ঢাকায় এসে সব বলতে চান রুবি (ভিডিও)
আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানিয়ে হত্যা করা হবে। মেরে ফেলার পর বলা হবে আমি সুইসাইড করেছি। জীবন রক্ষার জন্যই আমি পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করে পরের ভিডিওগুলো করি। মৃত্যুর আশঙ্কায় আমি স্বামীর বাসা ছেড়েছি। নিরাপত্তা পেলে আমি বাংলাদেশে এসে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যা জানি শুরু থেকে সব বলবো।
জানালেন চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামী রাবেয়া সুলতানা রুবি।
রোববার আমেরিকা ভিত্তিক একটি টেলিভিশনকে দেয়া সরাসরি সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে রুবি জানান, ফিলাডেলফিলফিয়াতে আমাকে আইসোলেটেড করে রাখা হয়েছিল। মানসিক ভারসাম্যহীন করে রাখা হয়েছিল। আমি ডিপ্রেশনে ছিলাম ২০১১ সাল পর্যন্ত, কিন্তু কখনোই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলাম না।
রুবি বলেন, স্বামীর বাসা ফিলাডেলফিয়াতেতে আমি আর ফিরবো না, সেখানে এখন আর আমার কোনো নিরাপত্তা নেই। গেলেই মেরে ফেলতে পারে।
তিনি জানান, শিখা নামের একজন নিউ ইয়র্কে আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন। সেখানেই আমি থাকি।
ফেসবুক ভিডিওতে কেন সালমানভক্তদের তিনি বিভ্রান্ত করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি স্বামীর চাপে পড়েই সেসব কথা বলি। আমি প্রথম ভিডিও দেয়ার পরে আমাকে বাসায় নিয়ে যায় আমার স্বামী। পরে সে আমাকে বলে, আরেকটা ভিডিওতে বলে দিতে যে আমি মানসিক ভারসাম্যহীন, যা বলেছি ভুল বলেছি।
কিন্তু এরপরই বুঝি; সত্যিই তারা আমাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বানানোর প্ল্যান করছে। এমনকি মেরে ফেলার চিন্তাও করছে।
কিন্তু যে বাসা ছেড়েছি, সে বাসায় ফিরবো না। ওখানে আমার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে, আমাকে মেরে ফেলা হতে পারে।
রুবি বলেন, আমি নিরাপত্তা পেলে বাংলাদেশের তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবো। আমি ওই মামলার ৭ নম্বর আসামি। আমি জানি না আমাকে কীভাবে ফাঁসানো হবে।
যে দেশে ২১ বছরেও একটি হত্যার বিচার হয় না, সেখানে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবো এটাই স্বাভাবিক। তবে পুরো নিরাপত্তা পেলে আমি তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যা জানি শুরু থেকে সব বলবো।
এসজে/এইচএম
মন্তব্য করুন