• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টালিউডে আমায় টেক্কা দেবে? বাংলাদেশে এমন নায়িকা নেই : নুসরাত ফারিয়া

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২৪ জুন ২০১৭, ১৪:২৫

নুসরাত ফারিয়াকে এককথায় সংজ্ঞায়িত করতে হলে অবশ্যই বলতে হয়, 'বিউটি উইথ ব্রেইন'। ২৩ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক খ্যাতি। বাংলাদেশর একমাত্র নায়িকা যার বলিউড কানেকশন আছে! ল্যাভিশ লাইফ স্টাইলের স্মার্ট টিনেজ যেমন হয়, নুসরাত তার ব্যতিক্রম না। তবে জীবন উপভোগ করা 'ফুল অন লাইভ' তিনি কিন্তু আদতে একজন এক্সপ্লোরার। অফ দ্য রেকর্ড বললেন, 'আমি হয়ত আর সিনেমা করব না। বিজনেস করব। ৬০ সেকেন্ড সময় লাগেনি মত পাল্টাতে। আমি একজন ল'র (আইন) ছাত্রী। ইনশাল্লাহ একদিন ভালো ব্যারিস্টার হব।'

ছবি রিলিজের দিন কতটা টেনশন কাজ করে?
ইয়েস। টেনশন তো ভীষণ কাজ করছে। তবে টেনশনের থেকেও বড় যেটা কাজ করছে সেটা হল এক্সাইটমেন্ট। কারণ, প্রথমবার একটা অরিজিনাল স্ক্রিপ্টে কমার্শিয়াল সিনেমা হচ্ছে। আমি আশা করছি দর্শক অন্যরকম কিছু একটা দেখতে পাবে। আমি এক্সসাইটেড কমার্শিয়াল ফিল্মের দর্শকদের রেসপন্স দেখার জন্য। টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এটা আমার ৪ নম্বর, আর দুই দেশ মিলিয়ে ৭ নম্বর সিনেমা।

তাহলে তো একেবারেই টেনশন হবার কথা না!
না। আসলে আমি যখন কোনো একটা প্রোজেক্ট করি তখন শুধু সেটাই করি। লাইক, এখন শুধু 'বস টু'তেই আছি। দেয়ার ইজ নাথিং গোয়িং অন মাই লাইফ রাইট নাও। সেই কারণেই যখন নির্দিষ্টভাবে একটা কাজের মধ্যেই থাকি তখন টেনশন তো থাকেই। আমার যদি প্রতি সপ্তাহে একটা করে ফিল্ম রিলিজ হত তাহলে টেনশনটা ভাগাভাগি হয়ে যেত। যেহেতু একটা ফেস্টিভ্যালে একটাই সিনেমা রিলিজ করছে, টেনশন হচ্ছেই।

জিৎ-এর সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছেন, এই ফিল্মে অভিজ্ঞতা কেমন?
হি ইজ অ্যামেজিং। হি সিমস ভেরি রাফ ফ্রম আউটসাইড, বাট অ্যাকচুয়ালি হি ইজ সাচ্‌ অ্যা ফ্রেন্ডলি পার্সন। মিথ্যে বলব না, আমি ফিল্ম করার আগে কিন্তু এই জগতের কাউকে চিনতাম না। জানতামও না। কিন্তু যখন থেকে আমি কাজ করতে শুরু করলাম, আইডেন্টিফাই করতে শুরু করলাম, হ্যাঁ, কে কত বড় স্টার এবং হু ইজ দ্য বিগার ওয়ান অ্যান্ড অল। জিৎ দা'র কথা বলতে হলে বলতেই হয়, এত বড় স্টারডম থাকা সত্বেও কখনো আমাকে কিঞ্চিৎ স্টারডম শো করেনি। সেটে প্রথম দিন থেকে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত কর্ডিনেট করেছে। জিৎ দা'র সঙ্গে কাজ করে আমি এক কথায় অভিভূত।

অঙ্কুশ, ওম, জিৎ। তিনজনের ব্যাপারে তিনটি কমপ্লিমেন্ট দিতে হলে কী বলবেন আপনি?
অঙ্কুশ ইজ লাইক অ্যা বেস্ট বাডি। ওম... (১৫ সেকেন্ড ভেবে) ওম... (আরো ভেবে) স্টিল লং ওয়ে টু গো। আমি আর ওম একসঙ্গেই কাজ শুরু করেছি। সেজন্য আমি ওর ব্যাপারে খুব একটা কমেন্ট করতে পারি না। জিৎ দা (একেবারে সাবলীল ভঙ্গিতে) পারফেকশনিস্ট।

জিৎ না দেব, কে বেস্ট?
জিৎ দা না দেব... আমি তো দেবের সঙ্গে কাজ করিনি। আমি কী করে বলব? অফস্ক্রিন এবং অনস্ক্রিন যেহেতু আমি জিৎ দা'র সঙ্গে কাজ করেছি, জিৎ দা'কে চিনি, দ্যাট'স হোয়াই হি ইজ মাই ফেভারিট। আমার কাছে অফস্ক্রিন এবং অনস্ক্রিন, দু'টো বিষয়ই ভীষণ জরুরি। মানুষটি ভিতর থেকে কেমন সেটা আমার কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পায়। কাউকে শুধু টেলিভিশন স্ক্রিনে দেখে পছন্দ হয়ে যায়, তেমনটা একেবারেই হয় না। সুতরাং, জিৎ দা আমার কাছে বেস্ট।

জিৎ না ইমরান হাসমি? (বলিউড সিনেমা 'গাওয়াহ'তে ইমরান হাসমি এবং নুসরাত একই ফ্রেমে)
(হো হো করে হাসি) অবশ্যই জিৎ দা।

ধরুন, জিৎ-দেব-মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি (বুম্বা দা)-একই সঙ্গে তিন জনের সঙ্গে কাজ প্রস্তাব পেলেন। কার সঙ্গে ছবি করতে চাইবেন আপনি?
বুম্বা দা। আমার বুম্বা দা'র সঙ্গে কাজ করার ভীষণ ইচ্ছে রয়েছে। হি ইজ এভারগ্রিন। উনি সারাদিন কী খায় এটা দেখার জন্যই ওনার সঙ্গে একটা সিনেমা করা উচিত (ভীষণ হাসি)। উনি কীভাবে এতটা ফিট, জানতে ইচ্ছে হয়। ওনার স্কিনটা কেন এত গ্লো করে (লাস্যময়ী হাসি)... সো, ইয়্যা, প্রায়োরিটি গোজ টু বুম্বা দা।

শুভশ্রী'র সঙ্গে এটা আপনার প্রথম কাজ। একটা 'কোল্ড ওয়ার' কি চলবে?
প্রতিযোগিতা সমানে সমানে হয়। ক্লাস ফাইভের বাচ্চার সঙ্গে ক্লাস টেনের বাচ্চার কোনো প্রতিযোগিতা হয় না। মেরিট ইকুয়্যাল হলেই প্রতিযোগিতা হয়। দিদি দশ বছর আগে এ ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছে। আমি জুম্মা জুম্মা চারখানা সিনেমা করলাম (মিষ্টি হাসি)। আমার সঙ্গে শুভশ্রী দি'র কোনো তুলনাই হয় না। আর যদি হয়, সেটা একেবারেই ঠিক হবে না।

আপনার প্রতিযোগী তাহলে কে? কোনো বাংলাদেশি নায়িকা আপনার 'টালিউড থ্রেট' হতে পারে? টালিউডে যে আপনাকে টেক্কা দেবে...
বাংলাদেশ থেকে... বাংলাদেশ থেকে আমার কনটেম্পোরারি, যে আমাকে বিট করবে... আমার মনে হয় না কেউ আছে।

পরী মণি?
(পাত্তা না দেয়া ভঙ্গিতে) ও আমার আগেই এখানে এসে একটা ফিল্ম করেছে। যদি আমাকে বিট করারই হত তাহলে করে নিত। (শরীরী ভাষায় ফুটে উঠল ভীষণ আত্মবিশ্বাস) আই ডোন্ট থিঙ্ক সো। নো ওয়ান ইজ থ্রেট টু মি।

জয়া আহসান?
উনি 'বিসর্জন' করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। শি ইজ থ্রেট টু এভরি ওয়ান (হাসি)। সব বাংলাদেশিদের জন্য উনি থ্রেট। তিনি খুব বড় মাপের অভিনেত্রী। আমার জন্মের আগে থেকেই কাজ করছেন। সুতরাং উনি কোনো ভাবেই আমার থ্রেট না। আমার মনে হয় না কমার্শিয়াল সিনেমায় আমার থ্রেট কেউ আছে।

'বস টু' ছবির 'আল্লাহ্‌ মেহেরবান' নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হল তা বাংলাদেশে 'নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট' তৈরি করবে, কী মনে হয় আপনার?
অনেকেই বলে নেগেটিভ পাবলিসিটি ইজ গুড। এটা অনেক বড় বুস্ট দেয়। বিতর্ক খুব ভালো। কিন্তু, এইটা যেটা হয়েছে, এই বিতর্কটা না হলেও পারত। রমজান ইজ অ্যা হোলি মান্থ। ঈদ পবিত্র উৎসব। আমরা কখনই এমন নেতিবাচক বিতর্ক হোক চাইনি। যেহেতু হল, আমি মনে করি না, এটার আর কোনো এফেক্ট থাকবে। যেদিন একটা সিনেমার মহরত হয়, সেদিনই সেই সিনেমার ভাগ্য ঠিক হয়ে যায়। যতই হিট সং থাকুক না কেন, যেমন আমরা জানি 'কালা চশমা' কী অসামান্য হিট, কিন্তু ছবিটা... আমাদের তেমন পছন্দ হয়নি। একটা গানের একটা নিজস্ব মেরিট যেমন থাকে ঠিক তেমনই একটা ফিল্মেরও নিজস্ব মেরিট থাকে। সিনেমার গানের জন্য অডিয়েন্স অবশ্যই যাবে, উছন্দ করবে, কিন্তু অ্যান্ড অব দ্য ডে সিনেমার কনটেন্টই ঠিক করে দেয় সিনেমার ভবিষ্যৎ কী হবে।

এমন শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশে গানটা নাকি 'ব্যান'?
না, আলটিমেটলি গানটা ব্যান হয়নি। কিছুই হয়নি। শুধু লিরিকটা একটু চেঞ্জ হয়েছে। 'আল্লাহ্‌ মেহেরবান' কথার পরিবর্তে এখন গানটা 'ইয়ারা' মেহেরবান হয়েছে।

'আল্লাহ্‌' শব্দের পরিবর্তে 'ইয়ারা', এতে প্রপারলি ক্রাইসিসটা ম্যানেজ করা যাবে বলে আপনার মনে হয়?
আমরা যদি একটু গভীরে যাই, দ্য সিচুয়েশন আশা (নুসরাত) অ্যান্ড সূর্য (জিৎ)... আশার ক্যারেকটারের ইন্ট্রোডাকশন সং হল 'ইয়ারা মেহেরবান'। সেখানে এমন একটা ঘটনা ঘটে, যে কারণে দুজনকে ছদ্মবেশ নিতে হয়। সিচুয়েশনটা একটা হিউজ ক্রাইসিস... একটা সমস্যায় পড়লে আমরা প্রথম কাকে ডাকি? ওপরওয়ালাকে ডাকি। সেটা আমার ভাষায় আল্লাহ্‌। কারোর ভাষায় ভগবান। আমার মনে হয় যদি যে কোনো ক্রাইসিসে আল্লাহ্‌'র নাম ডাকা হয়, আর তিনিই সেই সর্ব শক্তিমান যিনি বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারে... সেখানে আমি তো কোনো খারাপ কিছুই দেখছি না। কিন্তু যারা মনে করেছে, এটা তাদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে... আমরা মনে করেছি রিয়্যাল বস ইজ অডিয়েন্স, আমরা কোনো ভাবেই তাদের আঘাত করতে পারি না, সেই জন্যই চেঞ্জ করা হয়েছে। এরপর মনে হয় না আর কোনো ক্রাইসিস থাকবে। মানুষ সেগুলো ভুলেও গিয়েছে। পিপল অল রেডি স্টার্টেড লাভিং 'ইয়ারা মেহেরবান'। ৫ দিনও হয়নি গানটা আপলোড করা হয়েছে, এর মধ্যেই ওয়ান পয়েন্ট ফাইভ মিলিয়ন ভিউ... মানুষের যদি স্যতিই খারাপ লাগত তাহলে মানুষ গানটাকে এতটা পছন্দ করত না।

একটু আগেই 'কালা চশমা'র কথা বললেন আপনি। ক্যাটরিনা আপনার রোল মডেল?
না, না। আই লাভ প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ওকে পুজা করি রীতিমত। ও নিজের অভিনয়ের জন্যই পরিচিত। ও পরিচিত ওর ভার্সেটাইলিটির জন্য। এগুলো ছাড়াও, ওর একটা আউট অব দ্য বক্স নেচার আছে। ও কখন কী করবে, কেউ জানে না। ইট'জ ভেরি আনপ্রেডিক্টেবল। আমার কাছে প্রিয়াঙ্কা শুধুমাত্র হিরোয়িন না, একটা টোটাল প্যাকেজ। আমি প্রিয়াঙ্কাকে ফলো করি।

কিন্তু, ক্যাটরিনার মুভস আর আপনার মুভস, মিল পাচ্ছেন অনেকেই...
সত্যি? (অবাক) সত্যিই তাই? থ্যাঙ্ক ইউ। থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। এটা আমার কাছে ভীষণ বড় কমপ্লিমেন্ট (হাসি)।

বলিউড-টালিউড আর বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, এদের চরিত্রগুলো কেমন?
সিনেমা আমাদের জীবনের কথা বলে। এক এক জনের জীবনের কথা বলার ধরণটা এক এক রকম। চিটাগাং কিংবা সিলেটের একটা মেয়ের জীবনযাত্রা যেমন কলকাতার একটা মেয়ের জীবন কিন্তু একেবারেই সেই রকম না। অথবা কলকাতার বাইরে বর্ধমানেও সেটা অন্যরকম। বম্বেরটা আলাদা, চেন্নাইয়েরটা আলাদা। সবাই প্যারালাল কিন্তু ছোট্ট একটা উনিশ আর বিশ আছে। সেই উনিশ-বিশটার জন্যই চরিত্রগুলো আলাদা। ভারতীয়রা এখন অনেকটাই ওয়েস্টার্নাইজড। আমরা এখনো চেষ্টা করছি ওয়েস্টার্নাইজড হবার। কিন্তু আমরা এখনো একটি রক্ষণশীল দেশেই বাস করছি। মুসলিম দেশ। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর বলিউড... দে আর আপ ইন দ্য এয়ার। ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে সেদিন খুব দেরি না যেদিন আমরা সবাই একই পথের পথিক হব।

টালিউডের থেকে বাংলাদেশের কী শেখা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
টালিউড ট্যাকনোলজিক্যালি অ্যাডভান্সড। ঝকঝকে পরিষ্কার একটা পর্দা আমরা দেখতে পাই। এখানে বম্বের একটা হাত তো আছে, সাউথের ইন্ডাস্ট্রিও এখানে যুক্ত। আমাদের তো আমাদের কেউ নেই। তবে আমরাও হয়ে যাবো ইনশাল্লাহ (ফের লাস্যময়ী হাসি)। যৌথ সিনেমার মধ্যে দিয়েই ট্যাকনোলজি হ্যান্ড টু হ্যান্ড পাস হচ্ছে, আসছে দিনেও হবে বলে আশা রাখছি। আমরা এখন ট্যাকনোলজিক্যালি একটু পিছিয়ে আছি। বাংলাদেশে কিন্তু ভালো ফিল্ম হচ্ছে। কিন্তু ভালো ফিল্ম বানালেই হবে না, সেটার সঠিক মোড়ক তৈরি করতে হবে আমাদের।

সিনেমার জগতের বাইরে কয়েকটা প্রশ্ন পার্সোনাল লাইফ নিয়ে হোক?
জোশ। জোশ। (সম্মতি)

আপনি তো বাংলাদেশি টিনেজদের কাছে সোশ্যাল দুনিয়ার সেনসেশনাল পার্সনালিটি। একেবারে হট কেক!
হা হা হা। জানি না কেন করে! বললাম না, এনি থিং আউট অব দ্য বক্স ইজ কন্ট্রোভার্সিয়াল। আমার লাইফ স্টাইল একটু ভিন্ন। কিন্তু এখানে তো ভুল কিছু নেই। আমি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আছি। আই অ্যাম ইন অ্যা শো বিজনেস। আমি নিজের লাইফ স্টাইল এনজয় করি, এটা কটাক্ষের কারণ হলে আমার কিছু করার নেই।

আপনার ড্রেস নিয়ে এত সমস্যা কেন হয়? ইয়ারা' মেহেরবানেও তাই হল।
হ্যাঁ, আমারও তাই মনে হয়েছে। আমি এর থেকেও খারাপ ড্রেসে আইটেম সং দেখেছি। খুবই খারাপ গান, খুবি খারাপ কস্টিউম। কিন্তু ওইটা মানুষ লোভনীয় ভাবে নিচ্ছে। সবাই তো আমাকে বলল তোমাকে খুব সিম্পল দেখাচ্ছে, ভীষণ সফট দেখাচ্ছে। তারপরও কেন ওইটা কেন নিচ্ছে না... (মুখে এক রাশ বিরক্তি আর বিস্ময়)।

সোশ্যাল দুনিয়ায় আপনাকে নিয়ে এত সমালোচনা হচ্ছে, নিশ্চয়ই খারাপ লাগছে। কিছু বলবেন সমালোচকদের?
হুম। আমি কখনই আমার সমালোচকদের হিট ব্যাক করব না। কারণ আজ যদি নুসরাত ফারিয়া আপনার সামনে বসে কথা বলছে, এটা শুধু তাদের কারণেই সম্ভব হয়েছে। তারা একটা আরজে'কে সিনেমা কর, সিনেমা কর, সিনেমা কর বলে আজকে মুভি করিয়েছে। তাই আজ আমি যা, তার জন্য আমি আমার ফ্যানদের কাছে দায়বদ্ধ। এটা না হলে আমি হয়ত অস্ট্রেলিয়া চলে যেতাম, পড়াশুনা করতাম বা অন্য কিছু একটা। আমি ফ্যানদের একটা কথাই বলব। তোমরা আমাকে বানিয়েছো, তোমাদেরই দায়িত্ব আমাকে মনিটর করা। তোমাদের এটাও ভাবা উচিত, আমি মানুষ। আমাকেও কিন্তু বাড়ি ফিরে আমার মায়ের মুখোমুখি হতে হয়। আমাকেও সমাজের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। আমাকে নিয়ে কমেন্ট করার আগে যদি ভাবো আমিও তো কারোর বোন, কারোর মেয়ে... এভাবে চিন্তা করলে একজন নারীকে শ্রদ্ধা তো করা হবেই, আমাকেও একটু বেশি ভালোবাসা হবে।

(নুসরাত ফারিয়ার সাক্ষাৎকার; ২৪ ঘণ্টা ডট কম থেকে )

এইচএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh