক লাভ করেন।

মরমি এই সঙ্গীত শিল্পী ঢাকা মিউজিক কলেজের লোকগীতি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।

আবদুল আলীমের শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে অম্যতম– 'সর্বনাশা পদ্মা নদী', 'সব সখিরে পার করিতে', 'দুয়ারে আইসাছে পালকি', 'হলুদিয়া পাখি', 'পদ্মার ঢেউরে', 'প্রেমের মরা জলে ডুবে না', 'উজান গাঙ্গের নাইয়া।'

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh